
হচ্ছে: সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, জামালপুর, পটুয়াখালী ও রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ এবং রংপুর, যশোর, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও বগুড়া সেনাবাহিনী মেডিকেল কলেজ। এ নিয়ে দেশে মোট সরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা হলো ৩৮। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মেডিকেল কলেজগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম, পাঠ্যক্রম ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের সজাগ থাকতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণদের ভালো ডাক্তার হতে হবে। চিকিৎসা একটি মহৎ পেশা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী দেশের চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আন্তরিকতার সঙ্গে মানুষকে সেবা দিতে আপনাদের হাতকে প্রসারিত করুন। ডাক্তারদের লক্ষ্য হওয়া উচিত মানবসেবা, শুধু টাকা রোজগার বা তাঁদের নিজেদের ভাগ্য গড়া নয়।’ স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে অভিহিত করে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ চিকিৎসাসুবিধা এবং ওষুধের অভাবে মারা যাবে, এটি হতে পারে না। মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন করতে স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার দেশে দক্ষ ডাক্তার তৈরি করতে প্রথমে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রত্যেক বিভাগীয় সদরে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দুটি নতুন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে, এর একটি হবে চট্টগ্রামে এবং অন্যটি রাজশাহীতে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে ঘরে বসে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, সে লক্ষ্যেÿতাঁর সরকার প্রতিটি জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এতে মানুষের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, নতুন মেডিকেল কলেজগুলো দক্ষ ডাক্তার তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে দেশে বিপুলসংখ্যক চিকিৎসক চাহিদা পূরণে সক্ষম হবে। ভবিষ্যতে এই কলেজগুলো থেকে সফলভাবে নতুন চিকিৎসক বেরিয়ে এসে ডাক্তারদের ওপর বাড়তি চাপ কমাতে সাহায্য করবে। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জেলা ও অঞ্চলের মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধি ও ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি জামালপুরে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলোর বিভিন্ন দাবি পূরণের আশ্বাস দেন। শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন, দেশে বর্তমান সাতটি বিভাগের সঙ্গে আরও একটি প্রশাসনিক বিভাগ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন স্বাস্থ্যসচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়া, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
No comments:
Post a Comment