ভায় সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য ভারতের সংবিধান সংশোধনী বিল যথাক্রমে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার পাস করা হয়। কিন্তু বিলের ক্রমিক সংখ্যায় ত্রুটি থাকায় এটি আবার পাস করাতে হবে। তবে এটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। সীমান্ত বিল পাসের মাধ্যমে দুই দেশের দীর্ঘ ৪১ বছরের সমস্যার চূড়ান্ত অবসান হতে যাচ্ছে। সীমান্ত বিল পাসের মাধ্যমে ছিটমহল ও অপদখলীয় জমি বিনিময় এবং সাড়ে ছয় কিলোমিটার সীমানা চিহ্নিত করা হবে। এর ফলে বাংলাদেশে থাকা ভারতের ১১১টি ছিটমহল (আয়তন ১৭ হাজার ১৫৮ একর) বাংলাদেশের এবং ভারতে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল (আয়তন ৭ হাজার ১১০ একর) ভারতে থাকবে। এ ছাড়া অপদখলীয় জমি অর্থাৎ এক দেশের দখলে থাকা অন্য দেশের আইনসম্মত জমি মালিককে হস্তান্তর করা হবে। এতে ভারত পাবে ২৭৭৭ একর এবং বাংলাদেশ পাবে ২২৬৭ একর। আর সাড়ে ছয় কিলোমিটার সীমানা চিহ্নিত হবে দুই খাটা ৫৬ (পশ্চিমবঙ্গ), মুহুরী নদী-বিলোনিয়া (ত্রিপুরা) ও লাঠিটিলা-ডোমাবাড়ীতে (আসাম)। জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশেও সম্ভবত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ দায়িত্ব পালন করবে। ভারতের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়ার পর কাজ শুরু হবে। এ ব্যাপারে কোনো সমস্যা হবে না। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে নিয়ে সরকারএ কাজটি সম্পন্ন করবে। তিনি জানান, সীমান্ত বিল বাস্তবায়নের ফল যে মানচিত্র খালি চোখে দেখা যায়, তাতে কোনো পরিবর্তন আসবে না। তবে আণুবীক্ষণিক কিছু পরিবর্তন আসবে। ভারত সরকার জানিয়েছে, সে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সীমান্ত বিল বাস্তবায়নের কাজ করবে। এটি বাস্তবায়নে ৩ হাজার ৯ কোটি রুপির মতো খরচ হবে। তার মধ্যে অবকাঠামো তৈরিতে খরচ হবে ৭৭৫ কোটি, বাকি ২ হাজার ২৩৪ কোটি রুপি, যাঁরা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়ে ভারতে যেতে চাইবেন তাঁদের পুনর্বাসনে খরচ হবে। বাংলাদেশে ভারতের ছিটমহলগুলোতে যে ৩৫ হাজার লোক বাস করেন, তাঁদের সবার জন্য ওই ২ হাজার ২৩৪ কোটি রুপি বাজেট ধরা হয়েছে।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Monday, May 11, 2015
অনুমোদনপত্র পাওয়ার পর কাজ শুরু হবে বাংলাদেশে:প্রথম অালো
ভায় সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য ভারতের সংবিধান সংশোধনী বিল যথাক্রমে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার পাস করা হয়। কিন্তু বিলের ক্রমিক সংখ্যায় ত্রুটি থাকায় এটি আবার পাস করাতে হবে। তবে এটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। সীমান্ত বিল পাসের মাধ্যমে দুই দেশের দীর্ঘ ৪১ বছরের সমস্যার চূড়ান্ত অবসান হতে যাচ্ছে। সীমান্ত বিল পাসের মাধ্যমে ছিটমহল ও অপদখলীয় জমি বিনিময় এবং সাড়ে ছয় কিলোমিটার সীমানা চিহ্নিত করা হবে। এর ফলে বাংলাদেশে থাকা ভারতের ১১১টি ছিটমহল (আয়তন ১৭ হাজার ১৫৮ একর) বাংলাদেশের এবং ভারতে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল (আয়তন ৭ হাজার ১১০ একর) ভারতে থাকবে। এ ছাড়া অপদখলীয় জমি অর্থাৎ এক দেশের দখলে থাকা অন্য দেশের আইনসম্মত জমি মালিককে হস্তান্তর করা হবে। এতে ভারত পাবে ২৭৭৭ একর এবং বাংলাদেশ পাবে ২২৬৭ একর। আর সাড়ে ছয় কিলোমিটার সীমানা চিহ্নিত হবে দুই খাটা ৫৬ (পশ্চিমবঙ্গ), মুহুরী নদী-বিলোনিয়া (ত্রিপুরা) ও লাঠিটিলা-ডোমাবাড়ীতে (আসাম)। জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশেও সম্ভবত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ দায়িত্ব পালন করবে। ভারতের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়ার পর কাজ শুরু হবে। এ ব্যাপারে কোনো সমস্যা হবে না। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে নিয়ে সরকারএ কাজটি সম্পন্ন করবে। তিনি জানান, সীমান্ত বিল বাস্তবায়নের ফল যে মানচিত্র খালি চোখে দেখা যায়, তাতে কোনো পরিবর্তন আসবে না। তবে আণুবীক্ষণিক কিছু পরিবর্তন আসবে। ভারত সরকার জানিয়েছে, সে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সীমান্ত বিল বাস্তবায়নের কাজ করবে। এটি বাস্তবায়নে ৩ হাজার ৯ কোটি রুপির মতো খরচ হবে। তার মধ্যে অবকাঠামো তৈরিতে খরচ হবে ৭৭৫ কোটি, বাকি ২ হাজার ২৩৪ কোটি রুপি, যাঁরা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়ে ভারতে যেতে চাইবেন তাঁদের পুনর্বাসনে খরচ হবে। বাংলাদেশে ভারতের ছিটমহলগুলোতে যে ৩৫ হাজার লোক বাস করেন, তাঁদের সবার জন্য ওই ২ হাজার ২৩৪ কোটি রুপি বাজেট ধরা হয়েছে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment