Monday, August 18, 2014

চিংড়ি শিল্পকে বীমার আওতায় নেয়া হচ্ছে:নয়াদিগন্ত

চিংড়ি শিল্পকে বীমার আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে; চালু করা হবে ‘চিংড়ি বীমা’। চিংড়ি খাতকে অধিকতর লাভজনক রফতানি শিল্প হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া চিংড়ি খাতে অধিকতর ঋণদান করার জন্য বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে উৎসাহিত করা হবে। তবে চিংড়ি ঘেরের আয়তনও নির্দিষ্ট করে দেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে ঘেরের আয়তন কোনোক্রমে ৩০ একরের বেশি হবে না। ‘জাতীয় চিংড়ি নীতিমালা’২০১৪তে এ বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে মৎ
স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।  প্রস্তাবিত জাতীয় চিংড়ি নীতিমালায় অনুচ্ছেদগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয় চিংড়ি নীতির উদ্দেশ্য, জাতীয় চিংড়ি নীতির পরিধি, বাস্তবায়নের ক্ষেত্রগুলো, বাস্তবায়ন কৌশল, উপকূলীয় অঞ্চলের নদ-নদী ও জলাশয়ের চিংড়ি সংরক্ষণ ও আহরণ, উপকূলীয় এলাকায় সমন্বিত চিংড়ি চাষ ব্যবস্থাপনা, সামুদ্রিক চিংড়ি সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা ও অহরণ, চিংড়ি হ্যাচারি, হ্যাচারি ও চাষের জন্য উপকরণ সরবরাহ, ভূমি আঞ্চলীকরণ, চিংড়ি সম্পদ উন্নয়নে উদ্বুদ্ধকরণ ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম, চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও মাননিয়ন্ত্রণ, চিংড়ি রফতানি, চিংড়ি সম্পর্কিত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, চিংড়ি গবেষণা, চিংড়ি ঋণ বীমা ও নির্ভরযোগ্য ডাটাবেজ।  চিংড়ি ঋণ ও বীমা সম্পর্কে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘চিংড়ি খাতে প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ প্রদান কার্যক্রমে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকসহ বেসরকারি ঋণদান প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহিত করার উদ্যোগ নেয়া হবে। দারিদ্র্যবিমোচন ও কর্মসংস্থান সহায়ক চিংড়ি শিল্প স্থাপন এবং চিংড়ি চাষের জন্য সহজ শর্তে ঋণ প্রদানে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চিংড়িবিষয়ক তথ্যাদি সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিনিময় তথ্য নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্য মৎস্য অধিদফতরের চিংড়ি উইংয়ে একটি ‘ডাটাবেজ’ গড়ে তোলা হবে।  জাতীয় চিংড়ি নীতির পরিধি সম্পর্কে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়, ‘চিংড়ি উৎপাদনযোগ্য সব জমি ও জলাশয়ে চিংড়ি উৎপাদন আহরণ ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, আমদানি-রফতানি, উপকরণ সরবরাহ ও ব্যবসায়ের সাথে জড়িত চিংড়ি উৎপাদক, ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, গবেষক, ব্যবস্থাপক এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বা ব্যক্তি এবং ল্যাব, প্রসেসর, এজেন্ট, ডিপো. সমিতি, পুকুর, জলাশয়, ঘের, চিংড়িখামারসহ এ খাতের সাথে সম্পৃক্ত সবাই জাতীয় চিংড়ি নীতিমালা ২০১৪ অন্তর্ভুক্ত হবে।  কৃষিজমিতে চিংড়ি চাষ করা যাবে না : চিংড়ি নীতিমালায় কৃষিজমিতে চিংড়ি চাষ নিরুৎসায়িত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘উপকূলীয় অঞ্চলে কৃষি-ফসল উৎপাদনযোগ্য জমি এবং বনাঞ্চলের আকৃতি ও প্রকৃতি পরিবর্তন করে এককভাবে চিংড়ি চাষের কাজে ব্যবহারের বিষয়টি নিরুৎসাহিত করা এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ছাড়া এসব জমিতে চিংড়ি চাষ করা যাবে না।’ ভূমি আঞ্চলীকরণ : ভূমি আঞ্চলীকরণ অনুচ্ছেদে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়, ‘ভূমির প্রকৃতিগত অবস্থান ও উপযোগিতা বিবেচনায় চিংড়ি, ধান বা অন্যান্য ফসলি এলাকা চিহ্নিত করে বার্ষিক চিংড়ি চাষের শুরু ও শেষ হওয়ার সময় উল্লেখসহ ভূমি আঞ্চলীকরণ করা হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সেক্টরের সাথে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন। চিংড়ি চাষের সম্ভাবনাময় ও আর্থসামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য প্রতিটি অঞ্চলের সরকারি-বেসরকারি ভূমি চিংড়ি চাষের আওতায় আনার কর্মসূচি গ্রহণ। ভূমির মালিকের সম্মতিক্রমে জমিতে চিংড়ি চাষ করা যাবে।  নীতিমালায় বলা হয়েছে, এলাকার আর্থসামাজিক ও পরিবেশ ভারসাম্য বজায় রাখার লক্ষ্যে চিংড়ি ঘেরের আয়তন (বিশেষ করে বাগদা চিংড়ির ক্ষেত্রে) সর্Ÿোচ্চ ৩০ একরের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। জানা গেছে, শিগগিরই এই নীতিমালা আইনে রূপান্তর করা হবে।

No comments:

Post a Comment