দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে আস্থার সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। বেশ কিছুদিন ধরে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতা এখন রূপ নিয়েছে অনিশ্চয়তায়। দীর্ঘমেয়াদি অস্থিতিশীলতার আশংকায় বিনিয়োগে চলছে খরা। শিল্প বিনিয়োগের অন্যতম উপকরণ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকট নিরসনের সময় নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগের এই খরায় ব্যাহত হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নেতিবাচক প্রচারণায় ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে তৈরি পো
শাকসহ সব ধরনের পণ্য রফতানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের ঋণপ্রবাহ কমে যাওয়ায় সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্তিমিত হয়ে পড়েছে। এর প্রভাবে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ওপরও চাপ বাড়ছে। অনিশ্চয়তা আর আস্থাহীনতায় দেশী-বিদেশী উদ্যোক্তারা নতুন বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। দেশের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অর্থনীতির প্রধান সমস্যা এখন আস্থাহীনতা। দ্রুত এই অবস্থার উন্নতি না হলে তা অশনি সংকেত বয়ে আনবে। কেননা দীর্ঘদিন ধরে প্রত্যাশিত বিনিয়োগ না হওয়ায় কর্মসংস্থান বাড়ছে না। এতে বেকারত্বের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এটা অর্থনীতির ভারসাম্য রক্ষায় বড় ধরনের চাপ তৈরি করছে। বেশি দিন এ ধরনের চাপ থাকলে অর্থনীতি লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে বলে তারা সতর্ক করে দিয়েছেন। এদিকে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ মুখ থুবড়ে পড়ায় কমে গেছে ঋণের চাহিদা। ফলে বাড়ছে না টাকার সরবরাহ। এতে সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিকাশ মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। একই সঙ্গে ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতির কারণে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে গেছে আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। খেলাপি ঋণ বাড়ার কারণে কমছে না ব্যাংক ঋণের সুদ হারও। চড়া সুদে ঋণ নিয়ে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে ঝুঁকি নিচ্ছে না। সূত্র মতে, গত অর্থবছর থেকেই কমে গেছে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ। বিদেশী বিনিয়োগে নিদারুণ মন্দার পাশাপাশি কমছে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধির হার। শিল্প খাতে যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি কমে গেছে। বিদেশে জনশক্তি রফতানিতেও চলছে মন্দা। রেমিটেন্সের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখাও হুমকির মুখে। খরচ না করতে পারায় দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে হু হু করে। আবার বিদেশ থেকে ঋণ এনে দেশকে আরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়া হচ্ছে। এসব মিলে সার্বিক অর্থনীতির সূচকগুলোতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে দেশের সার্বিক অর্থনীতির চিত্র তুলে ধরে অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘দেশের বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করা জরুরি। এ জন্য এখনই সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। ঋণে সুদের হার কমানোর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ফলে সহসাই সুদ হার কমে আসবে।’ সরকারের অভ্যন্তরীণ সম্পদের জোগান ঝুঁকির মধ্যে আছে। নামমাত্র বৈদেশিক সহায়তার মধ্যে রাজস্ব আদায় প্রত্যাশিত না হলে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডও মুখ থুবড়ে পড়তে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন সত্ত্বেও এনবিআরের রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি ছিল ৪ হাজার ৪শ’ কোটি টাকা। আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ শতাংশ। এরপরও চলতি অর্থবছরে ৩১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৭২০ কোটি টাকার উচ্চাভিলাষী রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে। এই অস্বাভাবিক রাজস্ব আদায় কোনোভাবেই সম্ভব নয় বলে এনবিআর কর্মকর্তারা আশংকা প্রকাশ করেছেন। এনবিআর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে আগস্ট পর্যন্ত যে রাজস্ব আদায় করছে তার প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৫ শতাংশ। এই হার আগামী কয়েক মাসে আরও কমতে পারে। এনবিআর স্বীকার করেছে, জুলাই পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ে বড় ঘাটতি হয়েছে। টাকার প্রবাহ কমছে : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বাজারে টাকার সরবরাহ কমেছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে মুদ্রা সরবরাহ বেড়েছিল ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ। তার আগের বছরে এই বৃদ্ধির হার ছিল ১৬ দশমিক ৭১ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে টাকার প্রবাহ কমেছে দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থনীতিকে আগের অবস্থায় রাখলেও যেখানে টাকার প্রবাহ বাড়ার কথা, সেখানে কমছে। অথচ চাহিদা বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির ক্ষয় বাদ দিলে টাকার প্রবাহ কিছুটা বাড়লেও তা আগের বছরের তুলনায় সমান হারেই থাকত। এক্ষেত্রে টাকার প্রবাহ কমায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও কমেছে। এদিকে গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় চলতি বছরের জুলাইয়ে টাকার প্রবাহ কমেছে ১ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি কমেছে বেসরকারি খাতে। ফলে এই খাতে নতুন কর্মসংস্থান বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, অর্থনীতিতে এখন বড় সমস্যা হচ্ছে আস্থাহীনতা। এই সংকট মোকাবেলার অন্যতম পথ হচ্ছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এছাড়া আস্থার সংকট দূর করা সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে এই অবস্থা চলতে থাকলে বেকারের সংখ্যা বেড়ে যাবে। তখন অর্থনীতি এই ভার বহন করতে পারবে না। অর্থনীতিতে কোনো সংকটই একদিনে আসে না। আগে থেকে আগাম বার্তা দিতে থাকে। যেটা এখন দেয়া হচ্ছে। সরকার এই বার্তা গ্রহণ না করলে ভুল করবে। বিনিয়োগে খরা : দেশী-বিদেশী বিনিয়োগে মন্দা কাটছে না। চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে দেশে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে মাত্র ১২ কোটি ৩০ লাখ ডলার। একই সঙ্গে পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগ হয়েছে ১৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই হার ছিল যথাক্রমে ১১ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং ১৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার। ওই সময়ে এফডিআই বেড়েছে মাত্র ১১ শতাংশ। এই বিনিয়োগের ৫৩ শতাংশই হচ্ছে কোম্পানিগুলোর অর্জিত মুনাফা থেকে। স্থানীয় বিনিয়োগের পরিমাণও একেবারে কম। বিনিয়োগ বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৪৩২টি শিল্প প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে ১৫ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকার। এর মধ্যে স্থানীয় বিনিয়োগের প্রস্তাব ১৪ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা ও বিদেশী বিনিয়োগের প্রস্তাব ১ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা। নিবন্ধন হলেও এসব বিনিয়োগ এখনও আলোর মুখ দেখেনি বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিনিয়োগ না হওয়ায় শিল্পের বিকাশ হচ্ছে না। বাড়ছে না কর্মসংস্থান। প্রতি বছর দেশের শ্রমবাজারে যে নতুন জনশক্তি যোগ হচ্ছে তারা কর্মহীনই থাকছে। এতে অর্থনীতিতে এক ধরনের ভারসাম্যহীনতা তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে প্রতি বছর দেশে ৪ লাখ নতুন শ্রমশক্তি বাজারে আসছে। বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা আরও বেশি। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ড. মোস্তফা কে মুজেরী যুগান্তরকে বলেন, বিনিয়োগ না হওয়াটাই অর্থনীতির জন্য বড় সংকট। এই সংকট সাময়িক হলে তা সহ্য করা যায়। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি হলে অর্থনীতি তা সহ্য করতে পারবে না। বিষয়টি এখন জরুরিভিত্তিতে বিবেচনা করার সময় এসেছে। রফতানি খাতে শংকা : চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট এই দুই মাসে রফতানি আয় হয়েছে ৫১৪ কোটি ২২ লাখ ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে মাত্র ২ দশমিক ০৭ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের ওই সময়ে রফতানি আয় হয়েছিল ৫০৩ কোটি ৭৭ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি কমেছে ১২ দশমিক ৬৭ শতাংশ। বেশির ভাগ প্রধান প্রধান রফতানি পণ্যে আয় কমেছে। এর মধ্যে কাঁচা পাটে সাড়ে ১০ শতাংশ, পাটজাত পণ্যে সাড়ে ১১ শতাংশ, চামড়ায় প্রায় সাড়ে ৮ শতাংশ, ওভেন পোশাকে দেড় শতাংশের বেশি, কৃষিজাত পণ্যে ১৪ শতাংশ, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যে প্রায় ৯ শতাংশ রফতানি আয় কমেছে। দেশের রফতানি খাত সামনে আরও বড় ধরনের সংকটে পড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকায় রফতানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের তৈরি পোশাক খাতেও রফতানি আয়ে নেতিবাচক অবস্থা বিরাজ করছে। এদিকে গ্যাস সংযোগের অভাবে অনেক শিল্পকারখানা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের দাম কমে গেছে। যে কারণে পরিমাণে বেশি পণ্য রফতানি করেও ওই হারে আয় বাড়ানো যাচ্ছে না। শিল্পের যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি কমেছে : অর্থনৈতিক মন্দায় চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে শিল্পের যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানির পরিমাণ কমে গেছে। যন্ত্রপাতি আমদানির এলসি খোলা কমেছে প্রায় ৯ শতাংশ, আমদানি কমেছে সাড়ে ১২ শতাংশ। শিল্পের কাঁচামাল আমদানির এলসি খোলার হাড় সাড়ে ৫ শতাংশ বাড়লেও আমদানি কমেছে সাড়ে ১১ শতাংশ, যা শিল্প খাতে বিকাশের ধারাকে নিুগামী হিসেবে চিহ্নিত করে। এই দুই মাসে সার্বিকভাবে আমদানি কমেছে সাড়ে ৮ শতাংশ এবং এলসি খোলা কমেছে দেড় শতাংশের বেশি। বিনিয়োগ না হওয়ায় শিল্প খাতের আমদানিতে নেতিবাচক অবস্থা দেখা দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। শেষ ভরসায় আতংক : দেশের অর্থনৈতিক সংকটে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সই শেষ ভরসা হিসেবে কাজ করেছে। দীর্ঘদিন ধরে এই খাতে ইতিবাচক ধারা থাকলেও গত অর্থবছরে নেতিবাচক হয়েছে। গত অর্থবছরে রেমিটেন্স কমেছিল দেড় শতাংশের বেশি। তবে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে রেমিটেন্স বেড়েছে প্রায় ২২ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে বেড়েছিল ১০ শতাংশ। এর মধ্যে বিশেষ করে সৌদি আরব, কাতার ও মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি প্রায় বন্ধ রয়েছে। অথচ ওইসব দেশ থেকেই বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স আসে। নতুন জনশক্তি রফতানি কমে যাওয়ায় রেমিটেন্স প্রবাহ কমে যেতে পারে। সব মিলিয়ে বৈদেশিক হিসেবে ব্যয়ের চেয়ে আয় বেশি হচ্ছে। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। ৮ সেপ্টেম্বর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ২০২ কোটি ডলার। আমদানি ব্যয় কম থাকায় বৈদেশিক দেনা শোধে রিজার্ভ ব্যয় হচ্ছে কম। ফলে সরকারের চলতি হিসাবে ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরেই সরকারের বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানে মন্দা চলছে। চলতি অর্থবছরের শুরুতেই এই মন্দা আরও জেঁকে বসেছে। গত জুলাইয়ে মোট বৈদেশিক অনুদান এসেছে ১৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার। পরিশোধ করা হয়েছে ১৯ কোটি ৬ লাখ ডলার। ফলে এই খাতে ২ কোটি ডলার ঘাটতি হয়েছে। নিরাপদ বিনিয়োগে উৎসাহী : সামগ্রিক অস্থিরতার কারণে গত অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে ভাটা পড়েছিল। ২০১২-১৩ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি বেড়েছিল ২৩ শতাংশ। গত অর্থবছরে এই খাতে বিক্রি বেড়েছে মাত্র সোয়া ৪ শতাংশ। কিন্তু চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে সঞ্চয়পত্র বিক্রি বাড়তে থাকে। জুলাই-আগস্ট এই দুই মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকার, যা গত অর্থবছরের চেয়ে ৬২ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ৩ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকার, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে মাত্র আড়াই শতাংশ বেশি। বিনিয়োগে মন্দা, ব্যাংকে আমানতের সুদের হার কমে যাওয়ার কারণে উদ্যোক্তা ও সাধারণ মানুষ এখন সঞ্চয়পত্রের দিকে ঝুঁকছে। এতে সরকারের ঋণের জোগান বাড়বে, কিন্তু দেশে বিনিয়োগ বাড়বে না। এতে সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ থাকলেও সরকারি বিনিয়োগ নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে।
No comments:
Post a Comment