বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হলেন অমিত শাহ। এর ফলে সংগঠন ও সরকারে নরেন্দ্র মোদির একাধিপত্য চূড়ান্ত হলো। গতকাল বুধবার দলের সংসদীয় বোর্ডের বিশেষ সভায় সভাপতি পদে ইস্তফা দেন রাজনাথ সিং। এরপরই দলের সব শীর্ষ নেতার উপস্থিতিতে সর্বসম্মতভাবে সভাপতি নির্বাচিত হন অমিত শাহ। লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশে বিজেপির অভূতপূর্ব সাফল্যের স্বীকৃতি পেলেন সদ্য পঞ্চাশোর্ধ এই গুজরাটি। দেশের প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি
একই রাজ্যের বাসিন্দা, বিজেপিতে এই যুগলবন্দী বিরল। অমিত শাহের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জয়প্রকাশ নাড্ডা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদির পছন্দ ও চাহিদাকে উপেক্ষা করা দল ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (আরএসএস) পক্ষে সম্ভব হয়নি। মোদি-শাহ জুটি যেভাবে বিজেপিকে দীর্ঘ ৩০ বছর পর একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দলে পরিণত করেছে, তার মর্যাদা দিতেই শেষ পর্যন্ত অমিত শাহকে পছন্দ করা হয়েছে। অমিত শাহের কাছে এই মুহূর্তের বড় চ্যালেঞ্জ, সামনে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও ঝাড়খণ্ড ছাড়াও দিল্লি বিধানসভার ভোটও এই বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে হতে পারে। অমিত শাহকে দায়িত্ব দিয়ে মোদি তথা বিজেপি এই রাজ্যগুলো দখল করতে মরিয়া। বিশেষ করে মহারাষ্ট্র, যেখানে দীর্ঘদিন বিজেপি ক্ষমতার বাইরে। বিজেপিতে এত দিন অপ্রতিরোধ্য জুটির নাম ছিল অটল বিহারি বাজপেয়ি ও লালকৃষ্ণ আদভানি। নরম ও সর্বজনগ্রাহ্য বাজপেয়ির পাশে আদভানি ছিলেন কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদের প্রতিভূ। মোদি-শাহ জুটি সেই শূন্যস্থান পূরণ করেছে।
No comments:
Post a Comment