Tuesday, April 28, 2015

ভোটকেন্দ্র পাহারায় রাখবেন আ.লীগের নেতা–কর্মীরা:প্রথম অালো

আজ ভোট গ্রহণের দিন তিন সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের একজন করে সাংসদ অবস্থান করবেন। দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের সাহস জোগাতে ও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করবেন বলে দলের একাধিক সূত্রে জানা গেছে। দলের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এই উদ্যোগ নেওয়ার নেপথ্যে রয়েছে, প্রতিটি ভোটকেন্দ্র পাহারায় রাখা। সাংসদেরা সরাসরি ভোটকেন্দ্রে না থাকলেও কেন্দ্রের আশপাশে নেতা-কর্মীদের নিয়ে অবস্থান করবেন। তাঁদের সব ধর
নের সহায়তা ও পরামর্শ দেবেন। একই সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় দিনভর থাকবেন। তাঁদেরও মূল কাজ হবে ভোটকেন্দ্র দেখভাল করা, নেতা-কর্মীদের দিনভর চাঙা রাখা। গতকাল সোমবার ঢাকার দুটি এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সাংসদ ও দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় অবস্থান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আ.লীগের একাধিক উচ্চপর্যায়ের নেতা এ তথ্য জানিয়েছেন। নির্বাচন উপলক্ষে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১৩৪টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের ১৩৪ জন সাংসদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই ঢাকা ও চট্টগ্রামের ভোটার নন। এসব সাংসদের সঙ্গে ঢাকার বাইরে থেকেও নেতা-কর্মী এসেছেন। বিশেষ করে উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের অনেকেই ঢাকায় অবস্থার করে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিচ্ছেন। একই অবস্থা চট্টগ্রামেও, সেখানে চট্টগ্রামের আশপাশ থেকে নেতা-কর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা এসেছেন। এ ছাড়া ঢাকার ১৫টি নির্বাচনী এলাকা ধরে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে ১৫টি দল করা হয়েছে। এসব দলে সংশ্লিষ্ট এলাকার সাংসদেরাও রয়েছেন। আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির কার্যালয় থেকে তিন সিটির নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হবে, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে। জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় নেতারা সংশ্লিষ্ট এলাকায় থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করবেন ও উৎসাহ দেবেন। দল-সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন তদারকির কাজও করবেন তাঁরা। ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদপ্রার্থী সাঈদ খোকনের নির্বাচন সমন্বয়কারী আবদুর রাজ্জাক এবং উত্তরের মেয়র প্রার্থী আনিসুল হকের নির্বাচন সমন্বয়কারী ফারুক খানের নেতৃত্বাধীন কমিটিও ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া দেখভাল করবে। নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে যুক্ত আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, ভোটের দিন সকাল থেকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের নিজ এলাকায় ভোটকেন্দ্রে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের কেন্দ্রে আসার জন্য উৎসাহ দিতে বলা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন ওয়ার্ড ও থানার নেতারা। রাজধানীর খিলক্ষেতে লোটাস কামাল টাওয়ারে প্রতিষ্ঠিত কার্যালয় থেকে আনিসুল হকের নির্বাচন পরিচালনা হবে। তাঁর নির্বাচন পরিচালনা কমিটি প্রায় ১২ হাজার পোলিং এজেন্টকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এই এজেন্টরা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩৬টি ওয়ার্ডের ১ হাজার ৯৩টি কেন্দ্রের ৫ হাজার ৮৯২টি কক্ষে আনিসুল হকের পক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন। দক্ষিণে সাঈদ খোকনের নির্বাচনী কর্মকাণ্ড তত্ত্বাবধান করা হবে ২৫ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে স্থাপিত সহস৶ নাগরিক কমিটির কার্যালয় থেকে। সাঈদ খোকনের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ইস্রাফিল আলম। খোকনের পক্ষে ৮ হাজার ৮৫৭ জন পোলিং এজেন্টকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা আজ ৫৭টি ওয়ার্ডে ৮৮৯ কেন্দ্রের ৪৭৪৬টি কক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনের দিনের পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, নির্বাচরে সময় বিশৃঙ্খলা হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুরো বিষয়টি ধানমন্ডি কার্যালয়ে বসে পর্যবেক্ষণ করা হবে।

No comments:

Post a Comment