Monday, August 18, 2014

তামিম মুশফিকদের ব্যাটে প্রত্যাশিত রান:নয়াদিগন্ত

নার্ভাস নাইন্টিতে যেয়ে আউট তামিম। অল্পে মিস তার সেঞ্চুরি। ৮৬ বলে ৯১ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলে সম্ভাবনায় নিয়ে গেলেন বাংলাদেশকেও। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে একমাত্র ওয়ানডে প্রস্তুতি ম্যাচে প্রথম ব্যাটিং করে বাংলাদেশ করে ৩২২ রান ৬ উইকেট হারিয়ে। এমন একটা ব্যাটিং আসলে দলের জন্য আশাব্যঞ্জক। নিজ দেশে একের পর এক ব্যর্থতায় যখন হাঁফিয়ে উঠছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটারেরা। তখন ওয়েস্টইন্ডিজ সফরে প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও ব্য
াটে রান আসাটা এবং তাও ক্যারিবিয়ান কন্ডিশনে, এটা সত্যিই পজেটিভ একটা দিক। তা ছাড়া তিন শ’ প্লাস রান সেটা যেকোনো সময় যেকোনো দলের বিরুদ্ধে হোক না কেন, দলের মানসিক উন্নতিরই প্রমাণ মেলে। গ্রানাডার বিপক্ষে এ ম্যাচে টসে জিতে প্রথম ব্যাটিং করতে নেমে সূচনায় নামেন তামিম ও বিজয়। ২৪ রান করে বিজয় আউট হলে ইমরুল কায়েস স্বল্প রানেই বিদায় নেন। এরপর শামসুর ও তামিম খেলেন চমৎকার এক পার্টনারশিপ। দলীয় ১৫৪ রানে গিয়ে তামিম আউট হন। ২৮.২ ওভারে থমাসের বলে বোল্ড হন দীর্ঘ দিন অফ ফর্মে থাকা তামিম। তামিমের ফর্মটাও ছিল জরুরি। ঢাকাতেও তিনি আস্থা দেখিয়েছেন হাতুরাসিংহের নির্দেশনায় ব্যাটিং করে। প্রমাণটা ওয়েস্টইন্ডিজেও দিলেন। এখন ২০ তারিখে অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে সেটা দিতে পারবেন বলেই আশা। ম্যাচে তামিম ছাড়াও চমৎকার ব্যাটিং করেন মাহামুদুল্লাহও। শেষের দিকে ব্যাটিং করতে নেমে করেন দ্রুত ৭৮ রান। এ ছাড়া মুশফিকের ৪৪, সামসুর রহমানের ৩২ রান উল্লেখযোগ্য। তবে এটা ঠিক, বাংলাদেশ সব সময় সূচনাটা ভালো চায়। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ছাড়াও একটি টি-২০ ম্যাচ। এমন এক সফরে যখন প্রস্তুতি ম্যাচে আস্থা দেখিয়েছেন। এতে ভালো একটা সিরিজ দেখারই প্রত্যাশা। এ দিকে ম্যাচে জবাবে খেলতে নেমে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গ্রানাডা দুই উইকেট হারিয়ে ৩৬ রান করে। প্রথম উইকেটটি নেন সোহাগ পরেরটি আল আমিন।  বাংলাদেশ : ৩২২/৬ (৫০ ওভার) তামিম ৯১ (৮৬), মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ ৭৮, মুশফিক ৪৪ (৪১), সামসুর রহমান ৩২ ও বিজয় ২৪।

No comments:

Post a Comment