সমাজকল্যাণমন্ত্রীর মাদরাসাবিষয়ে দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা ও প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। তার অপসারণ দাবি করেছেন ইসলামি দলের নেতৃবৃন্দ। ইসলামী ঐক্যজোট : ইসলামী ঐক্যজোট নেতৃবৃন্দ বলেছেন, জুলুম, অবিচারকারী, বাতিল ও নাস্তিক্যবাদী জঙ্গি শক্তি আজ মানুষকে অস্থির করে রেখেছে। দেশব্যাপী নির্মম হত্যা, গুম ও ঘৃণ্য সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের পরিবেশ এখন উত্তপ্ত। মন্ত্রীর লাগামহীন বক্তব্য ইসলামি শিা ধ্বংসের চূড়ান্ত ষড়যন্ত্র এ
খন প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। আল্লাহ ও রাসূলের নাম পর্যন্ত মুছে ফেলা হচ্ছে। এ নাজুক অবস্থায় চুপ করে বসে থাকলে আমরা কেউই রেহাই পাবো না। গতকাল জোট চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামীর সভাপতিত্বে লালবাগে এক জরুরি সভায় নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন জোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি তৈয়্যব হোসাইন প্রমুখ। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ : সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি আল্লামা মোস্তফা অবিলম্বে সমাজকল্যাণমন্ত্রী মহসীন আলীর অপসারণ দাবি করে বলেছেন, ইসলামি শিক্ষা ও আকিদা-বিশ্বাস এবং নৈতিকতা বিধ্বংসী কর্মকাণ্ডের পৃষ্ঠপোষক ব্যক্তিকে এখনো মন্ত্রী হিসেবে বহাল দেখে আমাদের আশ্চর্য লাগছে। আওয়ামী লীগ সব সময় দাবি করে তারা ইসলামবিরোধী কিছু করবে না অথচ কার্য ক্ষেত্রে তারা রাষ্ট্রের সব স্থান থেকে ইসলাম দূরীভূত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। নৈতিকতা ও সমাজবিনাশী তৎপরতার পৃষ্ঠপোষক এ রকম একজন মানুষ কোনোক্রমেই এমপি থাকতে পারেন না। অবিলম্বে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করতে হবে। গতকাল রাজধানীর জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মিলনায়তনে মাওলানা মাহবুবুর রহমান খান, সরাইল উপজেলার বিগত নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: লাল বাদশা, হাফেজ ইদ্রিস মো: খান, হাফেজ আবুল বাশার, মাওলানা জমির উদ্দীনের নেতৃত্বে বি. বাড়িয়া সদর ও সরাইল উপজেলার শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম এবং ইসলামী ঐক্যজোট নেতৃবৃন্দের জমিয়তে যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, সহসভাপতি মাওলানা জহিরুল হক ভূইয়া, আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, প্রচার সম্পাদক ওয়ালী উল্লাহ আরমান প্রমুখ। বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন : সংগঠনের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেছেন, রমজান, বদর যুদ্ধ, মক্কাবিজয় ও ঈদ থেকে শিক্ষা নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ইসলামবিরোধী সব কর্মসূচি ও অপশক্তির বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। মুসলমানের কৃষ্টি-কালচার মুছে দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষার নামে এ দেশকে একটি অসভ্য রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য মাদরাসা শিক্ষা ও এতিমখানা বন্ধের গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। মাওলানা হামিদী অবিলম্বে সমাজকল্যাণমন্ত্রীকে অপসারণের দাবি জানিয়ে বলেন, ধর্ম, নৈতিকতা, ঐতিহ্য ও আদর্শের প্রতীক মাদরাসা শিক্ষা ও এতিমখানা এ দেশে ছিল, আছে ও থাকবে। মাদরাসাবিরোধী কোনো ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করা হবে না। গতকাল সংগঠনের ঢাকা মহানগরী শাখা আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সেক্রেটারি মাওলানা হাফেজ আবু তাহেরের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন মাওলানা হেদায়াতুল্লাহ বাশার, মো: শাহজাহান মিয়া, মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী, মুফতি জয়নাল আবেদিন, মাওলানা মোহাম্মদ সারওয়ার ও মাওলানা সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। পীর সাহেব জৌনপুরী : তাহরীকে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের আমির ড. মুফতি সৈয়দ মো: এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৌনপুরী গতকাল এক প্রতিবাদ সভায় বলেন, সুদূর অতীত থেকে মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা মুসলমানদের ঈমান-আকিদা হেফাজতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে মন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এ ধরনের ব্যক্তিকে মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণ করতে হবে, না হলে এর দায়দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য পীরজাদা সৈয়দ মাওলানা এহসান উল্লাহ আব্বাসী, পীরজাদা সৈয়দ মাওলানা কারী ওবাইদুল্লা আব্বাসী, মুহাদ্দিস আলমগীর হোসেন আনছারী প্রমুখ।
No comments:
Post a Comment