Monday, September 8, 2014

এমডিজি : কাক্সিত বৈদেশিক সহায়তা আসছে না:নয়াদিগন্ত

সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে বাংলাদেশ কাক্সিত বৈদেশিক সহায়তা পাচ্ছে না, যা পাচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ১৯৯০-৯১ সময়ে ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ থেকে ২০১২-১৩ সময়ে তা ১ দশমিক ৮৭ শতাংশে নেমে এসেছে। সর্বশেষ খানা আয়-ব্যয় জরিপ ২০১০ অনুযায়ী বাংলাদেশে ২০০০-২০১০ মেয়াদে গড়ে প্রতি বছর দারিদ্র্যের হার কমেছে ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ। বর্তমানে দেশে দারিদ্র্যের হার ২৬ দশমিক ২ শতাংশ। শেরেবাংলা নগরের এনইসি স
ম্মেলন কক্ষে গতকাল পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ প্রকাশিত ‘এমডিজি : বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রতিবেদনে-২০১৩’ এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম। বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি পলিন টমাসি, ইআরডি সচিব মেজবাহউদ্দিন আহমদ, পরিকল্পনা সচিব ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম প্রমুখ। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বাংলাদেশ পরবর্তী ধাপে অর্থাৎ ২০১৫-২০৩০ সালের মধ্যে এমডিজির অন্য ল্যগুলো অর্জন করতে সম হবে। এ ল্য পূরণে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং প্রস্তুত। তিনি বলেন, স্বল্প উন্নত দেশগুলোর জন্য যে ল্যমাত্রাÑ বাংলাদেশ সেগুলো অর্জন করবেই। যেগুলো অর্জন করতে পারিনি সেগুলো এমডিজির পরবর্তী এজেন্ডায় যুক্ত হবে। মন্ত্রী বলেন, আমরা বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সামাল দিতে পেরেছি। প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ২০১১-১৫ সময়ের মধ্যে এমডিজির সব লক্ষ্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশের ৭৮ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। সাধারণভাবে প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে এবং উচ্চ প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যথাক্রমে ৫ বিলিয়ন ডলার ও ৩ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক সহায়তা প্রয়োজন; কিন্তু বাংলাদেশ প্রতি বছর গড়ে ১ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্ট (ওডিএ) সহায়তা পেয়েছে। বলা হয়, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির কারণে ১৯৯১-৯২ সালের ৫৬.৭ শতাংশ থেকে ২০১০ সালে দারিদ্র্যের হার ৩১.৫ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এমডিজির অনেক েেত্র সারা বিশ্বের তুলনায় আমরা অনেক এগিয়ে রয়েছি। তার পরও দারিদ্র্য থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে  হবে। ১৯৭০ সালে দেশে দরিদ্রের সংখ্যা ছিল ৮০ শতাংশ, যা এখন ২৫ শতাংশের নিচে। প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অর্থায়নের সমস্যা না থাকলে অনেক বেশি ল্য অর্জন করা সম্ভব ছিল। এমডিজি অর্জনে আর্থিক ও মনিটরিং পলিসি ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। তা ছাড়া রেমিট্যান্সের ভূমিকা অনেক। অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, এমডিজিতে আমাদের যেসব অর্জন হয়েছে সেগুলো ধরে রাখতে হবে। অর্থের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এসব অর্জন প্রশংসনীয়।

No comments:

Post a Comment