যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসবাদ দমন কার্যক্রমের নামে গোয়েন্দা বিভাগ মুসলিমদের জঙ্গি কার্যক্রমে উৎসাহ দিয়ে থাকে। ক্ষেত্রবিশেষে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের জন্য অর্থেরও জোগান দেওয়া হয়। এভাবে নিরপরাধ মুসলিম ব্যক্তিকে অপরাধে জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর সন্ত্রাসবাদ দমনের নামে মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) এমন কাজ করছে। গত সোমবার আন্তর্জাতিক মানব
াধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় এই প্রতিবেদন করে এইচআরডব্লিউ। প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের মধ্যে জঙ্গি তৎপরতার ২৭টি ঘটনার পর্যালোচনা করা হয়। ঘটনাগুলোর তদন্ত থেকে বিচার পর্যন্ত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনের জন্য ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২১৫ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গোয়েন্দাকর্মী, তদন্তকর্মী, বিচারকসহ সন্ত্রাসবাদে জড়িত বলে অভিযুক্তদের আত্মীয়স্বজন রয়েছেন। তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা হয়, আইন মেনে চলেন, এমন লোকজনকেও জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ার উৎসাহ দিয়েছে এফবিআই। সংস্থাটির উপপরিচালক এনড্রিয়া প্রেসো বলেন, মার্কিন জনগণকে বলা হয়, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তব অবস্থা ভিন্ন। যে ব্যক্তি জীবনে অপরাধ করেননি, তাঁকে অপরাধে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জঙ্গি কার্যক্রমে গোয়েন্দারা অর্থেরও জোগান দেয়। প্রতিবেদনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রেজওয়ান ফেরদৌসের উদাহরণ টানা হয়। বোমা মেরে পেন্টাগন ও ক্যাপিটল হিল উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার দায়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১৭ বছরের কারাভোগ করছেন রেজওয়ান।
No comments:
Post a Comment