Sunday, May 10, 2015

প্রথম একক মন্ত্রিসভা গঠনে ব্যস্ত ক্যামেরন:প্রথম অালো

যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে বিজয়ী কনজারভেটিভ দলের নেতা ডেভিড ক্যামেরন তাঁর দলের প্রথম একক মন্ত্রিসভা গঠন করতে ব্যস্ত ছিলেন গতকাল শনিবার। সাপ্তাহিক ছুটির প্রথম দিনটি তিনি এ কাজেই ব্যয় করেন। বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জিতেছে কনজারভেটিভ দল। এর ফলে সরকার গঠনের জন্য তাদের আর গতবারের মতো কোনো দলের ওপর নির্ভর করতে হবে না। খবর বিবিসি ও এএফপির। গতকাল প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন অর্
থমন্ত্রী হিসেবে জর্জ অসবোর্নকে পুনর্নিয়োগ দিয়েছেন। নির্বাচনের পর অসবোর্নই নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম সদস্য নিযুক্ত হলেন। টেরেসা মে, ফিলিপ হ্যামন্ড ও মাইকেল ফ্যালন যথাক্রমে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে বহাল থাকছেন। কাল সোমবার অন্য মন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করার কথা রয়েছে। দুই প্রধান রাজনৈতিক দল কনজারভেটিভ আর লেবার পার্টির মধ্যে কেউই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বলে নির্বাচনের আগের জরিপগুলো ইঙ্গিত দিয়েছিল। এর পরও কনজারভেটিভ দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় অভিভূত ডেভিড ক্যামেরন বলেন, কয়েক প্রজন্মের মধ্যে এটা দলের জন্য ‘মধুরতম বিজয়’। তিনি বলেন, ‘আমি এমন এক দল এবং সরকারের নেতৃত্ব দিতে চাই, যে দল ও সরকার এক জাতি এবং অখণ্ড যুক্তরাজ্যে বিশ্বাসী। এই বিশ্বাসকে আমি পুনরুদ্ধার করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’ যুক্তরাজ্যের গতকাল শনিবারের সংবাদপত্রগুলোতে বলা হয়েছে, নির্বাচনে ক্যামেরনের এই জয়ের মাধ্যমে মূলত নীরব থাকা কনজারভেটিভ সমর্থকদের লক্ষণীয় জয় হয়েছে। তবে স্কটল্যান্ডকে যুক্তরাজ্যের অধীনে রাখতে এবং যুক্তরাজ্যকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) রাখতে ক্যামেরনকে লড়াই করতে হবে। পত্রিকাগুলো সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, মধ্য ডানপন্থী ক্যামেরনের জন্য প্রথম দফার তুলনায় দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন আরও বেশি কঠিন হবে। টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডেভিড ক্যামেরন যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তার বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে প্রজ্ঞা ও দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন জনপ্রিয় নেতা উইনস্টন চার্চিলকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে পত্রিকাটি আরও বলেছে, ‘ক্যামেরনের জন্য এখনই সময় তাঁর ভেতরকার চার্চিলকে খুঁজে বের করার। ...সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়ে তিনি যা অর্জন করেছেন, তার ব্যবহার মোটেই সহজ হবে না। তাঁর প্রকৃত কাজ শুরুর এখনই সময়।’ এদিকে ডেভিড ক্যামেরনের জয়ের পর ইরানের প্রেসিডেন্টের একজন পরামর্শক গতকাল মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাজ্যের বৈদেশিক নীতিকে আরও সক্রিয় করার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট রুহানির রাজনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা হামিদ আবুতালেবি এই আহ্বান জানান। আবুতালেবি অভিযোগ করেন, গত মাসে ইরানের সঙ্গে ছয়জাতির পরমাণু চুক্তির রূপরেখা তৈরির আলোচনায় যুক্তরাজ্য পেছনের আসনে ছিল।

No comments:

Post a Comment