ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন জেলায় দায়ের করা এক ডজনেরও বেশি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে দেশে
ফিরেও গ্রেপ্তার হননি সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। তিনি এখন কোথায় আছেন, তা স্পষ্ট জানা যায়নি। তবে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তিনি ঢাকায়ই আছেন। হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে মন্ত্রিত্ব ও দলীয় সদস্য পদ খোয়ানো এই সংসদ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা না-করা নিয়ে একের পর এক নাটক হচ্ছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হাতে থাকলেও ‘ওপর মহলের’ নির্দেশ না আসার অজুহাত দেখিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে উৎসাহ দেখাচ্ছে না পুলিশ। এদিকে সংসদের স্পিকার বলেছেন, লতিফ সিদ্দিকী এখনো সংসদ সদস্য থাকলেও তাঁকে গ্রেপ্তার করতে স্পিকারের অনুমতির প্রয়োজন নেই। অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলছেন, অনুমতি লাগবে। এ অবস্থায় হাত গুটিয়ে রয়েছে পুলিশ। তবে পুলিশ কর্মকর্তাদের দাবি, লতিফ সিদ্দিকী তাঁদের নজরদারির মধ্যেই আছেন। গত রবিবার রাত ৮টা ২১ মিনিটে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন লতিফ সিদ্দিকী। এক ঘণ্টার বেশি সময় বিমানবন্দরে অবস্থান করে রাত ৯টা ২৬ মিনিটে নির্বিঘ্নে বেরিয়ে যান সেখান থেকে। এর পর থেকে তিনি কোথায় আছেন তা কেউ বলতে পারছে না। তিনি হাইকোর্টে আগাম জামিন চাইতে যাচ্ছেন বলে গতকাল সোমবার সকালে গুজব রটে। কিন্তু বাস্তবে তিনি যাননি। গত সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে লতিফ সিদ্দিকী মন্ত্রিত্ব হারান। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পদ থেকেও তাঁকে সরানো হয়। পরে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও বহিষ্কৃত হন তিনি। প্রায় দুই মাস ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করে হঠাৎ তিনি ঢাকায় এসেছেন। বিমানবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ গেট দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে আর দেখা যায়নি। তাঁকে গ্রেপ্তার না করায় বিভিন্ন সংগঠন হরতালের কর্মসূচিও দিয়েছে। লতিফ সিদ্দিকী কোথায় আছেন সেই খোঁজ কেউ দিতে না পারলেও তিনি ঢাকায় আছেন বলে মোটামুটি নিশ্চিত পুলিশ। তাঁর ঘনিষ্ঠ একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, লতিফ সিদ্দিকী তাঁর ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির বাসায় রয়েছেন। তবে বাসাটি কোন এলাকায় তা তিনি বলেননি। শিগগিরই আদালতে আত্মসমর্পণ : ঘনিষ্ঠ ওই সূত্রে জানা যায়, লতিফ সিদ্দিকী শিগগিরই আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন। এ বিষয়ে ব্যক্তিগত আইনজীবীর সঙ্গে কথাবার্তাও হয়েছে তাঁর। আত্মগোপনে আছেন কি না জানতে চাইলে লতিফ সিদ্দিকীর ঘনিষ্ঠ ওই ব্যক্তি আপত্তি জানিয়ে বলেন, ‘তিনি আত্মগোপনে থাকবেন কেন? পালিয়ে থাকার ইচ্ছা থাকলে তো দেশেই ফিরতেন না। তবে আপাতত পর্যবেক্ষণে রয়েছেন, পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় তা দেখার জন্য।’ লতিফ সিদ্দিকীর বিতর্কিত মন্তব্য প্রচার হওয়ার পরপরই বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করা হয়। দেশের বিভিন্ন আদালতে মামলাও দায়ের করা হয়। তখনই কর্মসূতি দিতে চেয়েছিল ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলো। সরকার লতিফ সিদ্দিকীর বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় আন্দোলন থেকে সরে এসেছিল ওই সব সংগঠন। কিন্তু তিনি দেশে ফেরার পর গ্রেপ্তার না হওয়ায় সবাই হতভম্ব হয়ে পড়েছে। দেশে সমালোচনার ঝড় বইছে। আবার নতুন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। দেশ সংঘাতের দিকে যায় কি না তা নিয়েও অনেকের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সিদ্ধান্তহীনতায় পুলিশ : লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে বেশ নাটকীয়তা শুরু হয়েছে। কলকাতা থেকে তিনি দেশে আসার পর কোথায় আছেন তাও সঠিকভাবে কেউ বলতে পারছে না। তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারবে কি পারবে না সেই সিদ্ধান্তই নিতে পারছে না পুলিশ। এখনো ‘ওপরের মহলের’ নির্দেশ না আসায় লতিফ সিদ্দিকী আপাতত গ্রেপ্তার হচ্ছেন না বলে জানা গেছে। পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘তাঁকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে আমরা অসহায়। আদালতের নির্দেশ থাকার পরও তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না। তাঁকে গ্রেপ্তার করতে হলে স্পিকারের অনুমতি লাগবে, তা বলা অমূলক। তবে তিনি নজরদারির মধ্যেই আছেন।’ পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাতে ঢাকায় এসে দীর্ঘ প্রায় এক ঘণ্টা বিমানবন্দরে অবস্থান করার পরও লতিফকে গ্রেপ্তার করতে আগ্রহ দেখায়নি পুলিশ। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জের দোলনচাপায় খোশ মেজাজেই ছিলেন তিনি। গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক কর্মকর্তা তাঁর সঙ্গে বারবার কথা বলেছেন। আবার কোনো কোনো পুলিশ কর্মকর্তা ওয়াকিটকির মাধ্যমে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা চাচ্ছিলেন। কোনো নির্দেশ না পেয়ে পুলিশও পড়ে যায় অনেকটা বেকায়দায়। ওপরের মহল থেকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ না আসায় রাত ৯টা ২৬ মিনিটে অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল দিয়ে লতিফ সিদ্দিকীকে বের করে দেওয়া হয়। এ নিয়ে পুলিশের ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা গতকাল সোমবার রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘লতিফ সিদ্দিকী আমাদের নজরদারির মধ্যেই আছেন। সিগন্যাল এলেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে। যতক্ষণ সরকার আমাদের নির্দেশ না দেবে ততক্ষণ তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে না।’ এক প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, একাধিক আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলে কোনো সংসদ সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে স্পিকারের অনুমতি লাগে না। ইচ্ছা করলেই পুলিশ পরোয়ানার আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারে। পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘লতিফ সিদ্দিকী প্রকাশ্যে বড় বড় কথা বলতেন। এখন তিনি আত্মগোপনে গেছেন কেন?’ আগাম জামিন আবেদনের গুঞ্জন : লতিফ সিদ্দিকীর অবস্থান নিয়ে গতকাল দিনভর নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়। তিনি হাইকোর্টে আগাম জামিন নিতে হাজির হয়েছেন বলেও বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রচার করা হয়। কিন্তু বাস্তবে তিনি হাইকোর্টে হাজির হননি। গতকাল সাংবাদিকরা বিভিন্ন আদালত কক্ষ ও আইনজীবীদের কক্ষে লতিফ সিদ্দিকীকে খুঁজেছেন। কিন্তু তাঁর হদিস মেলেনি। একপর্যায়ে সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে, লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে জামিনের আবেদন করছেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন। এর সত্যতা জানতে সাংবাদিকরা ছুটে যান তাঁর কাছে। কিন্তু তিনি লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে মামলা করছেন না বলে জানান। এমনকি সকালে তাঁর বরাত দিয়ে যে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে তার সত্যতাও অস্বীকার করেন তিনি। নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘লতিফ সিদ্দিকী নামে কোনো মক্কেল আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তিনি হাইকোর্টে এসেছেন এমন কথাও আমি কাউকে বলিনি।’ লতিফ সিদ্দিকী জামিন নিতে হাইকোর্টে এসেছেন কি না জানতে চাইলে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম গতকাল বিকেলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এমন কোনো সংবাদ আমার জানা নেই।’ লতিফ সিদ্দিকী জামিনের আবেদন করেছেন কি না জানতে চাইলেও একই উত্তর দেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বলেন, দলীয় কোনো বিষয়ে তাঁরা গুরুত্ব দেবেন না। জামিন আবেদন করলে আইন নিজস্ব গতিতে চলবে। গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে স্পিকার ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী : লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তারে আইনি জটিলতা আছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। লতিফ সিদ্দিকীর বিষয়ে মন্ত্রিসভায় কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আপনারা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছ থেকে জেনে নিন।’ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও তাঁকে গ্রেপ্তার না করা ব্যর্থতা কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কোনো ব্যর্থতা নেই। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে তা যেমন সত্য, লতিফ সিদ্দিকী এখনো এমপি, তাঁর এমপির পদ এখনো যায়নি এটিও তেমন সত্য। একজন এমপিকে গ্রেপ্তার করতে হলে স্পিকারের অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে। গ্রেপ্তারে আইনি জটিলতা আছে। আশা করি তা অচিরেই কেটে যাবে।’ অন্যদিকে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, দল ও মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করা হলেও টাঙ্গাইল-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এখনো আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। তাঁকে গ্রেপ্তারে অনুমতির প্রয়োজন নেই। জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ১৭৪ ধারায় বলা হয়েছে, ‘স্পিকারের অনুমতি ব্যতিরেকে সংসদ সীমার মধ্যে কাহাকেও গ্রেপ্তার করা যাইবে না।’ এখানে সংসদ সীমার ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, সংসদের অধিবেশন কক্ষ, লবি, গ্যালারি বা স্পিকার কর্তৃক নির্ধারিত স্থান। ফলে সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তারে কোনো বাধা নেই। এর আগে একাধিক সংসদ সদস্যকে স্পিকারের অনুমতি ছাড়া গ্রেপ্তারের নজির আছে। নবম সংসদে বিএনপির কয়েকজন সদস্যকে স্পিকারের অনুমতি ছাড়া গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বিরোধীদলীয় সদস্যরা বিষয়টি স্পিকারের দৃষ্টিতে আনলে তখন স্পিকার তাঁদের সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ওই ধারা পড়ে শোনান। এ বিষয়ে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, সংসদের বাইরে থেকে সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তারের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অনুমতি লাগবে বলে জানালেও সেটা ঠিক নয়। তিনি বলেন, চলমান একটি আইনে সংসদ অধিবেশন চলাকালে এবং অধিবেশনের আগে ও পরের ১৪ দিনে সংসদ সদস্যদের গ্রেপ্তারে নিষেধাজ্ঞা আছে। তবে সেখানে স্পিকারের অনুমতির কোনো বিষয় উল্লেখ নেই। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কোথায় : ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে সারা দেশে ৩০টির বেশি মামলা হয়। এর মধ্যে এক ডজনেরও বেশি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এসব পরোয়ানা পাঠানো হয় তাঁর স্থায়ী ঠিকানা টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে। আমলযোগ্য অপরাধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল করার দায়িত্ব পুলিশের। আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি পরোয়ানাই সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হয়েছে। তবে টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানার ওসি আসলাম ইকবাল কালের কণ্ঠকে বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থানায় পাঠানো হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। তাঁরা পরোয়ানা হাতে পাননি দাবি করে ওসি বলেন, এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনাও পাননি তিনি। আইনজীবীরা বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে এটা অজানা নেই কারো। কাজেই পুলিশ যেকোনো সময়ই তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারে। যত মামলা : ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ঢাকায় সাতটি, চট্টগ্রামে তিনটি, নারায়ণগঞ্জ, সাতক্ষীরা, সিলেট, চাঁদপুরে দুটি করে এবং গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নোয়াখালী, বরগুনা, কুমিল্লা, জামালপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিরাজগঞ্জ, মৌলভীবাজার, মাগুরা, টাঙ্গাইল, বরিশাল চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও হবিগঞ্জে একটি করে মামলা হয়। এ পর্যন্ত ৩২টি মামলার খবর জানা গেছে। এসবের মধ্যে এক ডজনেরও বেশি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। বাকিগুলোতে তাঁকে সশরীরে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করা হয়েছে। দণ্ডবিধির ২৯৫ ও ২৯৮ ধারায় এসব মামলা করা হয়েছে। ২৯৫ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো শ্রেণির লোকের ধর্মের অবমাননার উদ্দেশে কোনো উপাসনার স্থান বা পবিত্র বস্তু ধ্বংস বা অপবিত্র করা। এই ধারার অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
No comments:
Post a Comment