Wednesday, July 16, 2014

মামলা সক্রিয় করার নির্দেশ:কালের কন্ঠ

গত দুই বছরে ঢাকাসহ সারা দেশে বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতাসহ ১৮ দলীয় জোটের (এখন ২০ দলীয়) স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয় ৯ হাজারের মতো। রাজনৈতিক সহিংসতার এসব মামলার বেশির ভাগই হয়েছে দ্রুত বিচার আইনে। ইতিমধ্যে প্রায় চার হাজার মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। বাকি প্রায় পাঁচ হাজার মামলা তদন্ত না হওয়ায় নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়
েছে ওই নিষ্ক্রিয় মামলাগুলো সক্রিয় করার জন্য। আর এর কারণ হলো, সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ঈদের পর থেকে সরকার পতনের আন্দোলনের ঘোষণা। জানা গেছে, সরকারবিরোধী আন্দোলনের এই ঘোষণা আসার পরপরই সরকারের নীতিনির্ধারক মহল নড়েচড়ে বসে। ইতিমধ্যে তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে কয়েক দফা বিশেষ বৈঠক করেন। নিষ্ক্রিয় থাকা সহিংসতার মামলাগুলোর তদন্ত জোরেশোরে শুরু করতে সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তর থেকে দেশের সবকটি রেঞ্জের ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, সারা দেশে ওই সময়ের মধ্যে সংঘটিত রাজনৈতিক সহিংসতার প্রায় ৭০০ মামলা আছে, যেগুলোতে রাখা হয়নি কোনো আসামির নাম। সহিংসতা মামলার পাশাপাশি হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা তাণ্ডবের মামলাগুলোর ব্যাপারেও দিকনির্দেশনা দেওয়া হয় পুলিশকে। হেফাজতের বিরুদ্ধে ৮২টি মামলার তদন্তও থেমে আছে বলে জানা গেছে। এদিকে আন্দোলনের নামে দেশে যেকোনো ধরনের নাশকতা রোধ করতে পুলিশ, র‌্যাব এবং সবকটি গোয়েন্দা সংস্থা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। পাশাপাশি তারা আগ্নেয়াস্ত্র ও অন্য সরঞ্জাম মজুদ করছে। ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তা কয়েক ধাপ জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে তথ্য এসেছে, ওই সময় হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডব ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সংঘর্ষে ১৮ দলের শীর্ষ নেতারা ইন্ধন দিয়েছেন। এমনকি তাঁরা অর্থেরও জোগান দিয়েছেন। ওইসব মামলায় জোট নেতাদের সম্পৃক্ত করার ইঙ্গিত দিয়েছে পুলিশ। একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যেসব মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি রয়েছে, সেইসব মামলার তদন্তে বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতা, জেলা-উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের নাম এলে এজাহারে তা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কালের কণ্ঠকে বলেছিলেন, গণতান্ত্রিক উপায়ে রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন করলে সহযোগিতা করবে সরকার। কিন্তু আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও বা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালানোর চেষ্টা করলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। গত দুই বছরে বিএনপি-জামায়াত জোট আন্দোলনের নামে দেশ ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণ পাঁচ বছরের জন্য ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে আওয়ামী লীগকে। আর এই সময়ের আগে নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই। এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা ও হেফাজতের তাণ্ডবের যেসব মামলা নিষ্ক্রিয় আছে, সেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত করতে পুলিশকে বলা হয়েছে। পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে। দেশের সম্পদ বিনষ্ট বা নাশকতা চালিয়ে পরিবেশ নষ্ট করলে কারো ক্ষমা নেই। রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন করে কি করে না, সেটা দেখার বিষয় নয়। আমাদের কাজ হলো দেশের মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া। তবে ঈদের পর আন্দোলনের নামে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে ফৌজদারি আইনে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, সহিংসতার ঘটনায় অনেক মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। যেগুলো এখনো সম্পন্ন হয়নি, সেগুলো দ্রুত তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা ওই সব মামলায় জড়িত থাকার প্রমাণাদি মিললে পুলিশের কিছুই করার নেই। তবে অহেতুক কাউকে হয়রানি করে মামলায় জড়ানো হচ্ছে না বা হবেও না। তা ছাড়া দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সর্বোচ্চ সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াত নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিএনপি ও জামায়াত জোট দীর্ঘ দুই বছর আন্দোলন চালিয়ে আসছিল। এ সময় ঢাকাসহ সারা দেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সংঘর্ষ এবং বিভিন্ন যানবাহন ও ট্রেনে আগুন, রেললাইন উৎপাটনসহ নানা রকমের নাশকতা চালানো হয়। এমনকি থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে পুলিশ সদস্যদের হত্যা ও আগ্নেয়াস্ত্র লুট করা হয়। এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে মামলা হয়েছে। বেশির ভাগ মামলার বাদী পুলিশ নিজেই। অনেক মামলায় বিএনপি ও জামায়াতসহ ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়। আবার অনেক মামলা আছে যেগুলোতে কাউকে আসামি করা হয়নি। হেফাজতের বিরুদ্ধে সারা দেশে যে ৮৩টি মামলা হয়েছে, তার মধ্যে একটি মাত্র মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। মাসের পর মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও অন্য মামলাগুলোর তদন্ত হচ্ছে না।  সূত্র জানায়, সহিংসতার মামলার মধ্যে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, কক্সবাজার বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট, কুমিল্লা, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, সাতক্ষীরায় মামলার সংখ্যা বেশি। ওই সব মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, এম কে আনোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল্লাহ আল নোমান, সাদেক হোসেন খোকা, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ, নাদিম মোস্তফা, জয়নুল আবদন ফারুক, আবদুল আউয়াল মিন্টু, মীর নাছির উদ্দিন, বরকতউল্লা বুলু, রুহুল কবীর রিজভী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আমানউল্লাহ আমান, ফজলুল হক মিলন, মজিবর রহমান সরোয়ার, তরিকুল ইসলাম, জামায়াত নেতা মকবুল আহমাদ, রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদসহ অনেককে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ দীর্ঘদিন কারাভোগ করেন। সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঘোষণা দিয়েছেন, ঈদের পরপরই সরকার উৎখাতের আন্দোলন শুরু হবে। খালেদা জিয়ার ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ নেতারাও বলেছেন, আন্দোলন করে দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। আন্দোলনের ঘোষণার পর সম্প্রতি সরকারের নীতিনির্ধারকরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। আন্দোলন মোকাবিলা করতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়। গেল সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পুলিশ সদর দপ্তর সব রেঞ্জের ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার ও ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারদের কাছে যে নির্দেশনা পাঠিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা ও হেফাজতের তাণ্ডবসংক্রান্ত যেসব মামলা রয়েছে সেগুলো সচল করে দ্রুত তদন্তের ব্যবস্থা করতে হবে। আর যেসব মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি রয়েছে ওই সব মামলা অধিকতর তদন্ত করতে হবে। তদন্তে যারই নাম আসবে, তাকেই এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের ২১ এপ্রিল ঢাকায় খিলগাঁও ফ্লাইওভারের পশ্চিম পাশে বিএনপি-জামায়াত জোটের হরতালের সময় ঈগল পরিবহনের একটি বাসে প্রকাশ্যে আগুন দিয়ে চালক বদর আলী বেগকে হত্যার ঘটনায় খিলগাঁও থানায় যে হত্যা মামলা হয়, তাতে স্থানীয় জামায়াত ও বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মীসহ অজ্ঞাতপরিচয় প্রায় ৫০০ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। এখনো মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। ওই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি উত্তরার আজমপুর এলাকায় চলন্ত বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় নিহত হন এবি ব্যাংকের কর্মকর্তা রাসেল মাহমুদ। এ ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানায় এসআই জাকির হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি করা হয় সাবেক ছাত্রদল নেতা ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুল বারি হেলালকে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয় ২০০ জনকে। মামলার তদন্ত নেই বললেই চলে। এ ছাড়া মতিঝিলের দিলকুশায় আগ্রণী ব্যাংকের লিফটম্যান জাফর মুন্সিকে পিটিয়ে হত্যা করে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। এ ঘটনায় অগ্রণী ব্যাংক প্রধান শাখার নিরাপত্তা তত্ত্বাবধায়ক আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় জামায়াত-শিবিরের ১৪৫ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘মামলাগুলো কিভাবে সচল করতে হবে সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে তথ্য এসেছে, ঈদের পর বিএনপি-জামায়াত মরণকামড় দেবে। তারা আন্দোলনের নামে অরাজকতা চালাবে। সেই কারণে পুলিশ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। আগ্নেয়াস্ত্র, টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেডসহ অন্য সরঞ্জাম মজুদ করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে কয়েক ধাপ নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, সহিংসতা হলেই নিষ্ক্রিয় থাকা মামলাগুলোতে বিএনপিসহ জোটের শীর্ষস্থানীয় নেতা থেকে শুরু করে জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে বিএনপির জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে। রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মীর শহীদুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিগত সহিংসতা মামলায় যেসব আসামি জামিনে কারাগার থেকে বের হয়ে এসেছেন তাঁদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। রাজশাহী বিভাগে যেসব সহিংসতার মামলা হয়েছে এর মধ্যে অনেকগুলোর চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। বাকি মামলাগুলোর দ্রুত তদন্ত করে চার্জশিট দিতে বলা হয়েছে। আশা করি কয়েক মাসের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে। ইতিমধ্যে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে আমরা কিছু দিকনির্দেশনা পেয়েছি। তবে নিরপরাধ কাউকেই হয়রানি করা হবে না, তা স্পষ্ট ভাষায় বলতে পারি।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক নেতারা আন্দোলনের নামে দেশে কোনো ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালালে তাঁদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। নোয়াখালীর পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সহিংসতার মামলাগুলোর মধ্যে বেশির ভাগের তদন্ত শেষ করে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। বাকি মামলার তদন্ত চলছে। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। ঈদের পর রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। দেশের শান্তিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে পুলিশের ব্যাপক প্রস্তুতি আছে।’ গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মোফাজ্জেল হোসেন জানান, আন্দোলনের নামে কোনো গোষ্ঠী বা মহল দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করলে তাদের রেহাই নেই। ঈদের পর যেকোনো ধরনের কর্মসূূচি দেওয়া হোক না কেন, সে জন্য পুলিশের প্রস্তুতি রয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী সহিংসতার মামলাগুলো দ্রুত তদন্ত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কিছু মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।

No comments:

Post a Comment