মরণ করেছেন দুই দেশের ‘বিশেষ এবং অপরিহার্য’ সম্পর্ককেও। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের টমাস রাইট বলছিলেন, ‘ক্যামেরনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র বেশ সন্দিহান। বৈদেশিক সম্পর্কের বিষয়ে তিনি খুব একটা আগ্রহী নন।’ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এবং ন্যাটোর সদস্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইরাক ও আফগানিস্তানে যুদ্ধ করেছে। অংশ নিয়েছে ইরানের সঙ্গে পরমাণু-সংক্রান্ত আলোচনায়। ওয়াশিংটনে ব্রিটিশ কূটনীতিকেরা হরহামেশাই হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। যুক্তরাষ্ট্রের অন্য ইউরোপীয় মিত্রদের সেই সুযোগটা নেই। তবে দুই দেশের এত সখ্যের পরও ওয়াশিংটন ইদানীং মনে করছে, এই সম্পর্ক চাপের মুখে। প্রতিরক্ষা ব্যয় কমানোর পরিকল্পনা একটি কারণ। ক্যামেরনের সদ্য সমাপ্ত মেয়াদের অর্থমন্ত্রী জর্জ অসবোর্ন ব্যয় সংকোচনের নীতির জন্য পরিচিত। এ মেয়াদেও তাঁকে অর্থমন্ত্রী রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে, তিনি প্রতিরক্ষা ব্যয় না কমানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানে কান না-ও দিতে পারেন। নিয়ম অনুযায়ী, ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর জিডিপির ২ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করার কথা। ক্যামেরনের ইউরোপনীতি সম্পর্কে টানাপোড়েনের আরেকটি কারণ। এবারের সাধারণ নির্বাচনের প্রচারণায় তিনি যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) থাকা নিয়ে ২০১৭ সালে গণভোট আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ক্যামেরন এবং তাঁর কনজারভেটিভ পার্টিসহ দেশটির প্রধান দলগুলো শেষ পর্যন্ত ইইউ-এর পক্ষেই থাকবেন বলে জোরালো ধারণা। তবে এ গণভোটের ঝুঁকি নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের অনেকে শঙ্কিত। টমাস রাইট বলেন, ‘মার্কিনরা বেশ হতাশ। কেননা, তারা একটি শক্তিশালী যুক্তরাজ্য এবং একটি শক্তিশালী ইউরোপ দেখতে চায়। ক্যামেরন যদি আগের মতোই চলতে চান, তবে যুক্তরাষ্ট্রে দেশটির প্রভাব কমতে থাকবে।’
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Sunday, May 10, 2015
যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিশেষ সম্পর্ক’ প্রশ্নবিদ্ধ:প্রথম অালো
মরণ করেছেন দুই দেশের ‘বিশেষ এবং অপরিহার্য’ সম্পর্ককেও। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের টমাস রাইট বলছিলেন, ‘ক্যামেরনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র বেশ সন্দিহান। বৈদেশিক সম্পর্কের বিষয়ে তিনি খুব একটা আগ্রহী নন।’ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এবং ন্যাটোর সদস্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইরাক ও আফগানিস্তানে যুদ্ধ করেছে। অংশ নিয়েছে ইরানের সঙ্গে পরমাণু-সংক্রান্ত আলোচনায়। ওয়াশিংটনে ব্রিটিশ কূটনীতিকেরা হরহামেশাই হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। যুক্তরাষ্ট্রের অন্য ইউরোপীয় মিত্রদের সেই সুযোগটা নেই। তবে দুই দেশের এত সখ্যের পরও ওয়াশিংটন ইদানীং মনে করছে, এই সম্পর্ক চাপের মুখে। প্রতিরক্ষা ব্যয় কমানোর পরিকল্পনা একটি কারণ। ক্যামেরনের সদ্য সমাপ্ত মেয়াদের অর্থমন্ত্রী জর্জ অসবোর্ন ব্যয় সংকোচনের নীতির জন্য পরিচিত। এ মেয়াদেও তাঁকে অর্থমন্ত্রী রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে, তিনি প্রতিরক্ষা ব্যয় না কমানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানে কান না-ও দিতে পারেন। নিয়ম অনুযায়ী, ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর জিডিপির ২ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করার কথা। ক্যামেরনের ইউরোপনীতি সম্পর্কে টানাপোড়েনের আরেকটি কারণ। এবারের সাধারণ নির্বাচনের প্রচারণায় তিনি যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) থাকা নিয়ে ২০১৭ সালে গণভোট আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ক্যামেরন এবং তাঁর কনজারভেটিভ পার্টিসহ দেশটির প্রধান দলগুলো শেষ পর্যন্ত ইইউ-এর পক্ষেই থাকবেন বলে জোরালো ধারণা। তবে এ গণভোটের ঝুঁকি নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের অনেকে শঙ্কিত। টমাস রাইট বলেন, ‘মার্কিনরা বেশ হতাশ। কেননা, তারা একটি শক্তিশালী যুক্তরাজ্য এবং একটি শক্তিশালী ইউরোপ দেখতে চায়। ক্যামেরন যদি আগের মতোই চলতে চান, তবে যুক্তরাষ্ট্রে দেশটির প্রভাব কমতে থাকবে।’
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment