বার ব্যাংকের গভর্নর অনুমোদন করেছেন। আজ এ বিষয়ে দুটি প্রতিষ্ঠানকে আলাদাভাবে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হবে। মোবাইল ব্যাংকিং চালু করার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই প্রথম একটি ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করে দিল। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধের নির্দেশ দিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, মোবাইল ব্যাংকিং নীতিমালা ভঙ্গ করে তারা কার্যক্রম করায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রাইম ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রমের ওপর তদন্ত করে। ওই তদন্তে প্রতারণার ঘটনা বেরিয়ে আসে। যার সঙ্গে প্রাইম ব্যাংকের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংককে মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালনার লাইসেন্স দেয়ার পর তারা সলিউশন প্রোভাইডার এসএমজি ইনফোকম লিমিটেডের সঙ্গে এ বিষয়ে সেবা দেয়ার জন্য চুক্তি করে। এরপর প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংকের লোগো ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন দিয়ে মোটা অংকের জামানত নিয়ে প্রায় ২ হাজার ৫০০ লোক নিয়োগ করে। এদের কাছ থেকে জামানত হিসেবে প্রায় ২৫ কোটি টাকা নেয়া হয়েছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে তারা জামানত হিসেবে দিয়েছে ৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের অডিট রিপোর্টে এ খাতে ১৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা নেয়ার তথ্য রয়েছে। এসব করে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রাইম ব্যাংক এসব জেনেও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল না করে অপর একটি কোম্পানি ইউনিট্রেন্ড নেটওয়ার্কের সঙ্গে চুক্তি করে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দেয়ার জন্য। নতুন এই প্রতিষ্ঠানের দুজন পরিচালক হলেন নজুলফিকার আহমেদ ও মুনির আহমেদ খান। তারা প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত এসএমজি ইনফোকমেরও পরিচালক ছিলেন। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে, এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, প্রাইম ব্যাংক এক কোম্পানির প্রতারণা আড়াল করতে একই মালিকপক্ষের নতুন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে। এসএমজি ইনফোকম প্রতারণার মাধ্যমে জনপ্রতি ১ থেকে ২ লাখ টাকা করে জামানত নিয়ে চাকরি দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়ায় চাকরি পাওয়া ব্যক্তিরা বেকায়দায় পড়েন। তারা বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানালে তদন্ত করে এ ব্যাপারে ওই পদক্ষেপ নেয়া হয়। মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালনার ক্ষেত্রে আরও নানা ধরনের অনিয়ম শনাক্ত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে ওই সব অনিয়মের বিরুদ্ধেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Wednesday, August 6, 2014
প্রাইম ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং লাইসেন্স বাতিল:যুগান্তর
বার ব্যাংকের গভর্নর অনুমোদন করেছেন। আজ এ বিষয়ে দুটি প্রতিষ্ঠানকে আলাদাভাবে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হবে। মোবাইল ব্যাংকিং চালু করার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই প্রথম একটি ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করে দিল। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধের নির্দেশ দিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, মোবাইল ব্যাংকিং নীতিমালা ভঙ্গ করে তারা কার্যক্রম করায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রাইম ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রমের ওপর তদন্ত করে। ওই তদন্তে প্রতারণার ঘটনা বেরিয়ে আসে। যার সঙ্গে প্রাইম ব্যাংকের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংককে মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালনার লাইসেন্স দেয়ার পর তারা সলিউশন প্রোভাইডার এসএমজি ইনফোকম লিমিটেডের সঙ্গে এ বিষয়ে সেবা দেয়ার জন্য চুক্তি করে। এরপর প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংকের লোগো ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন দিয়ে মোটা অংকের জামানত নিয়ে প্রায় ২ হাজার ৫০০ লোক নিয়োগ করে। এদের কাছ থেকে জামানত হিসেবে প্রায় ২৫ কোটি টাকা নেয়া হয়েছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে তারা জামানত হিসেবে দিয়েছে ৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের অডিট রিপোর্টে এ খাতে ১৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা নেয়ার তথ্য রয়েছে। এসব করে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রাইম ব্যাংক এসব জেনেও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল না করে অপর একটি কোম্পানি ইউনিট্রেন্ড নেটওয়ার্কের সঙ্গে চুক্তি করে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দেয়ার জন্য। নতুন এই প্রতিষ্ঠানের দুজন পরিচালক হলেন নজুলফিকার আহমেদ ও মুনির আহমেদ খান। তারা প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত এসএমজি ইনফোকমেরও পরিচালক ছিলেন। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে, এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, প্রাইম ব্যাংক এক কোম্পানির প্রতারণা আড়াল করতে একই মালিকপক্ষের নতুন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে। এসএমজি ইনফোকম প্রতারণার মাধ্যমে জনপ্রতি ১ থেকে ২ লাখ টাকা করে জামানত নিয়ে চাকরি দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়ায় চাকরি পাওয়া ব্যক্তিরা বেকায়দায় পড়েন। তারা বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানালে তদন্ত করে এ ব্যাপারে ওই পদক্ষেপ নেয়া হয়। মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালনার ক্ষেত্রে আরও নানা ধরনের অনিয়ম শনাক্ত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে ওই সব অনিয়মের বিরুদ্ধেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment