Sunday, February 1, 2015

বিএনপি ও সহযোগীরা শান্তি বিনষ্ট করছে : প্রধানমন্ত্রী:নয়াদিগন্ত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর চারপাশের নদীগুলো পুনরুদ্ধারে আরো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, নদীগুলো রক্ষা ও জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব সামলানোর পাশাপাশি বন্যা, খরা, অতিবৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড় ও প্লাবন থেকে জনগণকে রক্ষায় মন্ত্রণালয় আরো গতিশীল ও কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। গতকাল ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান কার্
যালয় পানি ভবনের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) এবং ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের (আইডব্লিউএম) প্রধান কার্যালয় ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ভবন দু’টি নগরীর আগারগাঁও ও মিরপুর এলাকায় নির্মাণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রধান দু’টি বিভাগ সিইজিআইএস ও আইডব্লিউএম দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় এবং পরিকল্পনা তৈরিতে ব্যাপক অবদান রাখছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দীর্ঘ দিনের দাবি এ প্রকল্প বাস্তবায়নে পূরণ হবে উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করেন, এতে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে গতিশীলতা আসবে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে ওয়াটার মডেলিং, কম্পিউটেশন হাইড্রোলিকস অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্স ক্ষেত্রে বিশ্বমানের সেবা দিচ্ছে। বাংলাদেশ সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় নিজস্ব আয়ে পরিচালিত একটি সরকারি ট্রাস্ট। এটি সমন্বিত পরিবেশগত সমীক্ষা জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম, রিমোট সেনসিং ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বীর প্রতীক, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেন ও মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর আহমেদ খান অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন। শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য অব্যাহতভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং বিশেষজ্ঞরা ধরলা, মনু, মুহুরি, খোয়াই ও গোমতী নদীর পানি বণ্টনের চুক্তির খসড়া প্রণয়নে কাজ করছেন। দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার যখন দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তখন বিএনপি ও তার সহযোগীরা ২০ দলীয় জোটের নামে লোকজনকে হত্যা ও শান্তি বিনষ্ট করছে। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে সাধারণ নির্বাচনের পর বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল। বাংলাদেশ সব সূচকে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বলে সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বিএনপি চেয়ারপারসন ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়েন। এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বিএনপি নেতা ও তার সহযোগীরা বাংলাদেশের অগ্রগতি চায় না বলেই দেশের সমৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করতে ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে। তিনি বলেন, জনগণ আশা করছে, বিএনপি এসএসসি পরীক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে তাদের অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করবে। অন্য দিকে তারা এই পরিস্থিতিতে আরো কঠোর কর্মসূচি হরতাল ঘোষণা করেছে যাতে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার হলে উপস্থিত হতে না পারে। তিনি বলেন, ২০ দলীয় জোট দেশের জন্য ‘বিষাক্ত নাগপাশে’ পরিণত হয়েছে। তিনি এই অশুভ শক্তির মোকাবেলায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্য গড়ে তোলার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

No comments:

Post a Comment