Sunday, August 10, 2014

'সৎ মাহাবুব' আজ টাকার কুমির, এলাকার বিভীষিকা:কালের কন্ঠ

তিনি ছিলেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার একটি বাস কাউন্টারের ইনচার্জ। বসবাস করতেন কলাপাড়ার কুমারপট্টির একটি টিনশেড বাড়িতে। ওই ভিটেবাড়ি আর কিছু জমিজমাই ছিল সম্বল। সংসারের ঘানি টানতে তাঁর স্ত্রীও চাকরি করতেন বেসরকারি একটি সংস্থায়। সেই ব্যক্তি আজ শত কোটি টাকা আর অঢেল সম্পদের মালিক। ঢাকা ও পটুয়াখালীর কয়েকটি উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে তাঁর প্রায় তিন হাজার একর জমি। রয়েছে একাধিক দামি গাড়ি, বাড়ি, ফ্ল্যাটস
হ কয়েকটি শিল্প-কারখানা। অল্প সময়ের মধ্যে এত অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন যিনি, তিনি হলেন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মহাজোট সরকারের পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহাবুবুর রহমান তালুকদার এমপি। বর্তমান জাতীয় সংসদেও তিনি একজন সদস্য। অনুসন্ধানে জানা গেছে, তাঁর এই 'আঙুল ফুলে কলাগাছ' হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে দুর্নীতি, ক্ষমতার দাপট, দখলবাজি আর জুলুম-নির্যাতন। এর পাশাপাশি নিজ দলীয় প্রতিপক্ষের ওপর দমন-পীড়নেও কম যান না তিনি। তাঁর এসব অপকর্ম এতটাই প্রকাশ্য যে দশম সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেও তিনি এবার ঠাঁই পাননি মন্ত্রিসভায়। উল্টো সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে সবুজ সংকেত পেয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে মাঠে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধান শেষে প্রতিবেদনও তৈরি করেছেন দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। প্রতিবেদনে এমপি মাহাবুবুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী প্রীতি হায়দারের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মামলার জন্য এখন কমিশনের অনুমোদনের অপেক্ষা চলছে। আর এই ভয়ে প্রীতি হায়দার ইতিমধ্যে দেশ ছেড়েছেন বলেও জানা গেছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মাহাবুবুর রহমান তালুকদার ছিলেন পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির কলাপাড়া বাস কাউন্টারের ইনচার্জ এবং কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তাঁর স্ত্রী প্রীতি হায়দার ছিলেন প্রশিকার স্থানীয় কর্মী। সে সময় একজন সৎ ও জনপ্রিয় রাজনীতিক হিসেবেই এলাকায় পরিচিত ছিলেন মাহাবুবুর রহমান। পটুয়াখালী জেলা মিনিবাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি মো. মিলন মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বাস কাউন্টারের ইনচার্জ থাকাকালে মাহাবুবের নিজের একটি এবং তাঁর বড় ভাই মাহফুজুর রহমানের একটি মিনিবাস ছিল। ২০০১ সালের নির্বাচনে কলাপাড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি আনোয়ারুল ইসলামকে বার্ধক্যের কারণে বাদ দিয়ে মাহাবুবুর রহমানকে মনোনয়ন দেওয়া হলে তিনি এমপি নির্বাচিত হন।' জানা যায়, তখনও তাঁর জনপ্রিয়তা আর সাদামাটা জীবনযাপন অব্যাহত ছিল। ২০০৮ সালে আবারও পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের এমপি নির্বাচিত হওয়ার পুরস্কার হিসেবে পান পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। আর ঠিক তখন থেকেই পাল্টে যেতে থাকে এই 'একদা সৎ' রাজনীতিকের মতিগতি। স্বজনদের দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে জড়িয়ে পড়েন দুর্নীতি-অপকর্মে। স্ত্রী প্রীতি হায়দারের মালিকানায় দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে মন্ত্রণালয়ের কোটি কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে এবং কমিশন হাতিয়ে তিনি এখন বিপুল অর্থবিত্তের মালিক। পাঁচ বছরের ব্যবধানে তাঁর জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৮৬৫ একর। ঢাকাসহ কয়েকটি জেলার বিভিন্ন স্থানে জমি, ফ্ল্যাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ নামে-বেনামে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামার সূত্র ধরে অনুসন্ধান করতে গিয়ে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী, তাঁর স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুদক। কলাপাড়ার বাসিন্দারা জানায়, স্বামীর ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ওই মন্ত্রণালয়ের ঠিকাদার হন প্রীতি হায়দার। তিনি প্রীতি রহমান নাম দিয়ে 'গঙ্গামতি এন্টারপ্রাইজ' এবং প্রীতি হায়দার নাম দিয়ে 'আন্ধারমানিক ট্রেডার্স' নামে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। প্রতিষ্ঠান দুটির মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি ও কলাপাড়া পৌরসভার কয়েক শ কোটি টাকার উন্নয়নকাজের টেন্ডার বাগিয়ে নেন প্রীতি হায়দার। এ ছাড়া প্রতিমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজন পটুয়াখালীর আজাদ মিয়া, বরগুনার পৌর মেয়র শাহদাৎ হোসেন ও এমবিবিএল নামের আরেকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও শত কোটি টাকার দরপত্র লুট করার অভিযোগ রয়েছে প্রীতি হায়দার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কলাপাড়ার বালিয়াতলী খেয়াঘাটের পশ্চিম পাশে মিঠাগঞ্জ মৌজায় ১৪ একর সাড়ে ৪৭ শতাংশ জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে প্রীতি হায়দারের মালিকানাধীন মেসার্স গঙ্গামতি এন্টারপ্রাইজ নামের ইটভাটা। ২০১০ সালের ২১ জানুয়ারি কলাপাড়া সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ওই জমি রেজিস্ট্রি হয়। ইটভাটার পাশে আরো প্রায় পাঁচ একর খাসজমি দখল করে রেখেছেন তিনি। সরকারি জমিসহ ইটভাটার বর্তমান মূল্য কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকা। এ ছাড়া আন্ধারমানিক ট্রেডার্সের নামে কলাপাড়া উপজেলার লক্ষ্মীবাজার-সংলগ্ন আরো দুটি ইটভাটা রয়েছে তাঁর। ওই দুটি ইটভাটায় পাউবোর কোটি টাকার জমি দখলে রাখার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া কলাপাড়া পৌর শহরের নতুন বাজার এলাকায় খেপুপাড়া মৌজায় কোটি টাকা মূল্যের জমি, ফেরিঘাট এলাকায় সমবায় ব্যাংকের জমিতে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ক্লিনিক, ভয়ভীতি দেখিয়ে নামমাত্র মূল্যে দলিল করে নেওয়া ফায়ার সার্ভিসের পাশে বড় জামে মসজিদের কয়েক কোটি টাকা মূল্যের জমি, ঢাকার উত্তরায় ১০ নম্বর সেক্টরের একটি বাড়িতে চারটি ফ্ল্যাটসহ ঢাকায় একাধিক বাড়ি ও ফ্ল্যাট, নরসিংদীতে একটি কম্পোজিট ফ্যাক্টরি, মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় প্রীতি হায়দারের নিজ নামে বাড়ি রয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানায়। আর এসব সম্পদ মাহাবুবুর রহমানের হলফনামায় গোপন করা হয়েছে বলেও দুদক সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়া প্রীতি হায়দারের ভাই ও বোনদের নামে কুয়াকাটায় বিভিন্ন ব্যক্তির অর্ধশত কোটি টাকার জমি জোর করে স্বল্পমূল্যে সাফ কবলা দলিল করে নেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে। কলাপাড়া উপজেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি এস এম এরশাদুল আহসান বলেন, 'মাহাবুব মিয়া ক্ষমতার দাপটে কলাপাড়া, কুয়াকাটা, রাঙ্গাবালীতে শত শত একর জমি নিজের এবং স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নামে কিনেছেন। বাড়ি করেছেন ঢাকা, মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায়। এ ছাড়া তাঁর নিজের ও স্ত্রীর নামে নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লায় শত শত একর জমি রয়েছে। এসব তথ্য হলফনামায় গোপন করা হয়েছে। এ কারণে দুদকের তদন্ত এড়াতে প্রীতি হায়দার গত ২৭ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ায় পালিয়ে গেছেন। এখন পর্যন্ত দেশে ফিরে আসেননি।' এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এমপির এপিএস আবুল কাশেম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তাঁদের ছোট মেয়ের লেখাপড়া-সংক্রান্ত প্রয়োজনে ম্যাডাম অস্ট্রেলিয়ায় গেছেন। এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁর চলে আসার কথা ছিল; কিন্তু কেন আসছেন না, সেটা ওনারাই ভালো বলতে পারবেন।' তবে এমপি পরিবারেরই ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, দুদকের মামলার ওপর নির্ভর করেই তিনি দেশে ফিরবেন কি ফিরবেন না, সেটা চিন্তা করছেন। সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী জানায়, এবারের হলফনামায় মাহাবুব নিজের পেশা মৎস্য উৎপাদনকারী ব্যবসায়ী দেখালেও তাঁর খামার কোথায়, কতটুকু জমির ওপর তা দেখানো হয়নি। তাঁর নির্বাচনী এলাকা কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলার কোথাও ওই মৎস্য খামারের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পাওয়া যায়, কলাপাড়ায় যে বাড়িতে তিনি বসবাস করেন এর পশ্চিম পাশের লাগোয়া খলিলুর রহমান চুন্নু ও মাহাবুবুর রহমান আজাদের ওয়ারিশদের বাড়ি জবরদখল করে নিজ নামে দলিল করে নিয়েছেন মাহাবুব। অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে এমপি মাহাবুব ও তাঁর লোকজনের দখলবাজিতে সর্বস্বান্ত হয়েছে বহু পরিবার। জমি হারিয়ে কেউ আদালতের আশ্রয় নিয়ে আইনি লড়াই করছে, কেউ বা নিরুপায় হয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। অভিযোগ আছে, কুয়াকাটার সমুদ্রসৈকত-সংলগ্ন লতাচাপলি ইউনিয়নের ফঞ্জুপাড়া গ্রামের খায়রুল ইসলামের পরিবারের ১১ একর জমি এমপি মাহাবুব ২০০৯ সালে দখল করে নেন। উপায় না পেয়ে পরিবারটি আদালতের আশ্রয় নিয়েছে। খায়রুল ইসলাম বলেন, 'এক অদ্ভুদ দখলদার এলাকায় জন্ম নিয়েছে। একজন জনপ্রতিনিধি কিভাবে সভ্যতাবিবর্জিত কাজ করতে পারেন, তা মাহাবুব এমপির দখলবাজি না দেখলে কেউ বুঝবে না। তাঁর হাতে জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে অনেকে।' কুয়াকাটা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পাঞ্জুপাড়া মহল্লার আশ্রাফ সিকদার পরিবারের ১৩ একর জমি এখন এমপি মাহাবুবের অবৈধ দখলে। আশ্রাফ সিকদার বলেন, 'সে (মাহাবুব এমপি) ক্ষমতা দেখিয়ে অবৈধভাবে আমার জমি দখল করে রেখেছে। আমি আইনের মাধ্যমে লড়াই করছি। কলাপাড়ার শত শত পরিবারকে ভিটামাটি ছাড়া করেছে সে।' শুধু তা-ই নয়, স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেকেও মাহাবুব বাহিনীর নির্যাতনে বাড়িঘরছাড়া। কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব তালুকদার বলেন, 'কলাপাড়ায় যারা জামায়াত, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি থেকে এসেছে তারা এখন দলের সব কিছু। ত্যাগী নেতা-কর্মীদের কোনো মূল্যায়ন নেই। অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় আমাকে ও আমার ভাই-ভাতিজাসহ পরিবারের ১৯ জনকে হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। আমার গলায় পেরেক পুঁতে দেওয়া হয়েছে, কিছু বলতে পারছি না।' উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে সমর্থন করায় অবরুদ্ধ জীবন কাটাচ্ছেন কলাপাড়া আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লা। তিনি বলেন, 'এমপির ব্যাপারে কথা বললে আমার জানটা চলে যাবে। জীবন চলে যাওয়ার হিসাব-নিকাশ নিয়েই চুপচাপ আছে কলাপাড়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।' কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহাবুব আলম বলেন, 'দখল, ঘুষ, টেন্ডারবাজি নিয়ে ব্যস্ত মাহাবুব মিয়া। দলের কাউকে এখন চেনেন না। উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে আমরা কাজ করেছি। তাঁর প্রার্থীর পক্ষে কাজ করিনি বলে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা আর মারধর চালাচ্ছে তাঁর ক্যাড্যার বাহিনী দিয়ে। নেত্রীর কাছে দাবি, এই জালিমের হাত থেকে তিনি যেন আমাদের বাঁচান।' উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি এমপি মাহাবুবের সহপাঠী ড. শহীদুল ইসলাম বিশ্বাস শিক্ষকতা করতেন স্থানীয় একটি কলেজে। এমপির রোষানলে পড়ে বাধ্য হয়ে এলাকার কলেজ ছেড়ে তিনি এখন ঢাকার আজিমপুর অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ পদে চাকরি করছেন। বরিশাল ছাত্রলীগ, কলাপাড়া ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পেছনে শ্রম, অর্থ, সময় সবই ব্যয় করেছেন উল্লেখ করে অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম বলেন, 'আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তিনি (মাহাবুব) যা করেন, তা এলাকার মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু যখন গণমাধ্যমে তাঁর নানা অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রচারিত হয় তখন ওই এলাকার সন্তান হিসেবে লজ্জা বোধ করি। তিনি যা করেন তা রাজনীতি না, ক্ষমতার অপব্যবহার। তাঁর কর্মে রাজনৈতিক সংজ্ঞা খুঁজে পাওয়া যায় না।' এমপি মাহাবুবুর রহমান বিদেশে থাকায় এসব অভিযোগের ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।      

No comments:

Post a Comment