থাৎ নয় গুণ বেশি আকারে ইবোলা ছড়িয়ে পড়েছে। এ ছাড়া রাজধানী ফ্রিটাউনে সংক্রমণও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুই মাস আগের চেয়ে এখন দিনে গড়ে ছয় গুণ বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে। সিয়েরালিওনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নথিতে উল্লিখিত গত তিন দিনের ইবোলা আক্রান্তদের সংখ্যা পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। জাতিসঙ্ঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত কিছু এলাকায় সংক্রমণের হার কমে আসায় সন্তোষ প্রকাশ করার পর নতুন এ তথ্য প্রকাশিত হলো। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সহায়তায় আফ্রিকা গভর্ন্যান্স ইনিশিয়েটিভের (এজিআই) রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এজিআইয়ের প্রধান নির্বাহী নিক থম্পসন বলেন, সিয়েরালিওন সরকার চিকিৎসার উন্নতি সাধন এবং লাশ মাটির নিচে পুঁতে ফেলার মাধ্যমে সংক্রমণ মোকাবেলায় সত্যিকারের অগ্রগতি অর্জন করেছে। তিনি বলেন, ‘তবে ইবোলা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা না পর্যন্ত আমরা বিশ্রাম নিতে পারি না। কারণ সিয়েরালিওনের বেশ কয়েকটি গ্রামে ইবোলা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার তথ্য পাওয়া গেছে।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিইএইচও) তথ্য অনুযায়ী, ইবোলায় কমপক্ষে পাঁচ হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটেছে এবং ১৩ হাজারেরও বেশি লোক আক্রান্ত হয়েছে। তবে এতে প্রাণহানি ও আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার ইবোলা-ভীতি পশ্চিম আফ্রিকা থেকে যে দেশ সুদূরে অবস্থিত এবং যেখানে পর্যটকেরা খুব একটা যাতায়াত করেন না সেই দেশই ইবোলা রোগ প্রতিরোধে সবচেয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। দেশটিতে শিশুদেরকে কোলে নিয়ে ডাক্তাররা ইবোলা ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করছেন। রাজধানীর বিমানবন্দরে আগত দেশী-বিদেশী সবাইকে কয়েক সপ্তাহ ধরে আলাদা করে রেখে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আর পর্যটক আগমন একেবারে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন দেশটিতে যে মাত্রায় রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে আক্রান্ত পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে তা গ্রহণ করা হয়নি। উত্তর কোরিয়া থেকে এসব দেশ হাজার হাজার মাইল দূরে অবস্থিত। পর্যটক যাওয়া নিষিদ্ধ করার পর অল্পসংখ্যক বিদেশীকে উত্তর কোরিয়ায় যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়। তাদের মধ্যে গার্ডিয়ানের একজন সাংবাদিকও যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু ইবোলার ব্যাপারে উদ্বেগের কারণে সফরকারী সাংবাদিকদের একটি কারখানা ও গবেষণাকেন্দ্রে যাওয়ার আমন্ত্রণ বাতিল করা হয়। দেশটিতে আসলে ইবোলা হিস্টিরিয়া চলছে। লোকেরা এ রোগ নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। টেলিভিশন অনুষ্ঠানের একটা বড় অংশজুড়ে এ রোগের কথা বলা হচ্ছে। শুক্রবার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ একবাক্যের একটি খবর প্রচার করে। তাতে বলা হয়, ইবোলার সংক্রমণ ঠেকাতে উত্তর কোরিয়ায় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Wednesday, November 5, 2014
সিয়েরালিওনের গ্রামগুলোতে ইবোলার দ্রুত বিস্তার:নয়াদিগন্ত
থাৎ নয় গুণ বেশি আকারে ইবোলা ছড়িয়ে পড়েছে। এ ছাড়া রাজধানী ফ্রিটাউনে সংক্রমণও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুই মাস আগের চেয়ে এখন দিনে গড়ে ছয় গুণ বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে। সিয়েরালিওনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নথিতে উল্লিখিত গত তিন দিনের ইবোলা আক্রান্তদের সংখ্যা পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। জাতিসঙ্ঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত কিছু এলাকায় সংক্রমণের হার কমে আসায় সন্তোষ প্রকাশ করার পর নতুন এ তথ্য প্রকাশিত হলো। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সহায়তায় আফ্রিকা গভর্ন্যান্স ইনিশিয়েটিভের (এজিআই) রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এজিআইয়ের প্রধান নির্বাহী নিক থম্পসন বলেন, সিয়েরালিওন সরকার চিকিৎসার উন্নতি সাধন এবং লাশ মাটির নিচে পুঁতে ফেলার মাধ্যমে সংক্রমণ মোকাবেলায় সত্যিকারের অগ্রগতি অর্জন করেছে। তিনি বলেন, ‘তবে ইবোলা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা না পর্যন্ত আমরা বিশ্রাম নিতে পারি না। কারণ সিয়েরালিওনের বেশ কয়েকটি গ্রামে ইবোলা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার তথ্য পাওয়া গেছে।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিইএইচও) তথ্য অনুযায়ী, ইবোলায় কমপক্ষে পাঁচ হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটেছে এবং ১৩ হাজারেরও বেশি লোক আক্রান্ত হয়েছে। তবে এতে প্রাণহানি ও আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার ইবোলা-ভীতি পশ্চিম আফ্রিকা থেকে যে দেশ সুদূরে অবস্থিত এবং যেখানে পর্যটকেরা খুব একটা যাতায়াত করেন না সেই দেশই ইবোলা রোগ প্রতিরোধে সবচেয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। দেশটিতে শিশুদেরকে কোলে নিয়ে ডাক্তাররা ইবোলা ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করছেন। রাজধানীর বিমানবন্দরে আগত দেশী-বিদেশী সবাইকে কয়েক সপ্তাহ ধরে আলাদা করে রেখে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আর পর্যটক আগমন একেবারে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন দেশটিতে যে মাত্রায় রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে আক্রান্ত পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে তা গ্রহণ করা হয়নি। উত্তর কোরিয়া থেকে এসব দেশ হাজার হাজার মাইল দূরে অবস্থিত। পর্যটক যাওয়া নিষিদ্ধ করার পর অল্পসংখ্যক বিদেশীকে উত্তর কোরিয়ায় যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়। তাদের মধ্যে গার্ডিয়ানের একজন সাংবাদিকও যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু ইবোলার ব্যাপারে উদ্বেগের কারণে সফরকারী সাংবাদিকদের একটি কারখানা ও গবেষণাকেন্দ্রে যাওয়ার আমন্ত্রণ বাতিল করা হয়। দেশটিতে আসলে ইবোলা হিস্টিরিয়া চলছে। লোকেরা এ রোগ নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। টেলিভিশন অনুষ্ঠানের একটা বড় অংশজুড়ে এ রোগের কথা বলা হচ্ছে। শুক্রবার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ একবাক্যের একটি খবর প্রচার করে। তাতে বলা হয়, ইবোলার সংক্রমণ ঠেকাতে উত্তর কোরিয়ায় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment