Saturday, May 23, 2015

অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পক্ষে মন্ত্রীর সাফাই:প্রথম অালো

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাগরে ভাসমান অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবটের বক্তব্যের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন দেশটির একজন মন্ত্রী। অস্ট্রেলিয়া তাদের পুনর্বাসনে সহায়তা করবে না—সোজাসাপ্টা এ কথা বলায় টনি অ্যাবটের সমালোচনা হচ্ছে। খবর এএফপি ও দ্য গার্ডিয়ানের। অস্ট্রেলিয়া সাগরে আটকে পড়া বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের নিপীড়িত রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীদের পুনর্বাসনের সুয
োগ দেবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট গত বৃহস্পতিবার বলেন, ‘না, না, না’। তিনি আরও বলেন, ‘এটি সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেবে। যেসব মানুষ মনে করে, তারা নৌযানে উঠে পড়ে একসময় একটা নতুন জীবন শুরু করতে পারবে, তাদের উৎসাহিত করতে অস্ট্রেলিয়া কিছুই করবে না।’ অ্যাবটের ওই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ইন্দোনেশিয়ার একজন সরকারি কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, জাতিসংঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক সনদের আওতায় যে দায়দায়িত্ব রয়েছে, অস্ট্রেলিয়া তা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রী পিটার ডাটন গতকাল বলেন, তাঁর দেশের কঠোর নীতি আসলে লোকজনকে সাগরে পা বাড়িয়ে মৃত্যুবরণ করার হাত থেকে বাঁচিয়ে দিচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার নীতি হচ্ছে, নৌযানে করে আসা লোকজনের আশ্রয় প্রার্থনা প্রত্যাখ্যান করা হবে। অস্ট্রেলিয়া জাতিসংঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) ও আন্তর্জাতিক অভিবাসনবিষয়ক সংস্থার (আইওএম) বড় তহবিলদাতা বলে উল্লেখ করেন পিটার ডাটন। তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর লাখ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়। অস্ট্রেলিয়া সবাইকে সহায়তা করতে পারবে না। দেশটি এর মানবিক কর্মসূচির আওতায় প্রতিবছর ১৩ হাজার ৭৫০ জনকে আশ্রয় দিয়ে থাকে। আর টনি অ্যাবটও তাঁর বৃহস্পতিবারের মন্তব্যের পক্ষে গতকাল সাফাই গেয়েছেন। তিনি বলেছেন, লোকজনকে নৌযানে করে আসা আরও উৎসাহিত করবে এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে ‘নিতান্তই দায়িত্বজ্ঞানহীন’ কাজ।

No comments:

Post a Comment