রডাপ মিলনায়তনে ‘মিডিয়া ওয়ার্কশপে’ বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য প্রদান করেন। এতে ‘পরিবেশগত দূষণকবলিত স্বাস্থ্য : বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক উপস্থাপনা দেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোস্যাল মেডিসিনের (নিপসম) সহকারী অধ্যাপক ডা: মঞ্জুরুল হক খান এবং ‘পরিবেশগত স্বাস্থ্য এবং জলবায়ু পরিবর্তন’ শীর্ষক উপস্থাপনা দেন সিয়েরোর আঞ্চলিক উপদেষ্টা লেসলি ওনিয়ন। সম্মেলনের বিস্তারিত তুলে ধরেন সিয়েরোর পাবলিক ইনফর্মেশন অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি অফিসার ভিস্মিতা গুপ্তা-স্মিথ। সূচনা বক্তব্য রাখেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ অফিসের কমিউনিকেশন অফিসার মো: সাইফুল ইসলাম। ডা: মঞ্জুরুল হক খান বলেন, ঢাকার বাতাসে পিএম-১০, পিএম-২.৫, কার্বন মনোক্সাইড, সিসা, সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড পরিমাণে অনেক বেশি আছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ঢাকায় অনেক পুরনো গাড়ি চলাচল করে। পুরনো গাড়ি জ্বালানি পুরোপুরি পোড়াতে পারে না; ক্ষতিকর পদার্থগুলো বাতাসে ছেড়ে দেয়। আবার রাজধানী ঢাকার আশপাশে অনেক ইটভাটা রয়েছে। এখান থেকে বাতাসে ক্ষতিকর পদার্থগুলো চলে আসছে। অধ্যাপক মঞ্জুর আহমদ বলেন, এসব ক্ষতিকর পদার্থ রোগই কেবল বাড়িয়ে দেয় না এগুলো শিশুদের বৃদ্ধি ও বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। গর্ভবতীদের অকালে গর্ভপাত ঘটে। অনিয়ন লেসলি জানান, বিশ্বব্যাপী ঘরের বাইরে বায়ু দূষণের ফলে মারা যায় ৩৭ লাখ মানুষ। ঘরের ভেতরে দূষণে মারা যায় ৪৩ লাখ। ঘরের বাইরের পরিবেশ দূষণে যে ৩৭ লাখ মানুষ মারা যায় এর মধ্যে ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজে ২১ শতাংশ, ব্রেইন স্ট্রোকে ২৩ শতাংশ এবং ফুসফুসের নানা রোগে (সিওপিডি) ভোগে মারা যায় ১৩ শতাংশ। ঘরে পরিবেশ দূষণে মৃত্যুবরণকারী ৪৩ লাখের মধ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ৫৪ শতাংশ, ৩০ শতাংশ মারা যায় সিওপিডি রোগে এবং ১৫ শতাংশ মারা যায় ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজে (হৃদরোগ)। স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের এ সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আজ সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা তুলে ধরবেন।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Monday, September 8, 2014
ঢাকার বাতাসে অতিমাত্রায় ক্ষতিকর পদার্থ:নয়াদিগন্ত
রডাপ মিলনায়তনে ‘মিডিয়া ওয়ার্কশপে’ বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য প্রদান করেন। এতে ‘পরিবেশগত দূষণকবলিত স্বাস্থ্য : বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক উপস্থাপনা দেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোস্যাল মেডিসিনের (নিপসম) সহকারী অধ্যাপক ডা: মঞ্জুরুল হক খান এবং ‘পরিবেশগত স্বাস্থ্য এবং জলবায়ু পরিবর্তন’ শীর্ষক উপস্থাপনা দেন সিয়েরোর আঞ্চলিক উপদেষ্টা লেসলি ওনিয়ন। সম্মেলনের বিস্তারিত তুলে ধরেন সিয়েরোর পাবলিক ইনফর্মেশন অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি অফিসার ভিস্মিতা গুপ্তা-স্মিথ। সূচনা বক্তব্য রাখেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ অফিসের কমিউনিকেশন অফিসার মো: সাইফুল ইসলাম। ডা: মঞ্জুরুল হক খান বলেন, ঢাকার বাতাসে পিএম-১০, পিএম-২.৫, কার্বন মনোক্সাইড, সিসা, সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড পরিমাণে অনেক বেশি আছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ঢাকায় অনেক পুরনো গাড়ি চলাচল করে। পুরনো গাড়ি জ্বালানি পুরোপুরি পোড়াতে পারে না; ক্ষতিকর পদার্থগুলো বাতাসে ছেড়ে দেয়। আবার রাজধানী ঢাকার আশপাশে অনেক ইটভাটা রয়েছে। এখান থেকে বাতাসে ক্ষতিকর পদার্থগুলো চলে আসছে। অধ্যাপক মঞ্জুর আহমদ বলেন, এসব ক্ষতিকর পদার্থ রোগই কেবল বাড়িয়ে দেয় না এগুলো শিশুদের বৃদ্ধি ও বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। গর্ভবতীদের অকালে গর্ভপাত ঘটে। অনিয়ন লেসলি জানান, বিশ্বব্যাপী ঘরের বাইরে বায়ু দূষণের ফলে মারা যায় ৩৭ লাখ মানুষ। ঘরের ভেতরে দূষণে মারা যায় ৪৩ লাখ। ঘরের বাইরের পরিবেশ দূষণে যে ৩৭ লাখ মানুষ মারা যায় এর মধ্যে ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজে ২১ শতাংশ, ব্রেইন স্ট্রোকে ২৩ শতাংশ এবং ফুসফুসের নানা রোগে (সিওপিডি) ভোগে মারা যায় ১৩ শতাংশ। ঘরে পরিবেশ দূষণে মৃত্যুবরণকারী ৪৩ লাখের মধ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ৫৪ শতাংশ, ৩০ শতাংশ মারা যায় সিওপিডি রোগে এবং ১৫ শতাংশ মারা যায় ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজে (হৃদরোগ)। স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের এ সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আজ সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা তুলে ধরবেন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment