নিউইয়র্কের স্ট্যাটেন আইল্যান্ডে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে নিহত নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ এরিক গার্নারের মেয়ে এরিকা বলেছেন, তিনি তাঁর বাবার হত্যাকারীর শাস্তি চান। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যে-ই জড়িত থাকুক, তাকে কারাগারে দেখতে চান তিনি। খবর সিএনএন ও রয়টার্সের। এদিকে কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি পুলিশের নৃশংসতার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রে গত শুক্রবার টানা তৃতীয় রাত ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। নিউইয়র্ক ছাড়াও বোস্টন, শিকাগো, নিউ অরলিন
্সসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করেন হাজারো মানুষ। মিজৌরির ফার্গুসনের পর নিউইয়র্কে পুলিশের হাতে নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ নিহত হওয়া এবং অভিযোগ থেকে গ্র্যান্ড জুরির ওই পুলিশকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনায় এই বিক্ষোভ শুরু হয়। এমনই উত্তেজনাকর প্রেক্ষাপটে আবার শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্স শহরে। সর্বশেষ আরেক ঘটনায় গত নভেম্বরে পুলিশের গুলিতে আরেক কৃষ্ণাঙ্গ নিহত হওয়ার ঘটনা বিবেচনায় গ্র্যান্ড জুরি গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এরিক গার্নারের মেয়ে এরিকা সিএনএনকে বলেন, ‘আমি ন্যায়বিচার চাই। ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে (ড্যানিয়েল প্যান্টেলিও) শুধু চাকরি থেকে বাদ দিলেই হবে না, আমি চাই তিনি কারাগারে যান।’ এরিকা বলেন, তাঁর বাবাকে হত্যার জন্য যেই-ই দায়ী হোক না কেন—তাকে কারাগারে পাঠানো উচিত। শুক্রবার রাতেও যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় শহরগুলোর রাজপথে বিক্ষোভকারীদের ঢল নামে। এতে কোনো কোনো শহরে যান চলাচল ব্যাহত হয়। কৃষ্ণাঙ্গরা ছাড়াও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এই বিক্ষোভে যোগ দেন। তাঁরা ন্যায়বিচারের দাবিতে নানা স্লোগান দেন। বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগান লেখা ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন বহন করেন। নিউইয়র্কের বিক্ষোভকারীরা গণমাধ্যমের কাছে তাঁদের দাবির একটি তালিকা তুলে ধরেছেন। দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: গুলি করার সঙ্গে সম্পৃক্ত সব পুলিশ কর্মকর্তাকে তদন্তের আওতায় আনতে বিশেষ কৌঁসুলি নিয়োগ দিতে হবে। এমন একটি আইন করতে হবে যে বড় ধরনের অপরাধীর ক্ষেত্রেই শুধু ‘চোকহোল্ড’ পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারবেন পুলিশ কর্মকর্তারা। আরেক ঘটনায় গ্র্যান্ড জুরি: নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে গত ২০ নভেম্বর আকাই গার্লি (২৮) নামের একজন কৃষ্ণাঙ্গকে গুলি করে হত্যা করেন সদ্য পুলিশে যোগ দেওয়া একজন। ওই ঘটনার দিনই নিউইয়র্কের পুলিশ কমিশনার উইলিয়াম ব্রাটন নিহত গার্লিকে ‘সম্পূর্ণ নির্দোষ’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। ব্রুকলিনের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি কেন টম্পসন গত শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গার্লি নিহত হওয়ার ঘটনায় গ্র্যান্ড জুরি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টম্পসন বলেন, এ ঘটনাটি পুরোপুরি খতিয়ে দেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
No comments:
Post a Comment