Sunday, April 12, 2015

স্থলসীমান্ত চুক্তি অনুমোদনে মোদিকে চিঠি:প্রথম অালো

ভারতের পার্লামেন্টে স্থলসীমান্ত চুক্তি অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ ও ভারতের ছিটমহলের বাসিন্দারা। চিঠিতে ওই চুক্তির পথ সুগম করতে সংবিধানে ১১৯তম সংশোধনী আনার আহ্বান জানানো হয়। ভারতীয় পার্লামেন্টে অচলাবস্থার কারণে স্থলসীমান্ত চুক্তির অনুমোদন বিলম্বিত হতে পারে আশঙ্কা করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ওই চিঠি পাঠানো হয়। সে দেশের ইংরেজি দৈনিক বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রি
কার এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়। বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি (বিবিইইসিসি) পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার ছিটমহলবাসীর প্রতিনিধি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে ওই চিঠি লেখে। চিঠিতে ছিটমহলবাসীর পুনর্বাসনের জন্য এক শ একর জমি দান করার কথাও উল্লেখ করা হয়। বিবিইইসিসির পক্ষে দীপ্তিমান সেনগুপ্ত ওই চিঠিতে বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের ছিটমহলগুলোতে জরিপ চালানোর পর আমরা বলছি, ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের ছিটমহলের লোকজন পুনর্বাসনের জন্য কোনো দাবি জানাবে না। স্থলসীমান্ত চুক্তি অনুমোদনের পর এই ছিটমহলবাসী শুধু ভারতের নাগরিকত্ব চায়।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ১৫ দশমিক ৭ একর জমি কোচবিহার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দান ঘোষণাপত্র করে জমা দিয়েছি। আরও ১০০ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলো কোনো ক্ষতিপূরণ বা দাবিদাওয়া ছাড়াই পুনর্বাসনের জন্য দান করা হবে।’ দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, আমরা আশা করছি, জাতীয় নিরাপত্তা, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও ছিটমহলের দেশহীন মানুষগুলোর কথা বিবেচনা করে সরকার চলতি অধিবেশনেই সংবিধান সংশোধন বিল উত্থাপন করবে। প্রথম ভারতীয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ছিটমহল সফর করা রাজনাথ সিং স্থলসীমান্ত চুক্তি অনুমোদনের পক্ষেই কথা বলছেন। স্থলসীমান্ত চুক্তি অনুমোদনের বিষয়ে পার্লামেন্টের সবাই একমত হবেন বলে আশা প্রকাশ করে রাজনাথ বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে হলেও স্থলসীমান্ত চুক্তি অবশ্যই অনুমোদন হওয়া উচিত। ছিটমহলের বাসিন্দারা যেসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত, সেই সুবিধাগুলো তাদের পাওয়া উচিত। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় ১৯৭৪ সালে স্থলসীমান্ত চুক্তির অতিরিক্ত প্রটোকল স্বাক্ষর করা হয়। প্রটোকল অনুযায়ী, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা ভারতের ১১১টি ছিটমহল এবং ভারতের অভ্যন্তরে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল হস্তান্তর করা হবে। চুক্তিটি অনুসমর্থনের জন্য ভারতের সংবিধানের সংশোধনী প্রয়োজন। বাংলাদেশ ওই খসড়া চুক্তির অনুসমর্থন দিয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রায় ১৭ হাজার ১৪৯ একর এলাকায় ভারতীয় ছিটমহল রয়েছে। আর বাংলাদেশের আছে ৭ হাজার ১১০ একর। ৫১ হাজারেও বেশি মানুষ এসব ছিটমহলে বসবাস করে।

No comments:

Post a Comment