প্রমত্তা পদ্মায় পিনাক-৬ লঞ্চডুবির ঘটনায় দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। সেই সাথে বাড়ছে নিখোঁজের তালিকা। গতকাল পর্যন্ত মোট ৩৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজের তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরো আটটি নাম। এ নিয়ে মোট ১৩৭ যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে তথ্যকেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে। এ দিকে দুর্ঘটনার চার দিন অতিবাহিত হলেও ডুবে যাওয়া লঞ্চের সন্ধান পাওয়া যায়নি। সময় যত গড়াচ্ছে লঞ্চ উদ্ধারের আশা ততটাই ক্ষীণ হয়ে আসছে স্বজনদের কাছে।
তারা বলছেন, লঞ্চটি বোধ হয় আর উদ্ধার সম্ভব হচ্ছে না। তবে আশা ছাড়েননি উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। পিনাক-৬ উদ্ধারকাজে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে যোগ দিয়েছে চট্টগ্রাম থেকে আসা জরিপ জাহাজ কাণ্ডারি-২। তার সাথে যোগ দেবে চট্টগ্রাম থেকে আসা আরেকটি জাহাজ জরিপ-১০। এটি ইতোমধ্যে মাওয়ার পথে রয়েছে বলে জানা গেছে। মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ১৪টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে আরো ২১টি লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে মোট ৩৫টি লাশ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পরিচয় পাওয়া ১৬টি লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিগুলোর পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। ওই লাশগুলো মাদারীপুরের পাচ্চর হাইস্কুল মাঠে রাখা হচ্ছে। তথ্যকেন্দ্র থেকে আরো বলা হয়, লাশগুলো পদ্মা নদীর মাওয়া ঘাট থেকে ভাটির দিক থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে। উদ্ধারকৃত লাশের মধ্যে পুরুষ ১০ জন, নারী ১৪ জন ও শিশু সাতজন। এ দিকে পদ্মার পাড়ে স্বজনদের আহাজারি কোনোভাবেই থামছে না। লাশ পাওয়ার খবর শুনলেই ছোটাছুটি শুরু করছেন তারা। দৌড়ে যাচ্ছেন জেলা প্রশাসন স্থাপিত তথ্যকেন্দ্রের দিকে। খুঁজে দেখছেন লাশটি তার প্রিয়জনের কি না। মাদারীপুরের পাচ্চর হাইস্কুল মাঠে স্বজনহারাদের মাতম চলছে। লাশের অপেক্ষায় মাওয়া ঘাটে থাকা বেশির ভাগ স্বজন ছুটে গেছেন পাচ্চর হাইস্কুল মাঠে। কারণ নদীতে যেসব লাশ পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো উদ্ধার করে ওই স্কুলের মাঠে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সরকারি উদ্ধারকাজে কোনো অগ্রগতি না দেখে নিখোঁজদের স্বজনেরা নিজ নিজ উদ্যোগে ট্রলার নিয়ে খুঁজে চলেছেন পদ্মার ভাটি এলাকায়। কলা আর রুটি নিয়ে সকালেও একটি ট্রলারে ১০-১২ জন স্বজনকে পদ্মার দিকে ছুটতে দেখা গেছে। ৩৫টি লাশ উদ্ধার : দুর্ঘটনার দিন থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এরা হলেন হিরা, হাসি বেগম, ফাহাদ, লাকি আক্তার, রীতা, মিজানুর রহমান, জামাল উদ্দিন, ইমা, ইভা আক্তার, সহিদ হোসেন, ইব্রাহিম, আবু ইউসুফ, জাকির হোসেন, ইসরাত জাহান মিম, সায়েদুল হক ও খাদিজা আক্তার। আমাদের ভোলা সংবাদদাতা সাহাদাত শাহিন জানান, গতকাল ভোলাসংলগ্ন মেঘনার বিভিন্ন স্থান থেকে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে দু’জন নারী ও একটি শিশুর লাশ রয়েছে। ভোলার পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামান লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে গত দুই দিনে ভোলাসংলগ্ন মেঘনা থেকে ১০ জনের লাশ উদ্ধার হলো। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ভোরে দৌলতখানের মেদুয়া চর থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর গতকাল সকালে ভোলা সদরের দাশেরহাট এলাকা থেকে এক কিশোরীর, ইলিশা বিশ্ব রোড এলাকা থেকে দুই নারীর এবং মনপুরা জংলার খাল থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরা সবাই পদ্মায় ডুবে যাওয়া লঞ্চের হতভাগ্য যাত্রী বলে প্রশাসন ধারণা করছে। এসব লাশ মাওয়া কন্ট্রোল রুমে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন। লালমোহন (ভোলা) সংবাদদাতা মাহমুদ হাসান লিটন জানান, লালমোহন থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুে সাড়ে ১২টার দিকে লালমোহনের মেঘনা নদীর বাতিরখালসংলগ্ন ঘাটে একজন পুরুষের লাশ ভেসে আসে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। লালমোহন থানার ওসি (তদন্ত) গাজী সহিদুর রহমান জানান, বাতিরখাল ঘাট থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতা বেলাল হোসেন জুয়েল জানান, কমলনগর উপজেলার মেঘনা নদী থেকে অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার রাত ৯টার দিকে পুলিশ উপজেলার সাহেবেরহাট ইউনিয়নের মাতাব্বরনগর এলাকাসংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: হুমায়ুন কবির জানান, সন্ধ্যায় নদীতে দু’টি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় ২৫ বছরের অজ্ঞাত পরিচয় এক নারীর লাশ উদ্ধার করে। তিনি আরো জানান, উদ্ধার হওয়া ওই নারীর পরনে খয়েরি রঙের সালোয়ার কামিজ রয়েছে। ওই সময় নদীতে তীব্র স্রোতে ভেসে যাওয়ায় অপর লাশটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। শরীয়তপুর সংবাদদাতা মো: বোরহান উদ্দিন রব্বানী জানান, জেলার নড়িয়া উপজেলার চরআত্রা এলাকার পদ্মা থেকে ১০ বছরের মেয়ে, গোসাইরহাট উপজেলার মেঘনা নদী থেকে ২৫ বছর বয়সী যুবক ও আড়াই বছরের ছেলেসহ তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত লাশগুলো পিনাক-৬ লঞ্চের যাত্রী বলে জানায় পুলিশ। এদের কারো পরিচয় না পাওয়ায় মাদারীপুর জেলার শিবচরের পাচ্চর স্কুলের কন্ট্রোল রুমে পাঠানো হয়েছে। শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন জানান, শরীয়তপুরের নদীপথগুলোতে লাশ ভেসে এলে তা উদ্ধারের জন্য পুলিশ টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। থামছে না স্বজনদের আহাজারি : অশ্রুভরা চোখে পদ্মার দিকে তাকিয়ে আছে আকরাম (১৬)। গ্রামের বাড়ি থেকে মা তাসলিমা, বাবা দুলাল ও একমাত্র বোন আইরিন আসছিলেন ঢাকার মিরপুরের বাসায়। কিন্তু তারা এখনো বাসায় পৌঁছাননি। পিনাক-৬ ডুবে যাওয়ার পর থেকে তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। ওই লঞ্চে করেই পদ্মা পাড়ি দিচ্ছিলেন তার মা, বাবা ও বোনটি। চার দিন ধরে পদ্মাপাড়ে বসে আছে আকরাম। কেউ কিছু জানতে চাইলে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলছেন তিনি। আকরামের গ্রামের বাড়ি বরিশালের উজিরপুর উপজেলার কানছিতে। লঞ্চডুবিতে পরিবারের সবাইকে হারিয়ে নিঃস্ব আকরাম লাশ ভেসে ওঠার খবর পেলেই ছুটে যাচ্ছেন। নিজের উদ্যোগে পরপর দুই দিন ট্রলার নিয়ে ভাটি অঞ্চলের দিকে ছুটে গেছেন তিনি। কিন্তু কাউকে খুঁজে পাননি। বোন আয়েশাকে খুঁজে ফিরছেন ভাই সেলিম। চার দিন ধরে সেলিম মাওয়াঘাটে বসে আছেন। কয়েকবার নিজের খরচে ট্রলার নিয়ে গেছেন ভাটির দিকে। একটি লাশও উদ্ধার করে ঘাটে নিয়ে এসেছেন তিনি। তবে ওই লাশটি তার বোনের ছিল না। সেলিম অভিযোগ করেন, ভাটিতে অনেক লাশ ভাসতে দেখেছেন। ঘাটে প্রশাসনের লোকদের বললেও তারা বিষয়টি কর্ণপাত করেননি। তারা বলছেন, বিভিন্ন এলাকায় লাশ ভেসে উঠবে। ওই সব এলাকায় প্রশাসনের লোকজন রয়েছে। তারা উদ্ধার করে পাচ্চর স্কুল মাঠে নিয়ে যাবে। সেলিম বলেন, ওই সব এলাকায় লাশ কবে ভেসে উঠবে আর কবে সেখানকার প্রশাসন তা তুলবে তার জন্য বসে থাকতে হবে। অথচ যেসব লাশ ভাসতে দেখা যাচ্ছে সেগুলো তুলতে আপত্তি কেন? তিনি বলেন, আমরা টাকা চাই না। প্রয়োজনে লাশ ওঠাতে যে টাকা লাগে তা আমরা দেবো। আমাদের লাশ তুলে দিক। তিনি আরো বলেন, লাশ আমরাই তুলতে পারতাম। কিন্তু আমাদের জনবল বা প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নেই। সেলিম আরো বলেন, আর বোধহয় লঞ্চটি উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। তার মতে, এত দিনে লঞ্চে হয়তো পলি জমে তা ভরাট হয়ে গেছে। যা উদ্ধারকর্মীরা শনাক্ত করতে পারছেন না। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার বোন ওই লঞ্চের মধ্যে পলি মাটিতে চাপা পড়েছে কি না কে জানে। নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা শেফালী আক্তার (২৫) স্বামী সৈয়দ সাদী ও দুই ছেলে আরাফ (৮) ও এনামকে (৪) নিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন। শেফালীকে খুঁজতে আসা ভাই সবুজ বলেন, লঞ্চ উঠাইবো কিন্তু তখন কিছু থাকবে না। কর্তৃপক্ষের সে ধরনের কোনো পদক্ষেপই নেই। নদীতে লাশ ভেসে উঠলেও সেগুলো আনা হচ্ছে না। আকবর হোসেন নামে অপর এক স্বজন অভিযোগ করেন, উদ্ধারকারীরা শুধুই সময় পার করছেন। এর থেকে নদীতে এক কিলোমিটার এক কিলোমিটার করে দুই কিলোমিটার এলাকা নিয়ে জালের জিম (রশি) টানলেই লঞ্চটি পাওয়া যাবে বলে তারা দাবি করেন। মাওয়ার পদ্মাপাড়ের বাসিন্দা সেলিনা ভাণ্ডারী আক্ষেপ করে বলেন, ‘সাংবাদিকেরা খালি ভিডিও করতাছে আর লেইখ্যাই নিতাছে। যেইডার লইগ্যা আইছি সেইড্যার কিছুই করতাছে না। আপনারা আমার স্বজনের নাম নিয়া কী করবেন।’ উদ্ধার তৎপরতা : উদ্ধারকাজের কো-অর্ডিনেটর নৌবাহিনীর ক্যাপটেন নজরুল ইসলাম জানান, লঞ্চটি উদ্ধারে প্রযুক্তির পাশাপাশি প্রচলিত পদ্ধতি ব্যবহারসহ সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিএ, নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ডসহ অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত লঞ্চটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, লঞ্চটি শনাক্ত করা গেলে শিগগিরই সেটি তোলা সম্ভব হতো। তিনি আরো বলেন, নিখোঁজ লঞ্চটি উদ্ধারে এরই মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে জরিপ জাহাজ কাণ্ডারি-২ এসে কাজ শুরু করেছে। আবার চট্টগ্রাম থেকে জরিপ-১০ নামে অপর একটি জাহাজ আনা হচ্ছে। শুক্রবার থেকে জাহাজ জরিপ-১০ উদ্ধারকাজে যোগ দিতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, জরিপ-১০ জাহাজটি পানির নিচে জরিপ চালাতে সক্ষম। এতে রয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। পানির নিচে স্ক্যান করার জন্য এতে আছে মাল্টি বিম সাইড স্ক্যানার, সাব বোটম প্রোফাইল, সাইজ স্ক্যানার। ক্যাপটেন নজরুল ইসলাম বলেন, জরিপ-১০ জাহাজটি আকারে ছোট হলেও এর কার্যমতা বেশি। চলার পথে দুই পাশে প্রায় ৪০০ মিটার পর্যন্ত স্ক্যান করতে পারে জাহাজটি। পানির নিচে পলিমাটি ও কাদামাটিতে ৭০ মিটার এবং বালি মাটিতে ১৮ মিটার নিচ পর্যন্ত স্ক্যান করার মতা রয়েছে এর। এক প্রশ্নের জবাবে ক্যাপটেন নজরুল বলেন, উদ্ধারকাজে কত দিন লাগতে পারে, তা অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যাচ্ছে না। তা ছাড়া লঞ্চটি কত দূরে অবস্থান করতে পারে সেটি নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের ওপর। নদীর স্রোত কত রেটিক্যাল পর্যন্ত রয়েছে, লঞ্চটি কী ধরনের ম্যাটেরিয়াল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, নদীর মাটি কেমন ইত্যাদি। তিনি বলেন, লোহার পরিমাণ বেশি থাকলে লঞ্চটি নিচের দিকে যেতে চাইবে। আর কাঠের পরিমাণ বেশি হলে সেটি ওপরের দিকে ভাসতে চাইবে। এ ক্ষেত্রে লঞ্চে কী ধরনের ম্যাটেরিয়াল বেশি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি জানা নেই। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা ছাড়ছি না। লঞ্চটি উদ্ধার না করা পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবো’। উদ্ধারকাজে নিয়োজিত বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক জহিরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বিকেলে জানান, সাইড সোলার স্ক্যানিংসহ দেশীয় প্রযুক্তিতেও পদ্মা নদীর ১২ থেকে ১৫ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে লঞ্চ শনাক্ত কাজ অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু ঘটনাস্থল ও তার আশপাশে নদীতে কিছুই পাচ্ছি না। হাইড্রোগ্রাফি বিভাগের প্রধান কমান্ডার মঞ্জুরুল করিম চৌধুরী বলেন, বুধবার রাত ৩টায় আমাদের জাহাজটি তিন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র (সাইড স্ক্যান সোনার, সাব বটম প্রোপাইলার ও জিপিএস) নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছে। এরই মধ্যে আমরা অনুসন্ধান কাজ শুরু করেছি। এ দিকে কাণ্ডারি-২ ছাড়াও নৌবাহিনীসহ বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ ও ফায়ার সার্ভিসসহ পাঁচটি সংস্থার জাহাজ লঞ্চটি উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছে। উল্লেখ্য, কাওরাকান্দি ঘাট থেকে আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে রওনা দিয়ে মাওয়াঘাটে আসার পথে মাঝ পদ্মায় এমএল পিনাক-৬ নামের লঞ্চ ডুবে যায়।
No comments:
Post a Comment