৫ জানুয়ারির নির্বাচন ও পদ্মা সেতুর অর্থায়নে যুক্তরাষ্ট্রের নেতিবাচক ভূমিকা ছিল বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে অভিযোগ করেছেন, সে সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। তবে দুই দেশের সম্পর্ক অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে সুদৃঢ় হয়েছে বলে তারা দাবি করেছে। গত শুক্রবার গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সব ধরন
ের চেষ্টা চালিয়েছিল। আর দেশটির তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করেছিল। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র মনিকা সাই গতকাল শনিবার ই-মেইলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুই দেশের জনগণের স্বার্থে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অংশীদারত্ব অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন আরও সম্প্রসারিত, নিবিড় ও শক্তিশালী।’ ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ব্যাখ্যা করে মার্কিন দূতাবাসের এই মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সবার জানা। নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট সিনেটের শুনানিতে দেওয়া বক্তৃতায় একই কথা বলেছেন। সম্প্রতি ঢাকা সফরে সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়ালও বলেছেন, বাংলাদেশে পরবর্তী নির্বাচন কবে হবে সেটা বাংলাদেশের জনগণই ঠিক করবে। তবে প্রধানমন্ত্রীর করা অভিযোগের বিষয়ে মার্কিন মুখপাত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গেই যোগাযোগের পরামর্শ দেন। জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক ইমতিয়াজ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে কূটনীতিক ভাষা অনুযায়ী এটাই স্বাভাবিক। জনগণের কল্যাণের প্রসঙ্গটি টেনে দুই দেশের সম্পর্কের গুরুত্বের বিষয়টিও তারা উল্লেখ করেছে। মনে রাখা উচিত, নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও একই ছিল। অর্থাৎ তখনো যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের সময়সূচি ও সব দলকে নিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছে। সবগুলো বড় দল অংশ না নেওয়ায় ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশ্ন রয়েছে। গত এক বছরে এ অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
No comments:
Post a Comment