ইসরায়েলের রিজার্ভ বাহিনীতে দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ৫০ জনের বেশি সাবেক সেনাসদস্য। কারণ হিসেবে তাঁরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সেনাবাহিনীর নিপীড়নমূলক আচরণের কথা উল্লেখ করেছেন। সেনাবাহিনীতে কাজ করার জন্য তাঁরা অনুতপ্ত বলেও জানিয়েছেন। এ নিয়ে গত বুধবার ওয়াশিংটন পোস্ট একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। খবর রয়টার্সের। ওই সেনাসদস্যরা অনলাইনে দেওয়া একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, অধিকৃত ভূখণ্ডে দায়ি
ত্ব পালনকারী সেনাসদস্যরাই যে কেবল ফিলিস্তিনি মানুষের জীবনধারার ওপর নিয়ন্ত্রণের খড়্গ চালান, বিষয়টি এমন নয়। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, পুরো সেনাবাহিনীই এতে সম্পৃক্ত। এ কারণে, আমরা এখন থেকে রিজার্ভ বাহিনীতে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছি। পাশাপাশি যাঁরা দায়িত্ব পালনের ডাক পাওয়ার পর তা প্রত্যাখ্যান করবেন, তাঁদেরও আমরা সমর্থন করব।’ বিবৃতি দেওয়া সেনাদের বেশির ভাগই নারী। তাঁরা যুদ্ধক্ষেত্রে সশরীরে অংশ নেন না। তাঁরা জানান, ইসরায়েলি সেনাদের কেউ কেউ ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তবে সামরিক বাহিনীর কাঠামো এমন, যে জায়গায় দায়িত্ব পালন করা হোক না কেন, যুদ্ধ-সংঘাতে তার একটা ভূমিকা থাকেই। বিবৃতিতে রিজার্ভ সেনারা বলেন, ‘আমাদের অনেকেই ব্যবস্থাপনা-সংশ্লিষ্ট কাজের সঙ্গে যুক্ত। তবে আমরা দেখছি, পুরো সামরিক বাহিনীই ফিলিস্তিনিদের নিপীড়নের কাজ বাস্তবায়নে সহায়তা করছে।’ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা দিন দিন সম্প্রসারিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে ওই সেনাসদস্যদের বিবৃতি এল। এ অভিযানে এরই মধ্যে প্রায় ৭০০ ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে। বাড়িছাড়া হয়েছে হাজার হাজার লোক। জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উভয় পক্ষকে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানালেও কোনো কাজ হচ্ছে না। চলমান গাজা অভিযানকে আরও সম্প্রসারিত করার বিষয়টি সামনে রেখে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি আরও রিজার্ভ সেনা জড়ো করার ঘোষণা দিয়েছে। ইসরায়েলের আইন অনুযায়ী, ১৮ বছর বয়সী প্রায় প্রতিটি নাগরিককেই দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীতে (আইডিএফ) তিন বছর দায়িত্ব পালন করতে হয়। ইসরায়েলকে যেভাবে সামরিকীকরণ করা হচ্ছে, তাতে ইসরায়েলি সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন ওই সেনারা।
No comments:
Post a Comment