িডেন্ট সিরিসেনার মুখপাত্র মঙ্গলা সামারাবিরা গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, লোকে মনে করছে, শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। তবে আসলে বিষয়টি তা নয়। তিনি দাবি করেন, গত শুক্রবার নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর রাজাপক্ষে যখন পরাজয় মেনে নেন, তার কিছুক্ষণ আগেও হস্তক্ষেপ করার জন্য দেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানকে চাপ দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রাজাপক্ষের মুখপাত্র মহান সামারানায়েক অভিযোগটিকে ‘ভিত্তিহীন’ আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এমন কোনো চেষ্টা হয়নি। বস্তুত ভোট গণনা চলার সময়ই বেলা সাড়ে তিনটায় প্রেসিডেন্ট পরিস্থিতি মূল্যায়ন করেন এবং ফল কী হতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হন। এরপর তিনি সব দপ্তরকে মসৃণভাবে ক্ষমতার পালাবদলের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন।...যে রাজনীতিক এ ধরনের মন্তব্য করেছেন, তিনি এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ করতেই অভ্যস্ত।’ নতুন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার মুখপাত্র সামারাবিরা গতকাল সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘নতুন সরকার প্রথম যে বিষয়টার তদন্ত করবে, সেটি হলো প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের এই সেনা-অভ্যুত্থান ও যড়যন্ত্রের চেষ্টা। যখন সেনাপ্রধান ও পুলিশের মহাপরিদর্শক সঙ্গে থাকতে অপারগতা প্রকাশ করলে রাজাপক্ষে পদত্যাগ করেন।’ এর আগে নতুন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার প্রধান মুখপাত্র রাজিথা সেনারত্নেও একই ধরনের মন্তব্য করেন। তিনি শনিবার বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল দয়া রত্নায়েকের ওপর চাপ দিয়েছিল বিদায়ী নেতৃত্ব। তিনি বলেন, ‘সেনাপ্রধানকে চাপ দেওয়া হয়েছিল, তবে তিনি তা মানেননি। এমনকি শেষ মুহূর্তেও তিনি (রাজাপক্ষে) ক্ষমতায় থেকে যেতে চেয়েছিলেন। যখন দেখলেন বিকল্প কোনো পথ নেই, কেবল তখনই তিনি বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।’ প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা রাজাপক্ষেরই সাবেক ঘনিষ্ঠ সহকর্মী। মাহিন্দা রাজাপক্ষে গত এক দশক শ্রীলঙ্কার ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি দ্বিতীয় মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার দুই বছর বাকি থাকতেই গত নভেম্বরে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Monday, January 12, 2015
ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার চেষ্টা করেন রাজাপক্ষে?:প্রথম অালো
িডেন্ট সিরিসেনার মুখপাত্র মঙ্গলা সামারাবিরা গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, লোকে মনে করছে, শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। তবে আসলে বিষয়টি তা নয়। তিনি দাবি করেন, গত শুক্রবার নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর রাজাপক্ষে যখন পরাজয় মেনে নেন, তার কিছুক্ষণ আগেও হস্তক্ষেপ করার জন্য দেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানকে চাপ দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রাজাপক্ষের মুখপাত্র মহান সামারানায়েক অভিযোগটিকে ‘ভিত্তিহীন’ আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এমন কোনো চেষ্টা হয়নি। বস্তুত ভোট গণনা চলার সময়ই বেলা সাড়ে তিনটায় প্রেসিডেন্ট পরিস্থিতি মূল্যায়ন করেন এবং ফল কী হতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হন। এরপর তিনি সব দপ্তরকে মসৃণভাবে ক্ষমতার পালাবদলের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন।...যে রাজনীতিক এ ধরনের মন্তব্য করেছেন, তিনি এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ করতেই অভ্যস্ত।’ নতুন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার মুখপাত্র সামারাবিরা গতকাল সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘নতুন সরকার প্রথম যে বিষয়টার তদন্ত করবে, সেটি হলো প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের এই সেনা-অভ্যুত্থান ও যড়যন্ত্রের চেষ্টা। যখন সেনাপ্রধান ও পুলিশের মহাপরিদর্শক সঙ্গে থাকতে অপারগতা প্রকাশ করলে রাজাপক্ষে পদত্যাগ করেন।’ এর আগে নতুন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার প্রধান মুখপাত্র রাজিথা সেনারত্নেও একই ধরনের মন্তব্য করেন। তিনি শনিবার বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল দয়া রত্নায়েকের ওপর চাপ দিয়েছিল বিদায়ী নেতৃত্ব। তিনি বলেন, ‘সেনাপ্রধানকে চাপ দেওয়া হয়েছিল, তবে তিনি তা মানেননি। এমনকি শেষ মুহূর্তেও তিনি (রাজাপক্ষে) ক্ষমতায় থেকে যেতে চেয়েছিলেন। যখন দেখলেন বিকল্প কোনো পথ নেই, কেবল তখনই তিনি বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।’ প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা রাজাপক্ষেরই সাবেক ঘনিষ্ঠ সহকর্মী। মাহিন্দা রাজাপক্ষে গত এক দশক শ্রীলঙ্কার ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি দ্বিতীয় মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার দুই বছর বাকি থাকতেই গত নভেম্বরে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment