Tuesday, July 22, 2014

সেনা আটক নিয়ে হামাস ও ইসরায়েলের দুই দাবি:প্রথম অালো

ইসরায়েলি এক সেনাকে আটক করার দাবি করেছে ফিলিস্তিনের গাজাভিত্তিক ইসলামপন্থী সংগঠন হামাস। তবে ইসরায়েল হামাসের এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে। খবর আল-জাজিরার। হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড বলেছে, তারা শাউল অ্যারোন নামের এক ইসরায়েলি সেনাকে গত রোববার রাতে আটক করেছে। সংগঠনটির মুখপাত্র ওসামা হামদান বলেন, ‘আল-কাসাম এই সামরিক অভিযানের সব তথ্য প্রকাশ করছে। আমরা যখন বলেছি, আমরা ওই সেনাসদস্যকে আটক করেছি, সে
টা সত্য এবং সবাইকে এটাকে সত্য বলে মানতে হবে।’ অবশ্য, ওই সেনাসদস্য জীবিত আছেন না মৃত, তা জানায়নি আল-কাসাম ব্রিগেড। এদিকে আল-কাসাম ব্রিগেডের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন জাতিসংঘে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত রন প্রোসর। তিনি বলেন, ‘ওই গুজবগুলো অসত্য।’ ইসরায়েলি সেনাসদস্য অ্যারোন গাজা উপত্যাকার পূর্বাঞ্চলীয় শাজাইয়া এলাকায় সংঘর্ষের সময় আটক হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। রোববার রাতে ওই এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাসের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াইয়ে ৬০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক এবং ১৩ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, এর মধ্যে দুজন ইসরায়েলি সেনা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তবে ওই দুজন ইসরায়েলি নাগরিকও কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি। অ্যারনকে আটকের খবর সত্য হলে তিনি হবেন ২০১১ সালের পর গাজায় আটক প্রথম ইসরায়েলি সেনা। ওই সময়ে ইসরায়েলি সেনা গিলাদ শালিতের বিনিময়ে দেশটি এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেয়। ২০০৬ সালে অপহরণের শিকার হন গিলাদ শালিত। এক বন্দীবিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ২০১১ সালে পাঁচ বছরের বন্দীদশার অবসান ঘটে।

No comments:

Post a Comment