Sunday, November 9, 2014

ময়মনসিংহে আ’লীগের বর্ধিত সভা নিয়ে গুলি ককটেল বিস্ফোরণ:নয়াদিগন্ত

ধর্মমন্ত্রী অধ্য মতিউর রহমানের উপস্থিতিতে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, গুলি, ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।   প্রত্যদর্শীরা জানান, শনিবার রাতে শহরের শিববাড়ি রোডের দলীয় কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা চলাকালে মেয়র ইকরামুল হক টিটুর সমর্থনে স্লোগান দিতে দিতে কিছু দলীয়কর্মী মিছিলসহকারে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সভাস্থলের দিকে এগিয়ে গেলে সভাস্থল থেকে প্রতিদ্ব
ন্দ্বী গ্র“পের কর্মীরা তাদেরকে ধাওয়া করে। এ সময় গাঙিনারপাড় সড়কে গুলি ও ১০-১২টি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এ সময় উভয়পরে মধ্যে ধাওয়া- পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং কয়েকটি ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। শহরের লোকজন ভয়ে ছোটাছুটি শুরু করলে গাঙিনারপাড়, সি কে ঘোষ রোড, রামবাবু রোড ও দুর্গাবাড়ি রোডসহ আশপাশ এলাকায় দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পুলিশ পাহারায় ধর্মমন্ত্রী অধ্য মতিউর রহমান দলীয় কার্যালয় ত্যাগ করে শহরের নাটকঘর লেনে নিজ বাসভবনে চলে যান। শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।   দলীয় একটি সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ধর্মমন্ত্রীর সভাপতিত্বে শনিবার রাত ৮টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার শেষ দিকে মেয়র গ্র“পের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিােভ করলে প্রতিপরে নেতাকর্মীরা ধাওয়া করে। এ সময় পদবঞ্চিত মেয়র ইকরামুল হক টিটু গ্র“পের নেতাকর্মীরা গাঙিনারপাড় ও দুর্গাবাড়ি এলাকায় দুই-তিন রাউন্ড গুলিবর্ষণ ও কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটায় এবং তিন-চারটি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এতে পুরো শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।   কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজলুল করিম জানান, পদবঞ্চিতরা মো: আরিফের নেতৃত্বে দলবল নিয়ে রাত ৮টার দিকে শিববাড়ির আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঢুকতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে বিুব্ধ নেতাকর্মীরা ফিরে গিয়ে গাঙিনারপাড় ট্রাফিক মোড় ও দুর্গাবাড়ি এলাকায় গুলি ও কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং গাড়ি ভাঙচুর করে।   এ ব্যাপারে ধর্মমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্য মতিউর রহমান জানান, মৃত্যুর কারণে শূন্য হওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের ১৩টি পদ পূরণসহ উপজেলা ও জেলা সম্মেলন সম্পন্ন করার ল্েয বর্ধিত সভা আহবান করা হয়। সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সব সদস্যের উপস্থিতিতে এবং ভোটের মাধ্যমে ১৩টি শূন্য পদের মধ্যে ১২টি সরাসরি প্রস্তাব ও ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়। তিনি আরো জানান, সভা শেষে বাসায় চলে এলে পদবঞ্চিত মেয়র টিটুর লোকজন শহরে গণ্ডগোল করেছে বলে শুনেছি।   জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মী জানান, পৌরমেয়র ইকরামুল হক টিটু, সাবেক ছাত্রনেতা কাজী আজাদ জাহান শামীম ও শওকত জাহান মুকুলের নাম প্রস্তাব করা হলেও কমিটিতে স্থান না পাওয়ায় তাদের কর্মী-সমর্থকরা গণ্ডগোল করেছে।   এ ব্যাপারে পৌরমেয়র ইকরামুল হক টিটু জানান, দীর্ঘ দিন ধরে কমিটি পূরণ করা হচ্ছে না। অসৎ উদ্দেশ্যেই এখন নতুন করে পারিবারিক লোকজনকে এবং গুণ্ডা প্রকৃতির লোকদেরকে পদবি দেয়া হচ্ছে। ত্যাগী নেতাকর্মীদের নাম প্রস্তাব করা হলেও তাদেরকে কমিটিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তিনি তার সমর্থকদের গুলিবর্ষণ ও ভাঙচুর করার কথা অস্বীকার করে বলেন, মতাসীনরাই প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণ ও ভাঙচুর করেছে।   সভায় ৭১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির ১৩টি শূন্য পদে নির্বাচিতরা হলেনÑ সহসভাপতি জাহানারা খান ও মাওলানা রুহুল আমিন মাদানী, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্য গোলাম সারোয়ার, দফতর সম্পাদক হোসাইন জাহাঙ্গীর বাবু, শিা ও ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল এমপি, বন ও পরিবেশ সম্পাদক শরীফ আহমেদ এমপি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মাহিউদ্দিন, সম্পাদক অ্যাডভোকেট জালাল আহমেদ ও সদস্য পদে আনোয়ারুল আবেদীন তুহীন এমপি, ফাতেমা জোহরা রানী এমপি ও জহিরুল ইসলাম।

No comments:

Post a Comment