দনের উল্লেখযোগ্য অংশ পড়ে শোনান। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাতজনকে অপহরণ থেকে শুরু করে লাশ নদীতে ডোবানো পর্যন্ত পুরো কার্যক্রমের সঙ্গে লে. কর্নেল (অব) তারেক সাঈদ ও কোম্পানি কমান্ডার মেজর (অব.) আরিফ হোসেন জড়িত ছিলেন বলে তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। আরেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) এম এম রানা অপহরণ করা পর্যন্ত জড়িত ছিলেন। এ ঘটনায় বিভিন্ন পর্যায়ে সহায়তা করেছেন র্যাবের আরও ১৮ জন সদস্য। তাঁরা হলেন উপপরিদর্শক পূর্ণেন্দ্র বালা, এ বি আরিফ হোসেন, নায়েক নাজিম (গাড়িচালক), নায়েক দেলোয়ার (গাড়িচালক), ল্যান্স নায়েক হিরা মিয়া, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সি, সৈনিক আবদুল আলীম, সৈনিক আলামিন, সিপাহি তৈয়ব, কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন, কনস্টেবল আলামিন, হাবিলদার এমদাদ, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সৈনিক আসাদ, সার্জেন্ট এনামুল, এএসআই বজলু, হাবিলদার (গাড়িচালক) নাছির ও সৈনিক তাজুল। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এঁরা র্যাব-১১-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবৈধ আদেশ বিভিন্ন মাত্রায় পালন করেছেন। তদন্তে আঁচ করা যায়, র্যাব-১১-এর সংশ্লিষ্ট অধস্তন সদস্যগণ ঘটনাপ্রবাহের প্রাথমিক পর্যায়ে এটাকে তাঁদের সরকারি দায়িত্ব মনে করে থাকতে পারেন। পরবর্তীতে তারা প্রাণের ভয়ে ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে নিজেদের জড়িত রেখেছেন বলে প্রতীয়মান হয়।’ শুনানি: অ্যাটর্নি জেনারেল তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর আদালত জানতে চান, এই প্রতিবেদন সম্পূর্ণ কি না? এর পরও তো পাঁচজন স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পত্রিকায় এসেছে। তাঁদের নাম এতে আছে কি না? জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন প্রশাসনিক। আদালত র্যাবকে অভ্যন্তরীণ তদন্ত করতে আদেশ দিয়েছিলেন। এটা চূড়ান্ত বলে গণ্য করা যাবে না। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। শেষ পর্যায়ে আদালত বলেন, ‘খবরে দেখলাম, তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান পরিবর্তন করা হয়েছে। কমিটি পুনর্গঠনের আগে জানানো উচিত ছিল।’ জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তাঁকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। তিনি সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) ভারপ্রাপ্ত সচিব হয়েছেন। আদালত বলেন, নতুন ব্যক্তিকে তো প্রথম থেকে শুরু করতে হবে। আগে যিনি ছিলেন, তিনিই দায়িত্ব পালন করবেন। চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল না করা পর্যন্ত তিনি থাকবেন। পরে আদালত আগামী জানুয়ারিতে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। আদালতের কার্যক্রম শেষ হলে নিজের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, এই প্রতিবেদন মামলার বিচারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। বিচারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে মামলার তদন্তকারীর দেওয়া প্রতিবেদন। সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই মামলার বিচার হবে। প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশে এ ঘটনায় গঠিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি করে। কমিটির প্রধান ছিলেন শাহজাহান আলী মোল্লা। তিনি পদোন্নতি পাওয়ার পর গত মঙ্গলবার তাঁর স্থলে দায়িত্ব পান অতিরিক্ত সচিব আবদুল হাকিম। গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজন অপহৃত হন। ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও পরদিন একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে ৫ মে হাইকোর্টের এই বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করেন এবং কয়েকটি নির্দেশনা দেন। এর মধ্যে র্যাবকে বিভাগীয় তদন্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Thursday, December 11, 2014
তিন কর্মকর্তাসহ র্যাবের ২১ সদস্য জড়িত:প্রথম অালো
দনের উল্লেখযোগ্য অংশ পড়ে শোনান। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাতজনকে অপহরণ থেকে শুরু করে লাশ নদীতে ডোবানো পর্যন্ত পুরো কার্যক্রমের সঙ্গে লে. কর্নেল (অব) তারেক সাঈদ ও কোম্পানি কমান্ডার মেজর (অব.) আরিফ হোসেন জড়িত ছিলেন বলে তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। আরেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) এম এম রানা অপহরণ করা পর্যন্ত জড়িত ছিলেন। এ ঘটনায় বিভিন্ন পর্যায়ে সহায়তা করেছেন র্যাবের আরও ১৮ জন সদস্য। তাঁরা হলেন উপপরিদর্শক পূর্ণেন্দ্র বালা, এ বি আরিফ হোসেন, নায়েক নাজিম (গাড়িচালক), নায়েক দেলোয়ার (গাড়িচালক), ল্যান্স নায়েক হিরা মিয়া, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সি, সৈনিক আবদুল আলীম, সৈনিক আলামিন, সিপাহি তৈয়ব, কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন, কনস্টেবল আলামিন, হাবিলদার এমদাদ, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সৈনিক আসাদ, সার্জেন্ট এনামুল, এএসআই বজলু, হাবিলদার (গাড়িচালক) নাছির ও সৈনিক তাজুল। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এঁরা র্যাব-১১-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবৈধ আদেশ বিভিন্ন মাত্রায় পালন করেছেন। তদন্তে আঁচ করা যায়, র্যাব-১১-এর সংশ্লিষ্ট অধস্তন সদস্যগণ ঘটনাপ্রবাহের প্রাথমিক পর্যায়ে এটাকে তাঁদের সরকারি দায়িত্ব মনে করে থাকতে পারেন। পরবর্তীতে তারা প্রাণের ভয়ে ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে নিজেদের জড়িত রেখেছেন বলে প্রতীয়মান হয়।’ শুনানি: অ্যাটর্নি জেনারেল তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর আদালত জানতে চান, এই প্রতিবেদন সম্পূর্ণ কি না? এর পরও তো পাঁচজন স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পত্রিকায় এসেছে। তাঁদের নাম এতে আছে কি না? জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন প্রশাসনিক। আদালত র্যাবকে অভ্যন্তরীণ তদন্ত করতে আদেশ দিয়েছিলেন। এটা চূড়ান্ত বলে গণ্য করা যাবে না। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। শেষ পর্যায়ে আদালত বলেন, ‘খবরে দেখলাম, তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান পরিবর্তন করা হয়েছে। কমিটি পুনর্গঠনের আগে জানানো উচিত ছিল।’ জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তাঁকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। তিনি সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) ভারপ্রাপ্ত সচিব হয়েছেন। আদালত বলেন, নতুন ব্যক্তিকে তো প্রথম থেকে শুরু করতে হবে। আগে যিনি ছিলেন, তিনিই দায়িত্ব পালন করবেন। চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল না করা পর্যন্ত তিনি থাকবেন। পরে আদালত আগামী জানুয়ারিতে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। আদালতের কার্যক্রম শেষ হলে নিজের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, এই প্রতিবেদন মামলার বিচারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। বিচারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে মামলার তদন্তকারীর দেওয়া প্রতিবেদন। সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই মামলার বিচার হবে। প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশে এ ঘটনায় গঠিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি করে। কমিটির প্রধান ছিলেন শাহজাহান আলী মোল্লা। তিনি পদোন্নতি পাওয়ার পর গত মঙ্গলবার তাঁর স্থলে দায়িত্ব পান অতিরিক্ত সচিব আবদুল হাকিম। গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজন অপহৃত হন। ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও পরদিন একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে ৫ মে হাইকোর্টের এই বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করেন এবং কয়েকটি নির্দেশনা দেন। এর মধ্যে র্যাবকে বিভাগীয় তদন্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment