Monday, November 3, 2014

মীর কাসেমের ফাঁসি:প্রথম অালো

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীকে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতা–বিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। তাঁকে ফাঁসির রশিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী জামায়াতের এই নেতা ১৯৭১ সালে ছিলেন দলটির ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের চট্টগ্রাম শহর শাখার সভাপতি। সেই সঙ্গে তিনি ছিলেন কুখ্য
াত গুপ্তঘাতক আলবদর বাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান। তাঁর নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনায় মুক্তিযুদ্ধকালে চট্টগ্রাম শহরের আন্দরকিল্লা এলাকার ডালিম হোটেলে স্থাপিত হয় আলবদর বাহিনীর ক্যাম্প ও নির্যাতনকেন্দ্র। একাত্তরে চট্টগ্রামে এই ডালিম হোটেলকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হতো সব ধরনের মানবতা–বিরোধী অপরাধ, যার তত্ত্বাবধানে ছিলেন আলবদর নেতা মীর কাসেম আলী। এর ফলে ডালিম হোটেল মানুষের কাছে পরিচিতি পায় হত্যাপুরী হিসেবে। আর নৃশংসতার জন্য মীর কাসেমের পরিচয় হয় ‘বাঙালি খান’। মীর কাসেমের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার সময় গতকাল রোববার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ সর্বোচ্চ সাজার পক্ষে এসব যুক্তিই তুলে ধরেন। একাত্তরের নভেম্বরের শেষ দিকে মুক্তিযোদ্ধা জসিমসহ ছয়জনকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে (১১ নম্বর) সর্বসম্মতভাবে ট্রাইব্যুনাল মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম। আরেকটি অভিযোগে (১২ নম্বর) মীর কাসেমকে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে ডালিম হোটেলে নির্যাতনের পর রঞ্জিত দাস ও টুন্টু সেনকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম একমত হয়ে মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ড দেন। তবে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এ অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি উল্লেখ করে মীর কাসেমকে খালাস দিয়েছেন। মীর কাসেমের বিরুদ্ধে গঠন করা ১৪টি অভিযোগের মধ্যে আরও আটটি (২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৯, ১০ ও ১৪ নম্বর) সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছে রাষ্ট্রপক্ষ। নির্যাতনের এসব অভিযোগে সর্বসম্মতভাবে মীর কাসেমকে নানা মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে ছয়টি অভিযোগে সাত বছর করে কারাদণ্ড, একটি অভিযোগে ২০ বছর ও অপর অভিযোগে ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। চারটি অভিযোগ (১, ৫, ৮ ও ১৩ নম্বর) প্রমাণে রাষ্ট্রপক্ষ ব্যর্থ হওয়ায় সেসব অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছেন তিনি। রায়ের পর্যবেক্ষণে ট্রাইব্যুনাল বলেন, ডালিম হোটেলের আলবদর ক্যাম্প ছিল সব অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু। সব আটক, নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা এখানেই ঘটেছে। এখানে বন্দীদের ওপর দিনের পর দিন নির্যাতন করা হতো। অনেকেই এই নিদারুণ নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তেন; তরুণ মুক্তিযোদ্ধা জসিম, টুন্টু সেন ও রঞ্জিত দাস এভাবেই প্রাণ হারিয়েছেন। এই ডালিম হোটেলের নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্বে ছিলেন মীর কাসেম আলী। তাঁর পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ডালিম হোটেল পরিচালিত হতো। আসামিপক্ষের সাক্ষ্য থেকেও প্রমাণিত হয়েছে, ডালিম হোটেলে আলবদর ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছিল এবং আলবদর বাহিনীর ব্যবস্থাপনায় এটি ছিল কেন্দ্রীয় ও বিস্তৃত একটি নির্যাতনকেন্দ্রের মডেল। ট্রাইব্যুনালের অভিমত, একাত্তরে ডালিম হোটেল পদ্ধতিগত হত্যাকাণ্ডের আখড়ায় পরিণত হয়, মীর কাসেম ছিলেন যার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। রায় ঘোষণা উপলক্ষে সকাল নয়টা ৪০ মিনিটে মীর কাসেমকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় নিয়ে আসা হয়। বেলা পৌনে ১১টার দিকে তাঁকে এজলাসের আসামির কাঠগড়ায় নেওয়া হয়। নীল শার্টের ওপর ঘিয়ে রঙের ব্লেজার ও কালো প্যান্ট পরা মীর কাসেম কাঠগড়ায় রাখা চেয়ারে গিয়ে বসেন। পাঁচ মিনিট পর এজলাসে নিজ নিজ আসনে বসেন ট্রাইব্যুনালের তিন বিচারপতি। রায় ঘোষণার আগে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বলেন, আসামি মীর কাসেমের বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগের মধ্যে ১৩টিতে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একটি অভিযোগে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ রায় ৩৫১ পৃষ্ঠার, এতে এক হাজার ৪৬টি অনুচ্ছেদ আছে। তবে এখানে ১১ পৃষ্ঠার সংক্ষিপ্ত রায় পড়ে শোনানো হবে। বেলা ১১টায় রায় ঘোষণা শুরু করেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। দুই অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড: মীর কাসেমের বিরুদ্ধে ১১তম অভিযোগে বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধকালে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পরদিন মুক্তিযোদ্ধা জসিমকে আটক করে আলবদর সদস্যরা। ২৮ নভেম্বর মীর কাসেমের নির্দেশে আলবদররা তাঁকে দিনভর নির্যাতন করে। নির্মম অত্যাচারে জসিম মারা যান। পরে নিহত আরও পাঁচজনের সঙ্গে জসিমের মরদেহ কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। এ অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মীর কাসেমকে সর্বসম্মতভাবে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। ১২তম অভিযোগ অনুসারে, নভেম্বরের কোনো একদিন হাজারী লেনের বাসা থেকে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, রঞ্জিত দাস ও টুন্টু সেনকে আটক করে মীর কাসেমের নেতৃত্বাধীন আলবদর সদস্যরা। ওই সময় হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ হাজারী লেনের ২৫০ থেকে ৩০০ ঘরে আগুন দেওয়া হয়। পরে জাহাঙ্গীর আলমকে আলবদররা ছেড়ে দিলেও রঞ্জিত ও টুন্টুকে ডালিম হোটেলে নিয়ে নির্যাতন ও পরে হত্যা করা হয়। এই অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য মীর কাসেমকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দিলেও অপর সদস্য খালাস দেন। এক অভিযোগে ২০ বছর: দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯ নভেম্বর চাক্তাই এলাকা থেকে লুৎফুর রহমান ও সিরাজকে আটক করে ডালিম হোটেলে নিয়ে নির্যাতন করে মীর কাসেমের নেতৃত্বাধীন আলবদর বাহিনী। লুৎফুর রহমানকে ধরার সময় চাক্তাই এলাকার বেশ কিছু ঘরবাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মীর কাসেমকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। এক অভিযোগে ১০ বছর: ১৪তম অভিযোগ অনুসারে, একাত্তরের নভেম্বর মাসের শেষ দিকে মীর কাসেম ও তাঁর সঙ্গী আলবদর সদস্যরা চট্টগ্রামের নাজির আহমেদ চৌধুরী রোড থেকে নাসিরউদ্দিন চৌধুরীকে আটক করে ডালিম হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে বন্দী নাসিরউদ্দিনকে মীর কাসেমের উপস্থিতিতে দিনের পর দিন নির্যাতন করা হতো। এ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মীর কাসেমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। ছয় অভিযোগে সাত বছর করে কারাদণ্ড: মীর কাসেমের বিরুদ্ধে তৃতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ, সপ্তম, নবম ও দশম অভিযোগে বলা হয়েছে, ২২ বা ২৩ নভেম্বর কদমতলী এলাকা থেকে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ২৪ নভেম্বর ডবলমুরিং এলাকা থেকে সাইফুদ্দিন খান, ২৭ নভেম্বর ডবলমুরিং এলাকা থেকে সানাউল্লাহ চৌধুরী, হাবিবুর রহমান ও ইলিয়াস এবং ২৮ নভেম্বর হারুন অর রশিদ খানকে আটক করে ডালিম হোটেলে নিয়ে যায় মীর কাসেমের নেতৃত্বাধীন আলবদর বাহিনী। ২৯ নভেম্বর সকালে নাজিরবাড়ি এলাকা থেকে নুরুজ্জামান ও তাঁর চাচাতো ভাই সৈয়দ মো. ওসমান হোসেন, সৈয়দ মো. জামালউদ্দিন, সৈয়দ মো. কামালউদ্দিন, সৈয়দ মো. সারওয়ারউদ্দিন, সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া ও সৈয়দ মো. গোলাম রহমানকে আটক করে ডালিম হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। একই দিন বিকেলে একই এলাকা থেকে মো. জাকারিয়া, মো. সালাউদ্দিন, ইস্কান্দার আলম চৌধুরী, মো. নাজিমউদ্দিনসহ আরও অনেককে ধরে ডালিম হোটেলে নিয়ে যায় আলবদর সদস্যরা। মীর কাসেমের নির্দেশে ডালিম হোটেলে বন্দী সবাইকে নির্যাতন করে আলবদর সদস্যরা। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের পর মুক্তিযোদ্ধারা ডালিম হোটেলের বন্দীদের মুক্ত করেন। এই ছয়টি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মীর কাসেমকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। চার অভিযোগে খালাস: মীর কাসেমের বিরুদ্ধে গঠন করা চারটি অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল তাঁকে খালাস দিয়েছেন। প্রথম ও পঞ্চম অভিযোগ অনুসারে, একাত্তরের ৮ নভেম্বর চট্টগ্রামের চাক্তাই সাম্পানঘাট থেকে মো. ওমর-উল ইসলাম চৌধুরী ও ২৫ নভেম্বর নন্দনকানন এলাকা থেকে আবদুল জব্বার মেম্বারকে আটক করে ডালিম হোটেলে নিয়ে নির্যাতন করে মীর কাসেমের নেতৃত্বাধীন আলবদর বাহিনী। এই দুটি অভিযোগে রাষ্ট্রপক্ষ কোনো সাক্ষী হাজির করতে না পারায় মীর কাসেমকে খালাস দেওয়া হয়। অষ্টম ও ১৩তম অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তরের ২৯ নভেম্বর নুরুল কুদ্দুস, মো. নাসির, নুরুল হাশেমসহ চারজনকে চান্দগাঁও এলাকা থেকে আটক করে ডালিম হোটেলে নিয়ে নির্যাতন করে আলবদররা। আর নভেম্বর মাসের শেষ দিকে সুনীল কান্তি বর্মণকে আন্দরকিল্লা এলাকা থেকে আটক করে ডালিম হোটেলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের দাখিল করা সাক্ষ্যপ্রমাণে এই দুটি অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল মীর কাসেমকে খালাস দেন। চূড়ান্ত আদেশে ট্রাইব্যুনাল বলেন, কারাদণ্ডের সব সাজা একসঙ্গে শুরু হবে। কিন্তু সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়ায় বাকি সব শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের সঙ্গে একীভূত হয়ে যাবে। ফাঁসির রশিতে ঝুলিয়ে মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করার অধিকার আসামির থাকবে। বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা শেষ করে এজলাস ত্যাগ করেন তিন বিচারক। এ সময় আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারকদের দিকে তর্জনী তুলে মীর কাসেম বলেন, ‘মিথ্যা ঘটনা, মিথ্যা সাক্ষী, ফরমায়েশি সাক্ষী। সত্য বিজয়ী হবে, মিথ্যা পরাজিত হবে, শীঘ্রই শীঘ্রই...।’ এজলাসে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা মীর কাসেমকে এ সময় হাজতখানায় নিয়ে যান। প্রতিক্রিয়া: রায় ঘোষণার পর রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জেয়াদ-আল-মালুম সন্তোষ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। দেশে বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি ছিল, তা থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পেরেছি।’ রাষ্ট্রপক্ষের আরেক কৌঁসুলি তুরিন আফরোজ বলেন, চট্টগ্রামের ডালিম হোটেলে স্থাপিত নির্যাতন ক্যাম্পের পরিচালক ছিলেন মীর কাসেম আলী। এ রায়ের মাধ্যমে সারা দেশের অন্যান্য এলাকায় যেসব নির্যাতন ক্যাম্প ছিল, তার চিত্রও ফুটে উঠেছে। আসামিপক্ষ জানিয়েছে, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবে। মীর কাসেমের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম দাবি করেন, দ্বিধাবিভক্ত রায়ে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে না। রাষ্ট্রপক্ষ যেসব প্রমাণ ও দলিল উপস্থাপন করেছে, তা ভিত্তিহীন। একাত্তরের নভেম্বরের পর মীর কাসেম চট্টগ্রামে ছিলেন না। ডালিম হোটেলে যে নির্যাতন ক্যাম্প ছিল, তার সঙ্গে মীর কাসেমের কোনো সম্পর্ক ছিল না। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তার ফল এখন পাওয়া যাচ্ছে। এই বিচারের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারীদের শাস্তি হচ্ছে, এ জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। ১৪ অভিযোগ মৃত্যুদণ্ড: মুক্তিযোদ্ধা জসিম এবং রণজিৎ দাস ও টুন্টু সেন হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড কারাদণ্ড: নির্যাতনের আটটি অভিযোগের একটিতে ২০ বছর, একটিতে ১০ বছর এবং বাকি ছয়টিতে সাত বছর করে কারাদণ্ড খালাস: নির্যাতনের চারটি অভিযোগ থেকে খালাস ট্রাইব্যুনালের পর্যবেক্ষণ চট্টগ্রাম শহরের আন্দরকিল্লায় ডালিম হোটেলে স্থাপিত আলবদর বাহিনীর ক্যাম্প ও নির্যাতন কেন্দ্র মুক্তিযুদ্ধকালে হত্যাপুরীতে পরিণত হয়। মীর কাসেমের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় আলবদর সদস্যরা মুক্তিকামী লোকজনকে ধরে নিয়ে ডালিম হোটেলে আটকে নির্মম নির্যাতন করত, যা সহ্য করতে না পেরে অনেকই মারা যেত। ডালিম হোটেল আর মীর কাসেম আলী হয়ে ওঠেন অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।

No comments:

Post a Comment