Thursday, January 15, 2015

অবরোধের বিভীষিকায় মধ্যরাতে পুড়ল ৫ প্রাণ:কালের কন্ঠ

গার্মেন্টকন্যা রাশেদা কাজ করেন রাজধানীর একটি কারখানায়। তাঁর আয়েই চলে পুরো পরিবার। ছুটি পেয়ে কয়েক দিন আগে স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন গ্রামের বাড়িতে। অনেক দিন পর
আপনজনদের কাছে পেয়ে ভালোভাবেই কেটে যায় কয়েকটা দিন। কিন্তু ছুটি শেষ হলেও কর্মস্থলে ফিরতে পারছিলেন না হঠাৎ করে দেওয়া হরতাল-অবরোধের কারণে। দুশ্চিন্তার মেঘ কেটে যায় মঙ্গলবার রাতে যখন উলিপুর থেকে ঢাকাগামী বাসটিতে চেপে বসার সুযোগ পান। কিন্তু ঘণ্টা তিনেকের পথ যেতে না যেতেই থেমে যায় তাঁর যাত্রা। রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রলবোমায় অনেকের সঙ্গে ঝলসে যান রাশেদাও। বাস থেকে নামিয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তাঁর মতো ওই বাসের অনেক যাত্রী দগ্ধ হয়ে কাতরাচ্ছে হাসপাতালে। আর হিমঘরে পড়ে আছে এ ঘটনার শিকার পাঁচটি মরদেহ। বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোটের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ চলাকালে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার জায়গীরহাট বাসস্ট্যান্ডের কাছে বাতাসন দুর্গাপুর এলাকায় মঙ্গলবার গভীর রাতে জামায়াত-শিবির ক্যাডারদের পেট্রলবোমা হামলার শিকার হয় বাসটি। কুড়িগ্রামের উলিপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী খলিল পরিবহন (ঢাকা মেট্রো ব-১১-৬৮৬০) ওই এলাকায় পৌঁছলে এ হামলা চালানো হয়। এতে চারজন নিহত ও কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরো কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে হামলার ঘটনার পরপরই ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে মন্টু (৪৫) ও সাদেকুল (২২) জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। এই দুজন বোমা হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারও করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে পুলিশ ও বিজিবি পাহারায় ঢাকাগামী বাসটি বাতাসন দুর্গাপুর এলাকায় যাত্রী ওঠানোর জন্য থামলে পাশের বাঁশঝাড়ে ওত পেতে থাকা জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা গাড়িটিতে পর পর কয়েকটি পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে। এতে পুরো গাড়িতে আগুন ধরে যায়। মারাত্মকভাবে অগ্নিদগ্ধ হয় ১০ জন। তাদের মধ্যে সেনা সদস্য নূর আলমের স্ত্রী মনোয়ারা, মেয়ে নুসরাত ও নাদিরা রয়েছেন। তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) পাঠানো হয়েছে। অন্যদের রংপুর মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তারা হলো ফারজানা, আনোয়ার, আল আমিন, শামিম, রাশেদা, মিনারা, জরিনা, নুরজাহান ও তফিরন বেওয়া। পরে এদের মধ্যে তফিরন বেওয়া (৬০) ও মিনারাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রাতে মারা যান তফিরন বেওয়া। মিনারার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। হতাহতদের বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার কাশিমবাজার, ধামশ্রেণি, তবকপুর ও ধরণীবাড়ী এলাকায় বলে জানান ওই গাড়ির যাত্রী এবং আহত পরিবারের সদস্য আফসানা মিমি। ওই গাড়ির যাত্রী মোমেনা জানান, গাড়িটি সিএনজিচালিত হওয়ায় পেট্রলবোমা নিক্ষেপের সঙ্গে সঙ্গে পুরো গাড়িতে আগুন ধরে যায়। এ সময় দরজা বন্ধ থাকায় তা ভেঙে বাইরে বের হতে হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত পর্যন্ত নিহত চারজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলো উলিপুর উপজেলার রহিমা খাতুন ও ছেলে রহিম, একই এলাকার জেসমিন বেগম ও তফিরন বেওয়া। গতকাল বিকেলে চারজনের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে পরিচয় না মেলায় ডিএনএ পরীক্ষার জন্য মরদেহগুলো থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ। সরেজমিন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল : গতকাল রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে গিয়ে দেখা যায়, যন্ত্রণায় ছটফট করছেন অগ্নিদগ্ধরা। কারো পুড়েছে মুখমণ্ডল, কারো হাত-পা। আবার কারো পুড়ে গেছে শরীরের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মিনারা ও তফিরন বেওয়া বলেন, ‘আমরা পেটের দায়ে ঢাকায় কাজ করি। ছুটি শেষে বাড়ি থেকে ঢাকায় ফিরতে গিয়ে আমাদের মতো গরিব মানুষকে পোড়ানো হলো। এখন আমাদের কী হবে জানি না।’ পরে অবশ্য তাঁদের দুজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে রাতে তফিরন বেওয়া মারা যান। বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক ডা. আব্দুর রাজ্জাক জানান, দগ্ধদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের অনেকের শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এ ছাড়া দুজনের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। পুলিশ-বিজিবির পাহারার মধ্যেই হামলা : আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাহারায় সামনের দিকে একটি গাড়িতে ছিলেন ম্যাজিস্ট্রেটসহ বিজিবি সদস্যরা এবং অন্য গাড়িতে ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। আরেকটি গাড়িতে পাহারা পরিদর্শন করছিলেন রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদীন। তাঁর গাড়িটি ছিল বহরের শেষের দিকে। গতকাল সন্ধ্যার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) জয়নাল আবেদীন কালের কণ্ঠকে বলেন, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, রংপুর, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম থেকে আসা প্রায় ৩০টি গাড়ি রংপুরের মডার্ন মোড়ে জড়ো হয়। এর মধ্যে ঢাকাগামী কোচ ছাড়াও ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকআপও ছিল। ওই গাড়িগুলোকে পলাশবাড়ী পর্যন্ত নিয়ে গাইবান্ধার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে দিয়ে তাঁদের ফিরে আসার কথা ছিল। এএসপি বলেন, ‘বাতাসন দুর্গাপুর এলাকায় ওই গাড়িটি বাঁ পাশে সাইড করে যাত্রী ওঠাচ্ছিল। এর কয়েক মিনিট আগে আমার গাড়ি সেটিকে ক্রস করে যায়। এই সুযোগে অবরোধকারীরা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে। পেছন ফিরে আগুন দেখতে পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। ততক্ষণে হামলাকারীরা সটকে পড়ে। এরপর আমার গাড়িতে করে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাই।’ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে : গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর র‌্যাব ১৩-এর সিও  লে. কর্নেল ইসমত হায়াত, পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি হুমায়ুন কবির, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফরিদ আহাম্মদ, পুলিশ সুপার আবদুর রাজ্জাক পিপিএম ও র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। প্রশাসন বলছে... : মিঠাপুকুর থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে পুলিশ। তবে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল অব্যাহত রয়েছে। রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার দিলোয়ার বখত জানান, এ ঘটনায় রংপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়নি। কারণ এটা চোরাগোপ্তা হামলা। সরেজমিন বিভীষিকার ঘটনাস্থল : মিঠাপুকুরের বাতাসন গ্রামটি জামায়াতের আখড়া বলে পরিচিত। গতকাল গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কোনো বাড়িতে পুরুষ মানুষ নেই। গ্রেপ্তারের ভয়ে মহিলারা কথা বলছে না। শুধু বলছে, বাইরে থেকে এসে অবরোধকারীরা এ কাজ করেছে। ওই গ্রামের কোনো লোক এতে জড়িত নয় বলেও দাবি তাদের। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মহিলারা জানায়, সেখানকার অবরোধকারীরা খুবই ভয়ানক। হাতে হাতে লাঠি, ছোরা, বল্লম নিয়ে সড়ক অবরোধ করে। হরতাল-অবরোধের সময় পথচারীদের কেউ বিপাকে পড়লে তাদের উদ্ধার করতে এগিয়ে গেলে সশস্ত্র অবস্থায় জামায়াত-শিবিরের লোকজন স্থানীয় গ্রামবাসীকে ধাওয়া দেয়। এ কারণে মঙ্গলবার রাতের ওই ঘটনার পর পর সেখানে কেউ যেতে সাহস পায়নি। সরেজমিনে দেখা যায় সড়কের ওপর পেট্রলবোমার আঘাতের ক্ষতচিহ্ন। সড়কের ওপর পড়ে আছে বাসটির জানালার কাচের ভাঙা টুকরা, যাত্রীদের পোড়া জামাকাপড়। ইতস্তত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে মহিলাদের হাতের চুড়ি, বিস্কুট ও চিপসের প্যাকেট। বাসটির অ্যালুমিনিয়াম রাবারের মতো গলে ছোপ ছোপ হয়ে পড়ে আছে। জায়গাটি কালো হয়ে আছে। এসব চিহ্নই বাসে ঘটে যাওয়া ভয়াবহতার নমুনা। ফতেহপুর গ্রামের শেফালী বেগম ও জান্নাতুল ফেরদৌস বীথি বলেন, “গভীর রাতে হঠাৎ বিকট শব্দে আমাদের ঘুম ভাঙে। এগিয়ে গিয়ে দেখি রাস্তার ওপর বাসে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। এ সময় দূর থেকে যাত্রীরা ‘পানি, পানি’ বলে চিৎকার করছিল। কিন্তু অবরোধকারীদের ভয়ে আমরা আশপাশে যেতে পারিনি। এর আধাঘণ্টার মধ্যে পুলিশ এসে স্থানীয়দের সরিয়ে দেয়।” ওই গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি আলহাজ মকবুল হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি ঠিক রাত ১২টার পর। বাড়ি থেকে ঢিলের শব্দ শোনার পর শুধু চিৎকার শুনতে পাই। ওই সময় বাসের আগুন অনেক ওপরে উঠে যায়। রাতেই পুলিশ ক্ষতিগ্রস্ত বাসটি সরিয়ে নেয়।’ স্থানীয় লোকজন আরো জানায়, বোমার আগুনে পুড়ে মরদেহগুলো বিকৃত আকার ধারণ করে। তাদের শনাক্ত করার উপায় ছিল না। তবে তাদের বেশির ভাগের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুরে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উলিপুর থেকে খলিল এন্টারপ্রাইজের বাসটি যাত্রী বোঝাই করে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। পথিমধ্যে বাতাসন গ্রামে বাসটি অন্যান্য গাড়িবহর থেকে পিছিয়ে পড়ে। অবরোধকারীরা বাসটিকে লক্ষ্য করে ব্যারিকেড দিয়ে থামানোর চেষ্টা করে। এর মধ্যে দুর্বৃত্তরা গানপাউডার ছিটিয়ে বাসটিতে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঘটনার পর বাসের ভেতর থেকে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের বাড়ি উলিপুরের বিজয়রামপুর গ্রামে। মৃতদের শনাক্ত করার উপায় নেই। অনেকে তাদের স্বজন বলে লাশ দাবি করে। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য লাশ রংপুর মেডিক্যালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। মিঠাপুকুর থানার ওসি রবিউল ইসলাম বলেন, যারা এ ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে আছে তারা জামায়াত-শিবিরের কর্মী। তাদের শনাক্ত করা গেছে। চিরুনি অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। জামায়াত-শিবিরের ৯ ক্যাডার গ্রেপ্তার : এ ঘটনায় মিঠাপুকুর থানার পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে জামায়াত-শিবিরের ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলো শাহিন মিয়া (৩২), মোকলেছার রহমান (৪০), মোস্তাফিজার রহমান (৪৫), মাহবুব হোসেন (২২), আব্দুর রাজ্জাক মন্টু (৪৬), মিল্লাত হোসেন (১৮), মোবাশ্বের হোসেন (২০), সাদেকুল ইসলাম (১৮) ও সজীব শাহরিয়ার (২১)। এলাকাবাসী জানায়, ঘটনার পর রাতেই পুলিশ সন্দেহ করে তাদের গ্রেপ্তার করে। বিকেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করে। মিঠাপুকুর উপজেলা শহরে অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। জামায়াত নেতাদের পাওয়া যায়নি : মিঠাপুকুর জামায়াতের আমির গোলাম রব্বানী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু শপথ গ্রহণকালে তাঁকে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে। এ ছাড়া ভারপ্রাপ্ত আমির এনামুল হক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা আব্দুল বাসেত মারজানের সঙ্গে কথা বলতে একাধিকবার মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে। থানায় মামলা : ঘটনার ব্যাপারে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মিঠাপুকুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। এসআই এস এম রাজ্জাক সন্ত্রাস দমন আইনে আটককৃত আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ৫০-৬০ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় ঘোষণার দিন মিঠাপুকুরে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। ওই সময় ছয় ব্যক্তি নিহত হয়।

No comments:

Post a Comment