Thursday, January 15, 2015

রাজধানীতে গাড়িতে আগুন ককটেলে আহত ৯:নয়াদিগন্ত

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতালের আগের দিন এবং অবরোধের দশম দিন রাতে রাজধানীতে ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণ ও বেশ কিছু গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা। ককটেল বিস্ফোরণে ঝলসে গেছে যুবকের মুখমণ্ডল। এ ছাড়াও আহত হয়েছেন অন্তত চারজন। নীলক্ষেত, আগারগাঁও, ডেমরা, মোহাম্মদপুর, কমলাপুরসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া কে বা কারা
।   গত রাত ১১টায় খিলক্ষেত বাসস্ট্যান্ডের সামনে ককটেল বিস্ফোরণে চারজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেনÑ আবুল কালাম (৩২), মুনসুর আলী (৪৫), হেলাল উদ্দিন (৪০) ও আবদুল লতিফ (৪৫)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে তারা বাসায় ফেরার জন্য স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় কে বা কারা পরপর কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ করে। ককটেল বিস্ফোরণে আহতদের হাতে পায়েসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পিøন্টার বিদ্ধ হয়। এ সময় পথচারীরা ভয়ে দিগি¦দিক ছোটাছুটি করে। মুহূর্তের মধ্যে ওই এলাকা ফাঁকা হয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করে।   এদিকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সবুজবাগ ফাইওভারের কাছে ককটেল বিস্ফোরণে জিয়াউল হক (২৭) নামে এক যুবক আহত হন। ককটেলে তার বুকের বাম পাশে আহত হয়। রাত ১০টা ১৫ মিনিটে তাকে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়।   ঢাকা মেডিক্যাল সূত্র জানায়, রাতে খিলাগাঁও থেকে হেঁটে মুগদার বাসায় যাচ্ছিলেন জিয়াউল। এ সময় পরপর কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলের স্পিøন্টার তার বুকের বাম পাশে বিদ্ধ হয়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মুগদা একটি কিনিকে ভর্তি করেন। পরে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়। একই সময়ে আব্দুল্লাহপুরে একটি যাত্রীবাহী বাসে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয়।   গত রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে গুলশান ২ নম্বরে গুলিস্তান-গুলশান রুটের একটি ৬ নম্বর বাসে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।   রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহীদ মিনার এলাকায় পুলিশের গাড়িকে ল্য করে কে বা কারা পেট্রলবোমা নিপে করে। তবে এতে কোনো পুলিশ সদস্য আহত হননি। পুলিশ জানায়, শাহবাগ থানা পুলিশের একটি টহল গাড়ি (ঢাকা মেট্রো ম ০৭-০০৭১) ল্য করে পেট্রলবোমা ছুড়ে মারা হয়। এতে গাড়িটির ওপরের ত্রিপল পুড়ে যায়। পরে পুলিশ সদস্যরা তাৎণিক চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।   রাত পৌনে ৮টার দিকে বংশালের সুরিটোলায় ককটেল বিস্ফোরণে গিয়াস উদ্দিন (৪৫) নামে এক বাসচালক আহত হয়েছেন। জানা গেছে, সুরিটোলা থেকে রাস্তা পার হওয়ার সময় কে বা কারা ককটেল নিক্ষেপ করলে ককটেল বিস্ফোরণে গিয়াসের দুই পা ঝলসে যায়। পরে রুহুল আমিন নামে তার এক স্বজন গিয়াসকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নিলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গিয়াসকে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যালে পাঠানো হয়। ককটেলের স্পিøন্টারে গিয়াসের পায়ের রগ কেটে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।   রাত সাড়ে ৭টার দিকে আগারগাঁওয়ের তালতলায় একটি ট্রাকে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয়রা জানান, কয়েক যুবক আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।   রাত ৭টা ১৫ মিনিটে বঙ্গবাজার অ্যানেক্স ভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণে সানজিদ হাসান অভি (২০) নামে এক কলেজছাত্রের মুখমণ্ডল ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। এ ঘটনায় অভির বন্ধু জীবনও আহত হয়েছেন। অভি কবি নজরুল ইসলাম সরকারি কলেজের ইন্টারের ছাত্র।   জানা গেছে, অভি, জীবন ও সুমন ওরা তিনজন বন্ধু। তিন বন্ধু মিলে বঙ্গবাজারে কেনাকাটা করতে আসেন। কেনাকাটা শেষে বাসায় ফেরার জন্য মার্কেট থেকে রাস্তায় নামলেই পরপর দু’টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এর মধ্যে একটি নিচে অন্যটি অভির মুখে বিস্ফোরিত হয়। এতে অভির মুখমণ্ডল ঝলসে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অভিকে ঢাকা মেডিক্যালের নাক কান গলা বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, ককটেল হামলায় অভির চোখও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।   সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে নীলক্ষেত ইডেন কলেজের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার মোহাম্মদ আলী জানান, সন্ধ্যায় নিউ সুপার পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো জ ১২-২৭৭৫) কে বা কারা আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ঠিক একই সময়ে ডেমরার সাইনবোর্ডে ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ রুটের আশিয়ান পরিবহনের একটি এসি বাসে (ঢাকা মেট্রো ব ১১-১৩৫৪) আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।   এ ছাড়া সন্ধ্যা থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত পোস্তগোলা আলম মার্কেট থেকে জুরাইন কফিল উদ্দিন পাম্প পর্যন্ত পরপর অন্তত ১৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। সন্ধ্যার পর পল্টন মোড়ে চারটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। যদিও এসব ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এ দিকে বাড্ডা লিংকরোড, এলিফ্যান্ট রোড ও আসাদ গেটে গতকাল সন্ধ্যার পর অন্তত ২০টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট থানা সূত্র নিশ্চিত করেছে।   গতকাল সকাল ১০টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে পরপর তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে এক ফল বিক্রেতা আহত হন। সকালে অবরোধের সমর্থনে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে ছাত্রদলের একটি মিছিল বের হলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এ সময় পরপর ককটেলগুলোর বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় পথচারীরা দিগি¦দিক ছোটোছুটি করে। এতে একটি প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাথের একটি ফলের দোকানে উঠে গেলে ফল বিক্রেতা আবুল হোসেন আহত হন। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।   মোহাম্মদপুরে প্রাইভেটকারে আগুন : বেলা ১টা ৪ মিনিটে মোহাম্মদপুর আসাদগেটে আড়ংয়ের সামনে একটি প্রাইভেটকারে আগুন দেয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস জানায়, মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশনের কাছেই একটি নোয়াহ (ঢাকা মেট্রো-জ ১১-৪৩৭০) গাড়িতে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ওই স্টেশনের একটি ইউনিট আগুন নিভিয়ে ফেলে।   গুলিস্তানে বাসে আগুন : বেলা ১টা ১০ মিনিটে গুলিস্তান হলের সামনে ঢাকা-নারয়ণগঞ্জগামী বন্ধন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে (নারায়ণগঞ্জ মেট্রো-ব ১১-০০১৮) আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিভিয়ে ফেলে। কিন্তু ততক্ষণে বাসটি পুরোপুরি পুড়ে যায়। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। ঘটনাস্থল থেকে মিজানুর রহমান (২৪) নামে সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে পল্টন থানা পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাসটি নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় ঢুকে ফাইওভার থেকে যাত্রী নামাতে নামাতে গুলিস্তান শপিং সেন্টারের সামনে পৌঁছলেই কয়েকজন যুবক গাড়িতে উঠে যায়। এরপর পেট্রোল ঢেলে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দ্রুত নেমে যায় তারা।   ধানমন্ডিতে বাসে আগুন-ভাঙচুর : গুলিস্তানের বাসে আগুনের কিছুক্ষণ পরই ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে মিরপুর-মতিঝিল রুটে চলাচলকারী একুশে পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয়া হয়। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১০-১২ জন যুবক হঠাৎ রাপা প্লাজার সামনে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় তারা যাত্রীবাহী ওই পরিবহনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়।   খিলক্ষেতে বাসে আগুন : এ দিকে ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানিয়েছে, বিশ্বরোডে একটি যাত্রীবাহী বাসে (ঢাকা মেট্রো-ব ১৪-২১৪৪) আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। দুপুরে এ খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।   জামায়াতের মিছিল-সমাবেশ : অবরোধ ও আজকের হরতালের সমর্থনে গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন্ এলাকায় মিছিল-সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী।    পল্লবী থানা জামায়াতের উদ্যোগে সকালে ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মোবারক হোসাইনের নেতৃত্বে একটি মিছিল নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে সড়ক অবরোধ করে। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য লস্কর মোহাম্মদ তাসলীম, পল্লবী থানা আমির আব্দুস সালাম, সেক্রেটারি আশরাফুল আলম, ভাষানটেক সেক্রেটারি আব্দুল মতিন খান, রূপনগর সেক্রেটারি নাসির উদ্দীন, জামায়াত নেতা সাইফুল কাদের, নাজমুল হক রাজা ও রাইসুল ইসলাম পবন প্রমুখ।   সকাল ৭টায় রাজধানীর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে জামায়াতে ইসলামী উত্তরা (পশ্চিম) থানা শাখা। থানা আমির আবদুল্লাহ রেজার নেতৃত্বে মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন মোস্তাক আলম, তরিকুল ইসলাম, মশিউর রহমান, আব্বাস উদ্দিন, আজিম উদ্দিন, জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।   সকাল সোয়া ৭টায় রাজধানীর ফার্মগেটে হলিক্রস স্কুলের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে জামায়াতে ইসলামী তেজগাঁও থানা শাখা। মিছিলের নেতৃত্ব দেন জামায়াত নেতা ইলিয়াস উদ্দিন, মামুনুর রশিদ ও শিবির নেতা মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।   সকাল সাড়ে ৭টায় রাজধানীর মিরপুর টোলারবাগে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে জামায়াতে ইসলামী। মিছিল ও অবরোধ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন মিরপুর (পশ্চিম) থানা আমির নূরুল ইসলাম আকন্দ, দারুসসালাম থানা সেক্রেটারি আহমদউল্লাহ, শিবির নেতা বখতিয়ার তুহিন, বেলাল ও তানভীর প্রমুখ।   সকাল সাড়ে ৭টায় রাজধানীর মুরাদপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে জামায়াতে ইসলামী কদমতলী থানা। মিছিল ও অবরোধ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন জামায়াত নেতা আব্দুর রহিম, নেসারউদ্দিন, মহিউদ্দিন, মাইনুর রহমান হীরা, মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ।   সকাল ৯টায় রাজধানীর শাহজাহানপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে জামায়াতে ইসলামী। শাহজাহানপুর থানা আমির শামসুর রহমানের নেতৃত্বে মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে থানা সেক্রেটারি সাঈদুর রহমান ও শিবিরের থানা সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।   ঢাকা মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইনের নেতৃত্বে মোহাম্মদপুর-ধানমন্ডি জোনের আয়োজনে একটি বিক্ষোভ মিছিল মিরপুর রোড থেকে শুরু হয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরীর মজলিসে শূরা সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দীন তালুকদার ও ড. শফিউর রহমান, হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত আমির আব্দুল বারী আকন্দ, নিউমার্কেট সেক্রেটারি হাফেজ হাবিবুর রহমান জাকারিয়া প্রমুখ। সমাবেশের শেষ পর্যায়ে পুলিশ হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ঘটে। পুলিশের হামলায় পাঁচজন আহত হন।   ছাত্রশিবির : অনির্দিষ্টকালের অবরোধের নবম দিনে গতকাল অবরোধ সফল করতে রাজধানীসহ সারা দেশে মিছিল, সড়ক অবরোধ ও সমাবেশ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। কর্মসূচি পালনকালে পুলিশ হামলা চালিয়ে ৩০ জন নেতাকর্মীকে আহত করে। গ্রেফতার করেছে ১১০ জন নেতাকর্মীকে।   ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পশ্চিম শাখার উদ্যোগে সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি মিছিল ধানমন্ডি এলাকায় শুরু হয়ে সড়ক অবরোধ করে। এ সময় শাখা সভাপতি তামিম হোসেনসহ শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতকর্মী উপস্থিত ছিলেন।        উত্তরা, বিমানবন্দর ও তেজগাঁও এলাকায় মিছিল ও রাজপথ অবরোধ করে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী উত্তর। সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর উত্তরায় কেন্দ্রীয় প্রশিণ সম্পাদক রাকিব মাহমুদ সজলের নেতৃত্বে মিছিল ও রাজপথ অবরোধ করেন নেতাকর্মীরা। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন শাখা সেক্রেটারি তারিক হাসান, প্রচার সম্পাদক জাকের হোসাইনসহ অন্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। তা ছাড়া শাহজাদপুরে রাজপথ অবরোধ করেন নেতাকর্মীরা। সকাল ৯টায় রামপুরা বনশ্রীতে রাজপথ অবরোধ করে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পূর্ব শাখা। অবরোধে নেতৃত্ব দেন মহানগরী সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগরী প্রচার সম্পাদক আবদুল কাদের, ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন প্রমুখ।

No comments:

Post a Comment