ী লীগকর্মীর নাম আমজাদ হোসেন। তিনি পাঁচরুখী এলাকার ইদ্রিস মোল্লার ছেলে। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম আওয়ামী লীগকর্মী দ্বীন ইসলাম (৪০), সাইফুল ইসলাম (৫৫), আইয়ুবুর রহমান (৩৫) ও সোলায়মানকে (২৮) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় যুবদলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের সমর্থক স্থানীয় যুবদল নেতা সজীব ও আওয়ামী লীগকর্মী আমজাদ হোসেনের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষই পরস্পরের ওপর হামলা চালায়। আহতদের মধ্যে আমজাদ হোসেনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর শরীরে ধারালো অস্ত্র ও গুলির চিহ্ন রয়েছে। পরিবারের সঙ্গে নিহত আমজাদ হোসেন। - ফাইল ছবি খবর পেয়ে আড়াইহাজার থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু আমজাদের মৃত্যুর খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে। তারা পাঁচরুখী এলাকার বিএনপি সমর্থক ফারুক ও কবিরের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। অবরোধের কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক কাঁচপুর ও পাঁচদোনা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে যানবাহন চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়। জানা গেছে, কয়েক দিন আগে পোস্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় বাজারে অবস্থিত বিএনপির লোকজনের কয়েকটি দোকান ও যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম আজাদের ফেস্টুন ভাঙচুর হয়। এরই জের ধরে গতকাল দুই পক্ষের মধ্যে আবার সংঘর্ষ বাধে বলে স্থানীয় লোকজন জানায়। স্থানীয় যুবলীগ নেতা আব্দুল হাই দাবি করেন, গতকাল আমজাদ বাড়ি থেকে বের হলে যুবদল নেতা সজীব ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে কুপিয়ে ও গুলি করে ফেলে যায়। আড়াইহাজার থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচরুখী ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি আপাতত শান্ত। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Monday, December 1, 2014
বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে আ. লীগকর্মী নিহত:কালের কন্ঠ
ী লীগকর্মীর নাম আমজাদ হোসেন। তিনি পাঁচরুখী এলাকার ইদ্রিস মোল্লার ছেলে। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম আওয়ামী লীগকর্মী দ্বীন ইসলাম (৪০), সাইফুল ইসলাম (৫৫), আইয়ুবুর রহমান (৩৫) ও সোলায়মানকে (২৮) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় যুবদলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের সমর্থক স্থানীয় যুবদল নেতা সজীব ও আওয়ামী লীগকর্মী আমজাদ হোসেনের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষই পরস্পরের ওপর হামলা চালায়। আহতদের মধ্যে আমজাদ হোসেনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর শরীরে ধারালো অস্ত্র ও গুলির চিহ্ন রয়েছে। পরিবারের সঙ্গে নিহত আমজাদ হোসেন। - ফাইল ছবি খবর পেয়ে আড়াইহাজার থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু আমজাদের মৃত্যুর খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে। তারা পাঁচরুখী এলাকার বিএনপি সমর্থক ফারুক ও কবিরের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। অবরোধের কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক কাঁচপুর ও পাঁচদোনা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে যানবাহন চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়। জানা গেছে, কয়েক দিন আগে পোস্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় বাজারে অবস্থিত বিএনপির লোকজনের কয়েকটি দোকান ও যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম আজাদের ফেস্টুন ভাঙচুর হয়। এরই জের ধরে গতকাল দুই পক্ষের মধ্যে আবার সংঘর্ষ বাধে বলে স্থানীয় লোকজন জানায়। স্থানীয় যুবলীগ নেতা আব্দুল হাই দাবি করেন, গতকাল আমজাদ বাড়ি থেকে বের হলে যুবদল নেতা সজীব ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে কুপিয়ে ও গুলি করে ফেলে যায়। আড়াইহাজার থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচরুখী ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি আপাতত শান্ত। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment