Monday, August 11, 2014

শ্রমবাজারে আসা অর্ধেক মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে প্রতি বছর : গভর্নর:নয়াদিগন্ত

বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, বর্তমানে ৬০ শতাংশ মানুুষই কর্মক্ষম। প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ নতুন কর্মক্ষম জনবল তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে মাত্র ১০ লাখ জনবল দেশে-বিদেশের শ্রমবাজারে চাকরি লাভ করছে। গভর্নরের বক্তব্য মতে, দেশে শ্রমবাজারে নতুন আসা অর্ধেক শ্রমিকই বেকার থাকছে। গভর্নর বলেন, আমাদের সরকারি-বেসরকারি খাত ও বিদেশের শ্রমবাজার ক্রমবর্ধমান জনবলের কর্মসংস্থান চাহিদা পুরোপুরি পূরণ করতে পারছে
না। ক্রমবর্ধমান জনবলের বাড়তি কর্মসংস্থান সৃষ্টির এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কার্যকর নীতি-কৌশল-কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।  গতকাল এসএমই খাতে নতুন উদ্যোক্তা উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের আওতায় অংশগ্রহণমূলক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে গভর্নর একথা বলেন। তিনি বলেন, বাড়তি কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশে সরকারি-বেসরকারি খাতে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। বিদেশে শ্রমবাজার অনুসন্ধান ও বাজার চাহিদা অনুযায়ী আমাদের জনবলকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপযুক্ত করে বিদেশের শ্রমবাজার দখল করতে হবে। এ ছাড়া নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির উৎস হিসেবে বিকল্প কর্মসংস্থান তথা আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে।  অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবুল কাসেম, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি শাহজাহান খান ও সাবেক সভাপতি সবুর খান।  গভর্নর বলেন, দেশে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি এবং তরুণ ও উদ্ভাবনী উদ্যোক্তাদের ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে অর্থায়ন সহজলভ্য করার লক্ষ্যে ম্যানুফ্যাকচারিং ও সেবা খাতে স্বল্প মূলধনী, শ্রমঘন, রফতানিমুখী ও আমদানি বিকল্প উদ্যোগে অর্থায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে ১০০ কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল চালু করেছে। এ তহবিল থেকে অর্থ ছাড় করার লক্ষ্যে গতকাল ৩২টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশগ্রহণমূলক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।  তিনি বলেন, শুধু অংশগ্রহণমূলক চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্যে তৎপরতা সীমিত থাকলে চলবে না। নতুন উদ্যোক্তা খুঁজে বের করতে আরো সক্রিয় হতে হবে। ঢাকা চেম্বার কিংবা অনুরূপ কোনো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় প্রশিক্ষিত ও নির্বাচিত উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে এবং শুধু ব্যক্তিগত গ্যারান্টির বিপরীতে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রাথমিক অর্থায়ন সুবিধা প্রদানে এ তহবিল ব্যবহৃত হবে। এর সুদহার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ।

No comments:

Post a Comment