Sunday, May 3, 2015

মালদ্বীপে বিরোধী নেতাসহ ২০০ জন গ্রেপ্তার:প্রথম অালো

মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের কারাদণ্ডকে কেন্দ্র করে রাজধানী মালেতে শুক্রবার বিক্ষোভ হয়েছে। এ সময় সংঘর্ষ হলে পুলিশ বিরোধী রাজনীতিকসহ কমপক্ষে ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল শনিবার দেশটির পুলিশ এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপির। নাশিদের বিচারকে ‘ব্যাপক পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে উল্লেখ করে জাতিসংঘ এর নিন্দা জানানোর কয়েক ঘণ্টা পর মালদ্বীপে বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভ শুরু হও
য়ার পর দাঙ্গা পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ও লাঠিপেটা করে। গত মার্চে নাশিদকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে দেশটিতে তাঁর বড় ধরনের সমর্থন থাকার বিষয়টি আরেকবার দৃশ্যমান হলো। নাশিদের রাজনৈতিক দল এমডিপি জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তাদের শীর্ষ নেতাদের একজনও রয়েছেন। এ ছাড়া সবচেয়ে বড় ইসলামপন্থী দলের প্রধানকেও আটক করা হয়েছে। গণ-গ্রেপ্তারের পর গতকাল সকালের দিকে মালের রাজপথ শান্ত হয়ে আসে। নাশিদের সমর্থকেরা অভিযোগ করেন, বিক্ষোভ চলার সময় পুলিশ তাঁদের ওপর ‘নৃশংস’ হামলা চালায়। তবে সরকারি কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা আইন অনুযায়ীই বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করেছে। এক বিবৃতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘সমাবেশের আয়োজকেরা প্রতিবাদকারীদের সরকার উৎখাতের আহ্বান জানায়।’ এমডিপির মুখপাত্র শাওনা অমিনাথ বলেন, শুক্রবার বিকেলে ১৯৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি দাবি করেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের নিরাপত্তা বাহিনী কাঁদানে গ্যাস, লাঠি ও স্টান গ্রেনেড দিয়ে হামলা চালায়। অমিনাথ বলেন, তাঁদের দলের চেয়ারম্যান আলী ওয়াহিদ ও প্রধান ইসলামপন্থী দল আধালাত পার্টির নেতা শেখ ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাশিদকে গত ১৩ মার্চ মালদ্বীপের একটি আদালত ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন। ২০১২ সালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তখনকার ফৌজদারি আদালতের প্রধান বিচারক আবদুল্লাহ মোহাম্মদকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন মোহাম্মদ নাশিদ। মালদ্বীপের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতা নাশিদ। ২০০৮ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনের সৎভাই মামুন আবদুল গাইয়ুমের ৩০ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে।

No comments:

Post a Comment