Sunday, February 1, 2015

নেপালের সংবিধান প্রণয়নে বিদেশি ‘হস্তক্ষেপের’ নিন্দা:প্রথম অালো

নেপালে নতুন সংবিধানের খসড়া তৈরির প্রক্রিয়ায় ‘বিদেশিদের নাক গলানোর’ সমালোচনা করেছেন দেশটির শীর্ষস্থানীয় দুই রাজনৈতিক দল নেপালি কংগ্রেস ও কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিএন-ইউএমএল) জ্যেষ্ঠ নেতারা। পাশাপাশি তাঁরা চীনের ‘নিরপেক্ষ ভূমিকার’ প্রশংসা করেছেন। খবর দ্য হিন্দুর। সিপিএন-ইউএমএল নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঝালা নাথ খানাল গত শুক্রবার বলেন, ‘কয়েকটি প্রতিবেশী দেশ এই মুহূর্তে আমাদের সংবিধানের খসড়া প্রণয়ন নি
য়ে অযাচিত উপদেশ দিচ্ছে। কিন্তু চীন এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। এ কারণে দেশটির প্রতি আমি বিশেষ ধন্যবাদ জানাতে চাই।’ ভারতীয় রাষ্ট্রদূতসহ কয়েকজন কূটনীতিক নেপালের সাংবিধানিক গণপরিষদের কার্যক্রম বিলম্বিত করার চেষ্টা করছেন বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সংবিধান প্রণয়নই সাংবিধানিক গণপরিষদের কাজ। নেপালি কংগ্রেসের সহসভাপতি রাম চন্দ্র পডেল প্রতিবেশী দেশগুলোর কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘যেসব দেশ আমাদের উপদেশ দিচ্ছে, তারা কি নিজেদের সব সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে নিতে পারে?’ খানাল ও পডেল দুজনেই বলেন, তাঁদের রাজনৈতিক দল সংবিধানের খসড়ার ব্যাপারে সর্বোচ্চ ঐকমত্য বা দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সম্মতিতে পৌঁছানোর জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে। কিন্তু সর্বসম্মত মতৈক্য সম্ভব নয়। কোনো আইন পাস করার জন্য সাংবিধানিক গণপরিষদে প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে বর্তমান ক্ষমতাসীন জোটের। মাওবাদী দলসহ বিরোধীরা খসড়া সংবিধান প্রণয়নের কার্যক্রম প্রত্যাখ্যান করে একমাত্র ‘সর্বসম্মতির ভিত্তিতে’ সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

No comments:

Post a Comment