তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে র্যাব সদস্যদের সাথে ঢাকা কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের হাতাহাতি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর জের ধরে র্যাবের পোশাকধারী সদস্যরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কার্যালয়ে ঢুকে ব্যাপক লাঠিপেটা করেন। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। গতকাল বিকেলে এয়ারপোর্ট ক্যান্টিনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা সূত্রে জানা যায়, বিকেল সাড়ে ৪টায় সাদা পোশা
কে কয়েকজন র্যাব সদস্য মাইক্রোবাসে করে এয়ারপোর্ট ক্যান্টিনের সামনে দাঁড়ান। উল্টো পাশেই ঢাকা কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়। গাড়ির চালক দরজা খোলার সময় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের এক সদস্যের গায়ে ধাক্কা লেগে যায়। এ নিয়ে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কার্যালয় থেকে কয়েকজন সদস্য বের হয়ে র্যাব সদস্যের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে জানাজানি হয় গাড়িতে থাকা সবাই র্যাব সদস্য। এরপরই র্যাব হেডকোয়ার্টার্স থেকে পোশাকধারী একাধিক টিম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের কার্যালয়ে ঢুকে ব্যাপক লাঠিচার্জ করেন। একপর্যায়ে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বন্দরবিষয়ক সম্পাদক ও বিমানবন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন ভূঁইয়াসহ পাঁচজনকে সেখান থেকে তুলে র্যাব হেডকোয়ার্টার্সে নেয়া হয়। পরে বিমানবন্দর থানার ওসি এবং র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকের পর বিষয়টি মীমাংসা হয়। গত রাতে বিমানবন্দর থানার ওসি শাহ আলম নয়া দিগন্তকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, র্যাবের কয়েকজন সদস্য হোটেলে খাওয়া-দাওয়া করতে গিয়েছিলেন। তাদের গাড়ি পার্কিংয়ের সময় দরজা খোলাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। তিনি বলেন, র্যাবের ওই গাড়িচালক তার পরিচয় দিলেই আর কোনো সমস্যা হতো না। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ইব্রাহিম নামের এক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সদস্যের সাথে মূলত প্রথম ঘটনার সূত্রপাত; কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সিঅ্যান্ডএফ সদস্যদের ওপর র্যাব সদস্যরা হালকা লাঠিচার্জ করেছেন। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, সিরাজুল ইসলামসহ পাঁচজনকে র্যাব হেডকোয়ার্টার্সে ধরে নেয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই আমি র্যাব হেডকোয়ার্টার্সে যাই। সেখানে বসেই আমরা বিষয়টি মীমাংসা করে ফেলি। আর কোনো ঝামেলা নেই। গত রাতে র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।
No comments:
Post a Comment