Sunday, January 18, 2015

শঙ্কা আর দুশ্চিন্তায় ৫ কোটি শিক্ষার্থী:কালের কন্ঠ

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর ক্যাম্পাসের দিবা শাখার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী জারিন তাসলিমা। গত ১২ জানুয়ারি স্কুল ছুটির আগ মুহূর্তে বিকেল ৩টার দিকে বিএনপি
জোটের অবরোধের মধ্যে এ ক্যাম্পাসে ককটেল ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। এর পর থেকে জারিনকে আর স্কুলে পাঠাতে পারেননি তার মা-বাবা। জারিনের বাবা আশফাক আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'মেয়েটা খুব ভয় পেয়েছে। তাই স্কুলে যেতে চায় না। আর বাবা হিসেবে এই অবস্থায় মেয়েকে স্কুলে পাঠাই কী করে? তাই মেয়েকে বলেছি, বাসায় যা পারো, পড়ো।' জারিনের বাবার প্রশ্ন, 'লালবাগের বাসা থেকে যে আজিমপুর পর্যন্ত যাব, সেই পথের নিশ্চয়তাটুকুই বা কে দেবে?' ভিকারুননিসার আজিমপুর ক্যাম্পাসে ককটেল নিক্ষেপে ছাত্রীদের তেমন কোনো ক্ষতি না হলেও পুরোমাত্রায় ভীতি ঢুকে পড়েছে সংশ্লিষ্ট সবার মাঝে। ওই দিনের পর থেকে ছাত্রীসংখ্যা বেশ কমে গেছে। গত বৃহস্পতিবার স্কুলের সামনে গিয়ে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের দুই পাশে ছয় পুলিশ সদস্য দাঁড়িয়ে আছেন। এক অভিভাবক লুৎফন নাহার বলেন, 'কিভাবে প্রতিদিন মেয়েকে পাঠাব? ছয়জন পুলিশ দাঁড়িয়েই কি হাজারখানেক মেয়েকে নিরাপত্তা দিতে পারবে।' ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুফিয়া খাতুন বলেন, 'অভিভাবকরা আতঙ্কিত। তাই অনেকেই বাচ্চাদের স্কুলে পাঠান না।' গত ১ জানুয়ারি প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত চার কোটি ৪৪ লাখ ৫২ হাজার ৩৭৪ শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়েছে ৩২ কোটি ৬৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯২৩টি বই। কিন্তু নতুন বই পেয়ে নতুন আনন্দে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করার কথা থাকলেও তারা তা পারছে না সরকারবিরোধীদের লাগাতার অবরোধ আর মাঝেমধ্যে হরতাল এবং এসব কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সহিংসতার কারণে। রাজধানীর স্কুল-কলেজে উপস্থিতি ৫০ শতাংশেরও নিচে নেমে গেছে। তবে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন এবারের এসএসসি ও সমমানের প্রায় ১৫ লাখ পরীক্ষার্থী। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের এখন শেষ সময়ের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা। সে অনুযায়ী তাদের দৌড়ানোর কথা স্কুলের অতিরিক্ত ক্লাস, প্রাইভেট শিক্ষক ও মডেল টেস্টের জন্য। কিন্তু এর কোনোটিই তারা ঠিকমতো করতে পারছে না। স্বস্তিতে নেই রাজধানীর বাইরের শিক্ষার্থীরাও। ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম অনিক। গত ৫ জানুয়ারি ফেনী শহরের মাস্টারপাড়া এলাকায় শিক্ষকের কাছে পড়ে হাড্ডাবাড়ী এলাকার বাসায় ফেরার পথে বোমা হামলার শিকার হয়। সে এখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বোমার আঘাতে অনিকের বাঁ চোখটি আর স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অনিকের সঙ্গে তার আরো দুই বন্ধু ছিল। তাদেরই একজন শাহরিয়ার হৃদয়। সেও এসএসসি পরীক্ষার্থী। একই দিন সেও বোমার বিস্ফোরণে ডান চোখে গুরুতর আঘাত পেয়েছে। হৃদয় এখন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। তার চোখ বাঁচবে কি না তা নিয়ে এখনো শঙ্কায় চিকিৎসকরা। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ। গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেবে তাওহীদ। সে বলল, 'আমি অর্ধেক মডেল টেস্ট দিয়েছি। ১৫ দিন ধরে স্কুলে যেতে পারছি না। আমাদের স্কুলের রাস্তার পুরোটাই পুলিশের দখলে। কয়েক দিন পশ্চিম পাশের দেয়াল ডিঙিয়ে গেছি। এভাবে রিস্ক নিয়ে আমারও যেতে ইচ্ছা করে না। মা-বাবাও যেতে দিতে চান না। তবে মডেল টেস্ট দিলে পরীক্ষায় বেশ কাজে আসত।' প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের মতো দুরবস্থার মধ্যে আছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরাও। আগামী এপ্রিল থেকে শুরু হবে তাদের পরীক্ষা। তাদের কোর্স কারিকুলামে এখন চলছিল শেষ মুহূর্তের ঘষামাজা। কোনো কোনো কলেজ শুরু করে দিয়েছে মডেল টেস্ট। কিন্তু উপস্থিতি কম থাকায় শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি নিয়ে শিক্ষকরাই এবার চিন্তিত। শুধু এসএসসি বা এইচএসসি নয়, শঙ্কা আর অনিশ্চয়তায় রয়েছে দেশের পাঁচ কোটি শিক্ষার্থীও। গতকাল শনিবার দুপুর ২টা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ছুটি হচ্ছে। কিন্তু চিরচেনা সেই কোলাহল নেই। চার-পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সব ফাঁকা হয়ে গেল। অথচ অন্যান্য সময় ছুটি হলে অন্তত আধাঘণ্টা কোলাহল থাকত। স্কুলের সিকিউরিটি গার্ডরা বললেন, ছাত্রছাত্রী কম, তাই খুব তাড়াতাড়ি ফাঁকা হয়ে গেছে। স্কুল ছুটি দুপুর ২টায়, অথচ পৌনে ১টায়ই হাতিরপুল যাওয়ার উদ্দেশে রিকশা ঠিক করে ফেললেন ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী তানভীরের মা শিরীন আখতার। তিনি বলেন, 'স্কুলের সামনে দাঁড়ানো নিরাপদ নয়। যেখানে জটলা সেখানেই সমস্যা হতে পারে।' স্কুল ছুটি শেষে আপুর জন্য অপেক্ষা করছিল পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইমন। সে বলল, 'এমনিতেই আসতে ভয় লাগে, আপু না আসায় আরো ভয় লাগছে।' ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামসুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমাদের স্কুলের গড় উপস্থিতি ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ। মূলত যাদের কাছাকাছি বাসা তারাই আসে। অনেক অভিভাবক ফোন করে জিজ্ঞেস করেন, স্যার, ক্লাস হবে? জোর করে বলতে পারি না, আপনার বাচ্চাকে স্কুলে পাঠান। যদি আসার পথে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে এর দায়দায়িত্ব কে নেবে? আবার এটাও বলতে পারি না, ক্লাস হবে না। আমরা আছি উভয় সংকটে। অভিভাবকরা ভয় পান, তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এইচএসসির মডেল টেস্ট চলছে। সর্বোচ্চ উপস্থিতি ৫০ শতাংশ। মডেল টেস্ট না দিলে পরীক্ষার প্রস্তুতি কেমন হয়েছে, বুঝব কী করে?' গতকাল দুপুর ১টায় ফার্মগেটের হলিক্রস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, দিবা শাখার ক্লাস ২টায় ছুটি হবে বলে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অভিভাবকদের ওয়েটিং রুমে ৩০ জনের মতো অপেক্ষা করছেন। অন্য গেটের বাইরেও অপেক্ষারত অভিভাবকদের সংখ্যা হাতে গোনা। রোজী আক্তার নামের এক অভিভাবক বললেন, 'আতঙ্কের কারণেই ছুটির সময় এক ঘণ্টা এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এর পরও তো সবাই আসেনি।' আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিলের অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেশ কম। সবাই স্কুলে না এলে পরে সমস্যা তো কিছুটা হবেই। এই পরিস্থিতিতে কেউ সন্তানকে বাইরে ছাড়তে চান না। যারা কাছাকাছি থাকে তারাই সাধারণত স্কুলে আসছে। আর এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে সবার মতো আমরাও অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি।' বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও স্বস্তিতে নেই। তারা কোনো রকমে ক্লাস-পরীক্ষা চালিয়ে গেলেও ৩৮ দিন পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় খুলেও অবরোধের পিকেটিংকে কেন্দ্র করে আবার বন্ধ ঘোষণা করতে হয়েছে। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাই নিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো চলছে ভর্তিপ্রক্রিয়া। আবার যেসব বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে ভর্তিপ্রক্রিয়া শেষ করেছে, তারা ক্লাস শুরু করলেও সেখানেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি সন্তোষজনক নয়। কারণ ভর্তি হয়ে স্থায়ীভাবে থাকার প্রস্তুতি নিতে অনেকেই গিয়েছে গ্রামের বাড়ি। তারা প্রয়োজনীয় মালপত্রসহ নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার কথা। কাউকে আবার থাকতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বাসা ভাড়া করে। কিন্তু অবরোধে তারা বাড়ি থেকে পৌঁছতেই পারছে না বিশ্ববিদ্যালয়ে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকেই বিভিন্ন স্থানে থেকে ক্লাস করতে হয়। ভয়-আতঙ্ক মাথায় নিয়েই তারা ক্লাসে উপস্থিত হচ্ছে। তানিয়া ইসলাম এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। অবরোধে সেও আটকে ছিল চট্টগ্রামের বাড়িতে। কিন্তু ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে প্রথম বর্ষের ক্লাস। অবশেষে তানিয়ার বাবা তাকে বিমানে করে ঢাকায় পাঠালেন। সে গত বৃহস্পতিবার থেকে ক্লাসে যোগ দিয়েছে। কিন্তু সবার পক্ষে তো তা সম্ভব নয়। অনিশ্চয়তার বাইরে নেই ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরাও। সেখানেও উপস্থিতি বেশ কম। আর অবরোধের মধ্যেই গত ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ইংলিশ মিডিয়ামের 'এডেক্সেল' কারিকুলামের 'ও' এবং 'এ' লেভেলের পরীক্ষা। গত বৃহস্পতিবার এই পরীক্ষা হরতালের কারণে নিতে হয়েছে মধ্যরাতে। রাত ৩টা পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে হয় শিক্ষার্থীদের। আগামী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত পরীক্ষা রয়েছে তাদের। একটি পরীক্ষা কোনো কারণে অনুষ্ঠিত না হলে দীর্ঘ এক বছর পর তাদের সেই পরীক্ষা দিতে হবে। অবরোধের মধ্যে আতঙ্ক নিয়ে পরীক্ষা দিতে গেলেও তাদের বড় শঙ্কা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে। ম্যাপল লিফ স্কুল থেকে 'এ' লেভেল পরীক্ষার্থী জেসিকা মাসুদের মা জুলিয়া ইয়াসমীন বলেন, 'খুবই চিন্তায় আছি। যদি কোনো কারণে টানা ২৪ ঘণ্টার হরতাল হয় তাহলেও পরীক্ষা নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হবে। একবার পরীক্ষা না হলে দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় বসার মনমানসিকতা বা আর্থিক সংগতিও সবার নেই।' মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা খুবই হতাশ। আমরা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শিক্ষার্থীদের বই দিলাম, অথচ যখন ক্লাস শুরু হওয়ার কথা তখনই অবরোধ-হরতাল। আর যখন আমাদের কোনো পাবলিক পরীক্ষা শুরু হবে তখনই যেন হরতাল-অবরোধ বেড়ে যায়। শিক্ষার্থীদের কি অধিকার নেই ভালোভাবে পড়ালেখা শেখার? যারা হরতাল দেয় তারা দেশের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভাবে বলে মনে হয় না।' শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিক্ষার ক্ষতি অন্যান্য খাতের মতো চোখে দেখা যায় না। আজকের ক্ষতির খেসারত দিতে হবে আগামী দিনে। বছরে ৫২ দিন সাপ্তাহিক ছুটি আর প্রায় ৮৫ দিন থাকে অন্যান্য ছুটি। এই দিনগুলো বাদ রেখেই স্কুল-কলেজের কোর্স কারিকুলাম প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু অনির্ধারিত ছুটি আর পরে পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকে না। ফলে হরতাল-অবরোধে অসম্পূর্ণ শিক্ষা নিয়েই নতুন ক্লাসে উঠতে হয় শিক্ষার্থীদের। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'হরতাল-অবরোধে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব কিছুর ক্ষতিই একসময় পুষিয়ে নেওয়া যায়, কিন্তু শিক্ষার ক্ষতি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে যায়, যা টাকার অঙ্কে বিচার করা যায় না। বর্তমানে দুর্ভোগ, দুশ্চিন্তা আর শিক্ষাজীবন পিছিয়ে যাওয়া- সব কিছু মিলিয়ে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। শিক্ষাব্যবস্থার দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার অবস্থা।' অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু কালের কণ্ঠকে বলেন, 'যেখানে সেখানে বোমা-ককটেল বিস্ফোরণ হচ্ছে; গাড়িতে আগুন দেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা শিশুদের ঘরের বাইরে পাঠাই কী করে? সবেমাত্র নতুন বই পেল, এখনই যদি স্কুলে যেতে না পারে তাহলে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে শিক্ষার্থীদের। তবে আমরা সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে। আর কয়েক দিন পরই তাদের পরীক্ষা। সে সময়ও এ ধরনের কর্মসূচি থাকলে পরীক্ষাই লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে। রাজনৈতিক নেতারা কি দেশের সবচেয়ে বড় এই জনগোষ্ঠীর ব্যাপারে একটুও ভাবেন না?'

No comments:

Post a Comment