Monday, December 15, 2014

সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ডলফিনের বসতি:প্রথম অালো

সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে ছড়িয়ে পড়া তেলের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ডলফিনের অভয়ারণ্য হিসেবে চিহ্নিত চাঁদপাই এলাকা। ডাঙ্গমারি ও দুধমুখী অভয়ারণ্য এলাকা মাঝারি মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জ এলাকার সাতটি প্লট বা এলাকা ও শরণখোলা রেঞ্জের ছয়টি এলাকার বৃক্ষে ওই তেলের প্রভাব পড়েছে। ছড়িয়ে পড়া তেল সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের ওপরে কী ধরনের প্রভাব ফেলেছে, তার প্রাথমিক হিসাব
করে এসব তথ্য জানিয়েছে বন বিভাগ । জেলেরা গত শনিবার শ্যালা নদীতে একাধিক মরা ডলফিন দেখার কথা জানিয়েছেন। তবে বন বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার পর্যন্ত কোনো প্রাণীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়নি। গতকাল রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল লিমিটেডের তিনটি বিক্রয়কেন্দ্র মোট ১৭ হাজার লিটার তেল সংগ্রহ করেছে। এর আগের দুই দিনে তারা প্রায় ২৪ হাজার লিটার তেল সংগ্রহ করেছিল। এ নিয়ে মোট ৪১ হাজার লিটার তেল সংগ্রহের দাবি করেছে বন বিভাগ। এ তেল গত মঙ্গলবার ডুবে যাওয়া ট্যাংকারে থাকা ফার্নেস অয়েল। ট্যাংকারটিতে সাড়ে তিন লাখ লিটারের বেশি ফার্নেস অয়েল ছিল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আমীর হোসেন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘বন বিভাগ ১০০টি নৌকার মাধ্যমে তেল সংগ্রহ করছে। পর্যায়ক্রমে নৌকার সংখ্যা বাড়ানো হবে। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণীর মৃতদেহ পাইনি।’ কেউ কোনো প্রাণীর মৃতদেহ দেখতে পেলে তাঁকে বন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। শ্যালা নদীতে ডুবে যাওয়া ওই ট্যাংকার ওটি সাউদার্ন স্টার-৭-এর মাস্টার (চালক) মোখলেসুর রহমানের (৫০) লাশ গতকাল উদ্ধার করা হয়েছে। সকাল ছয়টার দিকে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা নদীর জয়মনির বাদামতলা এলাকায় তাঁর লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় গ্রামবাসী, জেলে ও বন বিভাগের কর্মীরা সেখানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। তাঁর লাশ চাঁদপাই রেঞ্জ স্টেশন কার্যালয়ের সামনে রাখা হয়। ট্যাংকারডুবির পাঁচ দিন পর তাঁর লাশ উদ্ধার করা হলো। মোখলেসুর রহমান বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপাশা গ্রামের ইজ্জত আলীর ছেলে। সুন্দরবনের শ্যালা নদীর জয়মনিঘোল এলাকায় মঙ্গলবার ভোরে ‘টোটাল’ নামের একটি কার্গোর ধাক্কায় তেলবাহী ট্যাংকারটি ডুবে যায়। ওটি সাউদার্ন স্টার-৭-এর ব্যবস্থাপক মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, স্থানীয় জেলেরা ট্যাংকারডুবির ঘটনাস্থলের পাশে মাস্টারের লাশ ভাসতে দেখে বন বিভাগকে খবর দেন। পরে স্থানীয় গ্রামবাসী, জেলে ও বন বিভাগের কর্মীরা সেখানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন।

No comments:

Post a Comment