ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলায় ১০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ও ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকার গালিব আশরাফ। গালিবের এক হাত ভেঙে গেছে এবং একটি দাঁত পড়ে গেছে। এ ছাড়া ছাত্রলীগের হামলায় যমুনা নিউজের মনিরুল ইসলাম ও বৈশাখী টেলিভিশনের মাসুদ খানসহ সাত সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছে। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়ি
ত অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা শরীফসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। আটক অপর দুইজন হচ্চেন মিজান ও বিদ্যুত। প্রত্যদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের সাথে সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের মোবারক গ্রুপের নেতাকর্মীদের কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা রামদা, চাপাতি ও লাঠিসোটাসহ সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। এতে প্রায় ১০ সাংবাদিক আহত হন। গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। আহত অন্য সাংবাদিকেরা হলেনÑ কালের কণ্ঠের রফিক, বাংলাদেশ প্রতিদিনের ফরহাদ, দি রিপোর্টের জাহিদ, মানবকণ্ঠের রেজা ও এশিয়ান টেলিভিশনের সেতু। জানা যায়, গতকাল বিকেলে মল চত্বরে ফুটবল খেলছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কয়েকটি মিডিয়ার সাংবাদিক। এ সময় সেখানে সূর্যসেন হলের কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী খেলতে এলে তাদের একপাশে খেলতে বলা হয়। এ সময় তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরে তারা হলে ফোন দিয়ে আরো কর্মী ডেকে নিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে। চাপাতি ও লাঠিসোটা নিয়ে ছাত্রলীগের সূর্যসেন হল শাখার সহসভাপতি শরীফের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ক্যাডার মিজান, মেহেদী, সোহাগ, মোখলেস, বিদ্যুৎ পারভেজ, খোকন, রাহাদ ও শাকিল সাংবাদিকের ওপর হামলায় অংশ নেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সাংবাদিকেরা জানিয়েছেন। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এ এম আমজাদকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ঘটনাস্থলে আসেননি। এ দিকে এ ঘটনার পর সূর্যসেন হলের ছাত্রলীগ কমিটি স্থগিত এবং ছাত্রলীগের ১২ কর্মীকে জড়িত থাকার অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment