লিমায় চলা জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের সময় এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো। ইউনেপ বলছে, কার্বন নিঃসরণের মাত্রা জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক ফ্রেমওয়ার্কের (ইউএনএফসিসিসি) নির্ধারিত সহনীয় মাত্রার মধ্যে থাকলেও আগামী দশকগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও এর ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি থেকে যাবে। ইউনেপের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ধনী দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুত অর্থ না দিলে অভিযোজন খাতে ২০২০ সালের পর বড় ধরনের ঘাটতি দেখা দেবে। কার্বনের মতো গ্রিনহাউস গ্যাসের মাত্রাতিরিক্ত নিঃসরণের প্রতিক্রিয়ায় বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বাড়ছে। এ কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির মতো নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাড়ছে বন্যা, খরাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ধনী দেশগুলো জাতিসংঘের তৈরি করা সবুজ জলবায়ু তহবিলে ৯৭০ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই অর্থ প্রায় সিন্ধুতে বিন্দুর মতো। কেননা জাতিসংঘের লক্ষ্যমাত্রা ২০২০ সাল নাগাদ প্রতিবছর ১০ হাজার কোটি তোলা। ইউনেপের নির্বাহী পরিচালক আখিম স্টাইনার বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কাটাতে ত্বরিৎ ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য চরম মূল্য দিতে হবে। এই প্রতিবেদনটি এরই এক সতর্কবার্তা। জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই সৎ হতে হবে।’ প্রতিবেদনে বলা হয়, কার্বন নিঃসরণের ক্ষেত্রে নতুন করে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে অভিযোজন ব্যয় প্রচুর বেড়ে যাবে। চরমভাবাপন্ন জলবায়ু থেকে মানুষকে রক্ষা করতে হলে ব্যয় আরও বেড়ে যাবে। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অভিযোজন খাতে ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালে প্রতিবছর প্রয়োজন হবে ১৫ হাজার কোটি ডলার। এর পরিমাণ ২০৫০ সালে গিয়ে ঠেকবে ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার কোটি ডলারে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলেও এই অর্থের প্রয়োজন হবে। এখন যে মাত্রায় কার্বন নিঃসরণ ঘটছে, সেটি যদি কমানো না যায় তবে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। পেরুতে চলমান জলবায়ু সম্মেলনে ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোর জোট বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব তারা ইতিমধ্যে টের পাচ্ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার জন্য এসব দেশের অস্তিত্বই ঝুঁকির মুখে। এখন পর্যন্ত যে সবুজ জলবায়ু তহবিল হয়েছে, তার কার্যকারিতা দেখতে আগ্রহী প্যাসিফিক এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের পরিচালক নেতাতুয়া পেলেসিকোতি। তিনি বলেন, ‘সবুজ ফান্ডের বাস্তবায়ন দেখার অপেক্ষায় আছি আমরা।’ পরিবেশ ও বন্য প্রাণী রক্ষার সংগঠন ওয়ার্ল্ডওয়াইড ফান্ড ফর নেচারের (ডব্লিইডব্লিউএফ) বৈশ্বিক অভিযোজনবিষয়ক পরামর্শক সন্দ্বীপ শামলিং রাই বলেন, ইউনেপের চমকপ্রদ প্রতিবেদনটি দুঃস্বপ্নময় এক ভবিষ্যতের উন্মোচন করেছে। বৈশ্বিক অর্থনীতি এখন ভঙ্গুর। আবার জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সম্ভাব্য ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোর অবস্থা এখন আরও নাজুক হয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফামের উপদেষ্টা জাঁ কোয়ালজিগ বলেন, লিমার সম্মেলনে হওয়া চুক্তিতে সবচেয়ে প্রাধান্য পাওয়া উচিত অভিযোজন। এই প্রতিবেদন সেই বাস্তবতাকেই তুলে ধরেছে।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Sunday, December 7, 2014
তিন গুণ বেশি অর্থ দরকার:প্রথম অালো
লিমায় চলা জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের সময় এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো। ইউনেপ বলছে, কার্বন নিঃসরণের মাত্রা জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক ফ্রেমওয়ার্কের (ইউএনএফসিসিসি) নির্ধারিত সহনীয় মাত্রার মধ্যে থাকলেও আগামী দশকগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও এর ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি থেকে যাবে। ইউনেপের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ধনী দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুত অর্থ না দিলে অভিযোজন খাতে ২০২০ সালের পর বড় ধরনের ঘাটতি দেখা দেবে। কার্বনের মতো গ্রিনহাউস গ্যাসের মাত্রাতিরিক্ত নিঃসরণের প্রতিক্রিয়ায় বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বাড়ছে। এ কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির মতো নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাড়ছে বন্যা, খরাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ধনী দেশগুলো জাতিসংঘের তৈরি করা সবুজ জলবায়ু তহবিলে ৯৭০ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই অর্থ প্রায় সিন্ধুতে বিন্দুর মতো। কেননা জাতিসংঘের লক্ষ্যমাত্রা ২০২০ সাল নাগাদ প্রতিবছর ১০ হাজার কোটি তোলা। ইউনেপের নির্বাহী পরিচালক আখিম স্টাইনার বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কাটাতে ত্বরিৎ ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য চরম মূল্য দিতে হবে। এই প্রতিবেদনটি এরই এক সতর্কবার্তা। জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই সৎ হতে হবে।’ প্রতিবেদনে বলা হয়, কার্বন নিঃসরণের ক্ষেত্রে নতুন করে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে অভিযোজন ব্যয় প্রচুর বেড়ে যাবে। চরমভাবাপন্ন জলবায়ু থেকে মানুষকে রক্ষা করতে হলে ব্যয় আরও বেড়ে যাবে। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অভিযোজন খাতে ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালে প্রতিবছর প্রয়োজন হবে ১৫ হাজার কোটি ডলার। এর পরিমাণ ২০৫০ সালে গিয়ে ঠেকবে ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার কোটি ডলারে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলেও এই অর্থের প্রয়োজন হবে। এখন যে মাত্রায় কার্বন নিঃসরণ ঘটছে, সেটি যদি কমানো না যায় তবে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। পেরুতে চলমান জলবায়ু সম্মেলনে ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোর জোট বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব তারা ইতিমধ্যে টের পাচ্ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার জন্য এসব দেশের অস্তিত্বই ঝুঁকির মুখে। এখন পর্যন্ত যে সবুজ জলবায়ু তহবিল হয়েছে, তার কার্যকারিতা দেখতে আগ্রহী প্যাসিফিক এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের পরিচালক নেতাতুয়া পেলেসিকোতি। তিনি বলেন, ‘সবুজ ফান্ডের বাস্তবায়ন দেখার অপেক্ষায় আছি আমরা।’ পরিবেশ ও বন্য প্রাণী রক্ষার সংগঠন ওয়ার্ল্ডওয়াইড ফান্ড ফর নেচারের (ডব্লিইডব্লিউএফ) বৈশ্বিক অভিযোজনবিষয়ক পরামর্শক সন্দ্বীপ শামলিং রাই বলেন, ইউনেপের চমকপ্রদ প্রতিবেদনটি দুঃস্বপ্নময় এক ভবিষ্যতের উন্মোচন করেছে। বৈশ্বিক অর্থনীতি এখন ভঙ্গুর। আবার জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সম্ভাব্য ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোর অবস্থা এখন আরও নাজুক হয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফামের উপদেষ্টা জাঁ কোয়ালজিগ বলেন, লিমার সম্মেলনে হওয়া চুক্তিতে সবচেয়ে প্রাধান্য পাওয়া উচিত অভিযোজন। এই প্রতিবেদন সেই বাস্তবতাকেই তুলে ধরেছে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment