ইরাকের উত্তরাঞ্চলে ইসলামপন্থী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড লেভান্তের (আইসিস) যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। ভূমধ্যসাগরে মার্কিন বিমানবাহী একটি রণতরী থেকে হামলা চালানো হচ্ছে। শুক্রবার দেশটির স্বশাসিত অঞ্চল কুর্দিস্তানের রাজধানী ইরবিলের কাছে এই বিমান হামলা শুরু হয়। গতকালও আইসিসের কয়েকটি গোলন্দাজ ইউনিটের ওপর মার্কিন জঙ্গি বিমান বোমা বর্ষণ করে। গত বৃহস্পতিবার প্রে
সিডেন্ট বারাক ওবামা বিমান হামলার অনুমোদন দেন। তবে ইরাকে নতুন করে সেনা পাঠানো হবে না বলে গতকাল হোয়াইট হাউজে তার সাপ্তাহিক ভাষণে জানান তিনি। ওবামা বলেন, ইরাকে আরেকটি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে না যুক্তরাষ্ট্র। তবে বিমান হামলা অব্যাহত রাখা হবে। ২০১১ সালে ইরাক থেকে সব সৈন্য প্রত্যাহার করেন ওবামা। এখন নতুন করে সেখানে আর সৈন্য পাঠানো হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি। আলজাজিরা ও বিবিসি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, আইসিসের হুমকি মোকাবেলায় এ পদপে জরুরি হয়ে পড়েছিল। ইরবিল শহরে আইসিসের ভারী অস্ত্র ল্য করে গতকালও বিমান হামলা চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন। গতকাল দুইবার হামলা চালানো হয়। এ সময় আইএসের একটি মর্টারকেন্দ্র ধ্বংস ও তাদের একটি গ্রুপকে হত্যা করা হয়। এ হামলার এক ঘণ্টা পর সাতটি গাড়ির একটি বহরে হামলা চালানো হয়। বিমান হামলার পাশাপাশি মার্কিন ও ব্রিটিশ কার্গো বিমান থেকে গত দুই দিনে উত্তর ইরাকের সিনজার পর্বতে আশ্রয় গ্রহণকারী ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার মানুষের কাছে খাদ্য ও পানি ফেলা হয়। আইসিসের যোদ্ধারা এদের ঘিরে রাখায় তারা খাদ্য সঙ্কটের পাশাপাশি জীবনের নিরাপত্তার শঙ্কায় রয়েছে। আইসিস যোদ্ধারা ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের মানুষকে ‘শয়তানের উপাসক’ আখ্যা দিয়ে তাদের উচ্ছেদের হুমকি দিয়েছে। এ দিকে ইরাকি বিমান হামলায় আইসিসের ৬০ সদস্য নিহত হয়েছে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে আলজাজিরা জানায়। মসুলের একটি কারাগার ল্য করে এ হামলা চালানো হয়। ওই কারাগারটির দখল নেয়ার পর সেটিকে ধর্মীয় আদালত ও বন্দী শিবির হিসেবে ব্যবহার করছিল আইসিস সদস্যরা। বিমান হামলার পর বন্দী শিবির থেকে ৩০০ জনকে মুক্ত করা হয়। যদিও প্রতিবেদনে বিষয়টি নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে। প্রতিবেদনের সত্যতা নিরপেভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। প্রতিবেদনে ইরাকের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ভোরের দিকে সেনাবাহিনী বিমান হামলাটি চালায়। ওই প্রতিবেদনে আইসিস সদস্য ছাড়া বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। বন্দীদের কিভাবে ও কারা মুক্ত করেছে, সে ব্যাপারেও কোনো তথ্য দেয়া হয়নি।
No comments:
Post a Comment