যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গতকাল শনিবার সতর্ক করে বলেছেন, ইরাকে মার্কিন সামরিক অভিযানের কোনো সময়সীমা নেই। সুন্নি কট্টরপন্থীদের দমন এবং দেশটিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে ‘কিছু সময়’ লাগবে। এটা একটা ‘দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প’। এদিকে ইরবিল শহরের কাছে যোদ্ধাদের অবস্থানে দ্বিতীয় দফায় বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও কুর্দি যোদ্ধাদের জন্য অস্ত্র পাঠিয়েছে ই
রাকের প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকির সরকার। খবর এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি। মার্কিন সামরিক অভিযানের মাধ্যমে ইরাকের সুন্নি কট্টরপন্থীদের সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) যোদ্ধাদের ঠেকিয়ে রাখা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ওবামা। তিনি ইরাকি কর্তৃপক্ষকে সমস্যা সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে ঐক্যের সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। ওবামা বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, আমরা আইএসের যোদ্ধাদের সিনজার পর্বতে গমন এবং সেখানে অবস্থানরত ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের লোকজনকে হত্যা ঠেকাতে পারব। কিন্তু এর পরবর্তী পদক্ষেপ খুবই কঠিন। ওই পর্বত থেকে লোকজনকে নিরাপদে নামিয়ে আনা এবং তাঁদের নিরাপদ একটি স্থানে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা সত্যিই কঠিন চ্যালেঞ্জ।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ইরাকের সেনাবাহিনীকে পুনর্গঠন, পুনরায় তাদের সহযোগিতা প্রদান এবং সুন্নিদের মধ্যে সমর্থন তৈরিতে সময় লাগবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরাকি জনগণের একতা ও তাঁদের ঐক্যের সরকার গঠনের ওপরই সাফল্য নির্ভর করছে। ওবামা বলেন, ‘জিহাদিদের মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের প্রয়োজন। আমি মনে করি না, আমরা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার সমাধান করতে পারব। এর জন্য কয়েক মাসও লেগে যেতে পারে।’ ওবামা আরও বলেন, শুক্রবারের বিমান হামলায় আইএসের অস্ত্র ও সরঞ্জাম ধ্বংস হয়েছে। এর মাধ্যমে ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের হাজার হাজার লোককে আইএস যোদ্ধাদের হাত থেকে রক্ষা করা গেছে। আইএসের যোদ্ধারা ইরবিল শহর থেকে ১৮ মাইল দূরে অবস্থান করছেন, শহরের গভর্নর এমন আশঙ্কা প্রকাশের পর সেখানে দ্বিতীয় দফায় বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ওবামা ইরাকে ‘সীমিত পরিসরে’ বিমান হামলা চালানোর অনুমোদন দেওয়ার পর গত শুক্রবার ওই হামলা শুরু হয়। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কারবি বলেন, দ্বিতীয় দফায় একই দিন আইএসের একটি গোলন্দাজ সরঞ্জামের অবস্থানকে লক্ষ্যবস্তু করে মার্কিন চালকবিহীন বিমান (ড্রোন)। এর কিছুক্ষণ পরে আইএস যোদ্ধারা যখন ফিরে যাচ্ছিলেন, তখন আরেক দফা আঘাত হানে ড্রোন। এরপর যুদ্ধবিমানগুলো থেকেও যোদ্ধাদের অবস্থানে বোমা ফেলা হয়। এসব হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল যোদ্ধাদের সাতটি গাড়ির একটি বহর ও আরেকটি গোলন্দাজ অবস্থান। ওবামা বলেছেন, তিনি ইরাক ও সিরিয়ায় সুন্নি মুসলিম জিহাদিদের তাঁদের ঘোষণামতো ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠা করতে দেবেন না। প্রয়োজনে বিমান হামলা অব্যাহত রাখা হবে। তিনি এও বলেন, আমেরিকান সেনাবাহিনী আর ইরাকে লড়াইয়ে ফিরে যাবে না।
No comments:
Post a Comment