Saturday, December 20, 2014

৫ জানুয়ারির নির্বাচন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরোধী নেতার কাছে ২টি রিপোর্ট পেশ:নয়াদিগন্ত

বাংলাদেশ পলিসি ফোরাম ক্যামব্রিজের প থেকে অস্ট্রেলিয়ার শ্যাডো প্রাইম মিনিস্টার ও বিরোধীদলীয় নেতা লেবার পার্টির প্রেসিডেন্ট বিল সর্টেনের কাছে বাংলাদেশের ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে দু’টি রিপোর্ট পেশ করা হয়। বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের প্রেসিডেন্ট কায়াস মাহমুদ জনির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল মেলবোর্নে বিল সর্টেনের ইলেকটরেট অফিসে রিপোর্ট দু’টি জমা দেন। বি
ল সর্টেনের প থেকে তার ইলেকটরেট অফিসার সুজান রিপোর্টটি গ্রহণ করেন।   উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় ইস্যু নিয়ে ব্যস্ত থাকায় বিল সর্টেন প্রতিনিধিদলের সাথে সাাৎ করতে পারেননি। পরে বিল সর্টেনের ইলেকটরেট অফিসার সুজানের সাথে প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে ১ ঘণ্টা আলোচনা করেন। আলোচনায় বাংলাদেশের বর্তমান প্রোপট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার গঠিত হওয়ার বিষয় উল্লেখ করা হয়। আলোচনায় আরো উল্লেখ করা হয় যে, বাংলাদেশের মানুষ কোনো দাবি নিয়ে মাঠে নামলে সরকার পুলিশ দিয়ে নির্মম অত্যাচার চালায় এবং সরকারের হুকুমে পুলিশ বাহিনী কোনো কারণ ছাড়াই নির্বিচারে সাধারণ মানুষের ওপর গুলিবর্ষণ করে। বর্তমানে বাংলাদেশে একদলীয় শাসন চলছে এবং সংসদে কোনো বিরোধী দল নেই। এভাবে কোনো গণতান্ত্রিক দেশ চলতে পারে না। প্রতিনিধিদল এসব কিছুই বিল সর্টেনকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানান এবং অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে তিনি যাতে বাংলাদেশের নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে একটি বিল উত্থাপন করেন সে ব্যাপারে প্রতিনিধিদল অনুরোধ জানায়।   প্রতিনিধিদলের সাথে আলাপকালে বিল সর্টেনের ইলেকটরেট অফিসার সুজান বাংলাদেশের ভোটারবিহীন নির্বাচন নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন এবং এ বিষয়ে বিল সর্টেন অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে একটি বিল উপস্থাপন করবেন বলে প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করা হয়। পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন মেলবোর্ন বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতা জালাল আহমেদ কুমু, অস্ট্রেলিয়া লেবার পার্টি নেতা তৌহিদ পাটওয়ারী, কলামিস্ট সামসুল আরেফিন ও বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের সাধারণ সম্পাদক ফায়সাল মহাম্মেদ।   বৈঠক শেষে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের প্রেসিডেন্ট কায়াস মাহমুদ জনি বলেন, দেশবাসী ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করায় আমরা দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাই। আমরা আশা করি খুব শিগগিরই বাংলাদেশ সরকার আলোচনা ও সমঝোতার ভিত্তিতে দেশের সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নিরপে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে, যার মাধ্যমে মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা ফিরে আসবে।

No comments:

Post a Comment