এবং গাজা শাসনকারী ইসলামপন্থী সংগঠন হামাসের মধ্যে সাত বছরের দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে ওই সমঝোতা হয়। ফিলিস্তিনি সরকার পদত্যাগ করলে, তা হবে ঐক্যের প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে বিরাট এক ধাক্কা। পশ্চিম তীরের রামাল্লায় মঙ্গলবার ফাতাহ রেভ্যুলেশনারি কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রেসিডেন্ট আব্বাস কী বলেছেন, তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। তবে বৈঠকে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, আব্বাস বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফিলিস্তিনি সরকার পদত্যাগ করবে।’ প্রেসিডেন্ট দপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, আব্বাস বুধবার স্থানীয় সময় দুপুরে প্রধানমন্ত্রী রামি হামদাল্লাহর সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন। ফিলিস্তিনের ২০০৬ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে হামাসের হাতে ক্ষমতাসীন ফাত্তাহর পরাজয়ের মধ্য দিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। একপর্যায়ে ২০০৭ সালের মার্চে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যের সরকার হলেও তা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। তিন মাসের মধ্যেই এই দ্বন্দ্ব রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। জুন মাসে গাজা থেকে ফাতাহ মুভমেন্টকে হটিয়ে দিয়ে একচ্ছত্র কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে হামাস। সেই সঙ্গে পশ্চিম তীর থেকে হামাসের কর্মকর্তাদের বিতাড়ন করা হয়। এরপর সাত বছর গাজা শাসন করে হামাস। তবে গত বছরের জুন মাসে হামাস প্রশাসন পদত্যাগ করে এবং রামাল্লাহভিত্তিক ঐক্যের সরকার শপথ নেয়। স্বতন্ত্র আমলাদের নিয়ে গঠিত ঐক্যের সরকারকে সমর্থন দিয়েছিল ফাতাহ-হামাস উভয়ই। তবে বাস্তবে তারা গাজায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। কারণ, আদতে হামাসই এখনো গাজার ক্ষমতায় রয়েছে। ঐক্যের সরকারের পদত্যাগের সিদ্ধান্তের খবরে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হামাস। তাদের মুখপাত্র সামি আবু জুহরি গতকাল বলেন, ঐক্যের সরকারে পরিবর্তনের ব্যাপারে কেউই তাঁদের সঙ্গে পরামর্শ করেনি। ফাতাহ একতরফাভাবে এ পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘সব পক্ষের মধ্যে সমঝোতা ছাড়াই সরকারে একতরফা যেকোনো পরিবর্তন প্রত্যাখ্যান করে হামাস।’
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Thursday, June 18, 2015
ফাতাহ-হামাস বিরোধ আবার প্রকাশ্য:প্রথম অালো
এবং গাজা শাসনকারী ইসলামপন্থী সংগঠন হামাসের মধ্যে সাত বছরের দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে ওই সমঝোতা হয়। ফিলিস্তিনি সরকার পদত্যাগ করলে, তা হবে ঐক্যের প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে বিরাট এক ধাক্কা। পশ্চিম তীরের রামাল্লায় মঙ্গলবার ফাতাহ রেভ্যুলেশনারি কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রেসিডেন্ট আব্বাস কী বলেছেন, তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। তবে বৈঠকে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, আব্বাস বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফিলিস্তিনি সরকার পদত্যাগ করবে।’ প্রেসিডেন্ট দপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, আব্বাস বুধবার স্থানীয় সময় দুপুরে প্রধানমন্ত্রী রামি হামদাল্লাহর সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন। ফিলিস্তিনের ২০০৬ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে হামাসের হাতে ক্ষমতাসীন ফাত্তাহর পরাজয়ের মধ্য দিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। একপর্যায়ে ২০০৭ সালের মার্চে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যের সরকার হলেও তা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। তিন মাসের মধ্যেই এই দ্বন্দ্ব রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। জুন মাসে গাজা থেকে ফাতাহ মুভমেন্টকে হটিয়ে দিয়ে একচ্ছত্র কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে হামাস। সেই সঙ্গে পশ্চিম তীর থেকে হামাসের কর্মকর্তাদের বিতাড়ন করা হয়। এরপর সাত বছর গাজা শাসন করে হামাস। তবে গত বছরের জুন মাসে হামাস প্রশাসন পদত্যাগ করে এবং রামাল্লাহভিত্তিক ঐক্যের সরকার শপথ নেয়। স্বতন্ত্র আমলাদের নিয়ে গঠিত ঐক্যের সরকারকে সমর্থন দিয়েছিল ফাতাহ-হামাস উভয়ই। তবে বাস্তবে তারা গাজায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। কারণ, আদতে হামাসই এখনো গাজার ক্ষমতায় রয়েছে। ঐক্যের সরকারের পদত্যাগের সিদ্ধান্তের খবরে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হামাস। তাদের মুখপাত্র সামি আবু জুহরি গতকাল বলেন, ঐক্যের সরকারে পরিবর্তনের ব্যাপারে কেউই তাঁদের সঙ্গে পরামর্শ করেনি। ফাতাহ একতরফাভাবে এ পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘সব পক্ষের মধ্যে সমঝোতা ছাড়াই সরকারে একতরফা যেকোনো পরিবর্তন প্রত্যাখ্যান করে হামাস।’
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment