তমান অবৈধ সরকারের আমলে দেশের মানুষ আর নিরাপদ নয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি এবং মতাসীনদের হিংসাত্মক কার্যকলাপের কারণে বৃদ্ধি পাওয়া অপহরণ আর লাশের মিছিলের ভয়াবহ বাস্তবতায় দেশের আপামর জনসাধারণ সবসময় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে দিন কাটাচ্ছে। বুধবার রাতে দুষ্কৃতকারীদের হাতে দেশের বিশিষ্ট আলেম কাজী নুরুল ইসলাম ফারুকীকে হত্যার মধ্য দিয়ে আরেকবার প্রমাণ হলো এই দেশে খুনের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, দেশবাসী এমন একটি নৈরাজ্যকর থমথমে পরিবেশে বসবাস করছে, যেখানে পরিবার-পরিজন নিয়ে একজন দ্বীনি আলেমকেও দুষ্কৃতকারীদের হাতে জীবন হারাতে হয়। অবৈধ সরকারের সৃষ্ট কুশাসনের করাল গ্রাস থেকে কেবল দেশের রাজনৈতিক নেতাকর্মীই নন, দেশের সম্মানিত বিশিষ্টজনেরাও রেহাই পাচ্ছেন না। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা আছে বলেই গুম, খুন ও অপহরণকারীরা ঘটনা ঘটিয়ে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। খালেদা জিয়া বলেন, নুরুল ইসলাম ফারুকীকে নির্মমভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের বিরাজমান খুনোখুনি ও রক্তারক্তির বীভৎস চিত্রটিই ফুটে উঠেছে। সারা দেশে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির ল্েযই সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে প্রশ্রয় দিচ্ছে সন্ত্রাসী গডফাদার ও দুষ্কৃতকারীদের; যাতে অরাজক ও ভীতিকর পরিস্থিতি বিদ্যমান রেখে অবৈধভাবে দখল করা মতা টিকিয়ে রাখা যায়। কারণ অবৈধ মতা ধরে রাখতে নৈরাজ্য ও দুঃশাসনের বিকল্প নেই। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অবৈধ মতাসীনদের সাথে জনগণ নেই। তাই অনাচার ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে সমাজবিরোধী সন্ত্রাসীরাই এখন তাদের সবচেয়ে বেশি ভরসার স্থল। আর এ জন্য আশকারা পেয়ে সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হওয়ার সাহস পাচ্ছে। এভাবে হত্যালীলা চালিয়ে দেশব্যাপী রক্তপাত ঘটানোর জন্য সরকারকে একদিন চরম ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন খালেদা জিয়া। তিনি অবিলম্বে নুরুল ইসলাম ফারুকীকে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান। সেই সাথে নুরুল ইসলামের রূহের মাগফিরাত কামনা করে শোকাহত পরিবারের সদস্যবর্গ ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আন্তরিক সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেন। অপর এক বিবৃতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নুরুল ইসলাম ফারুকী হত্যাকাণ্ডকে চরম নির্মমতা আখ্যা দিয়ে বলেন, গোটা দেশ এখন নরকের জনপদ। অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও বেঁচে থাকা হুমকির মুখে। বর্তমান স্বৈরশাসকদের শাসনামল বিশ্বের ইতিহাসে সাদা পোশাক পরা কালো শাসনের অধ্যায় বলে পরিচিত হবে। এ মুহূর্তে আওয়ামী নির্যাতন নিপীড়ন ও দুঃশাসনের কবল থেকে দেশকে উদ্ধার করতে না পারলে দেশের অস্তিত্বই বিলীন হয়ে যাবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্বরোচিত কায়দায় নিহত নুরুল ইসলাম ফারুকীকে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান। ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের সাথে তৃতীয় দফা বৈঠক বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার তৃতীয় দফা বৈঠক হয়েছে ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের সাথে। গত রাত ৭টার কিছু পর এ বৈঠক শুরু হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত চলে। এ সময় বেগম খালেদা জিয়া ছাত্রদলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শুনেন। এর আগে আরো দুই দফায় প্রায় শতাধিক কেন্দ্রীয় নেতার বক্তব্য শুনেন বেগম জিয়া। দলের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, শিগগিরই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা হতে পারে। সে অনুযায়ী ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শুনছেন বেগম খালেদা জিয়া। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৈঠক চলছিল।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Friday, August 29, 2014
দেশে খুনের রাজত্ব কায়েম হয়েছে : খালেদা জিয়া:নয়াদিগন্ত
তমান অবৈধ সরকারের আমলে দেশের মানুষ আর নিরাপদ নয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি এবং মতাসীনদের হিংসাত্মক কার্যকলাপের কারণে বৃদ্ধি পাওয়া অপহরণ আর লাশের মিছিলের ভয়াবহ বাস্তবতায় দেশের আপামর জনসাধারণ সবসময় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে দিন কাটাচ্ছে। বুধবার রাতে দুষ্কৃতকারীদের হাতে দেশের বিশিষ্ট আলেম কাজী নুরুল ইসলাম ফারুকীকে হত্যার মধ্য দিয়ে আরেকবার প্রমাণ হলো এই দেশে খুনের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, দেশবাসী এমন একটি নৈরাজ্যকর থমথমে পরিবেশে বসবাস করছে, যেখানে পরিবার-পরিজন নিয়ে একজন দ্বীনি আলেমকেও দুষ্কৃতকারীদের হাতে জীবন হারাতে হয়। অবৈধ সরকারের সৃষ্ট কুশাসনের করাল গ্রাস থেকে কেবল দেশের রাজনৈতিক নেতাকর্মীই নন, দেশের সম্মানিত বিশিষ্টজনেরাও রেহাই পাচ্ছেন না। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা আছে বলেই গুম, খুন ও অপহরণকারীরা ঘটনা ঘটিয়ে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। খালেদা জিয়া বলেন, নুরুল ইসলাম ফারুকীকে নির্মমভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের বিরাজমান খুনোখুনি ও রক্তারক্তির বীভৎস চিত্রটিই ফুটে উঠেছে। সারা দেশে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির ল্েযই সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে প্রশ্রয় দিচ্ছে সন্ত্রাসী গডফাদার ও দুষ্কৃতকারীদের; যাতে অরাজক ও ভীতিকর পরিস্থিতি বিদ্যমান রেখে অবৈধভাবে দখল করা মতা টিকিয়ে রাখা যায়। কারণ অবৈধ মতা ধরে রাখতে নৈরাজ্য ও দুঃশাসনের বিকল্প নেই। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অবৈধ মতাসীনদের সাথে জনগণ নেই। তাই অনাচার ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে সমাজবিরোধী সন্ত্রাসীরাই এখন তাদের সবচেয়ে বেশি ভরসার স্থল। আর এ জন্য আশকারা পেয়ে সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হওয়ার সাহস পাচ্ছে। এভাবে হত্যালীলা চালিয়ে দেশব্যাপী রক্তপাত ঘটানোর জন্য সরকারকে একদিন চরম ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন খালেদা জিয়া। তিনি অবিলম্বে নুরুল ইসলাম ফারুকীকে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান। সেই সাথে নুরুল ইসলামের রূহের মাগফিরাত কামনা করে শোকাহত পরিবারের সদস্যবর্গ ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আন্তরিক সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেন। অপর এক বিবৃতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নুরুল ইসলাম ফারুকী হত্যাকাণ্ডকে চরম নির্মমতা আখ্যা দিয়ে বলেন, গোটা দেশ এখন নরকের জনপদ। অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও বেঁচে থাকা হুমকির মুখে। বর্তমান স্বৈরশাসকদের শাসনামল বিশ্বের ইতিহাসে সাদা পোশাক পরা কালো শাসনের অধ্যায় বলে পরিচিত হবে। এ মুহূর্তে আওয়ামী নির্যাতন নিপীড়ন ও দুঃশাসনের কবল থেকে দেশকে উদ্ধার করতে না পারলে দেশের অস্তিত্বই বিলীন হয়ে যাবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্বরোচিত কায়দায় নিহত নুরুল ইসলাম ফারুকীকে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান। ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের সাথে তৃতীয় দফা বৈঠক বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার তৃতীয় দফা বৈঠক হয়েছে ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের সাথে। গত রাত ৭টার কিছু পর এ বৈঠক শুরু হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত চলে। এ সময় বেগম খালেদা জিয়া ছাত্রদলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শুনেন। এর আগে আরো দুই দফায় প্রায় শতাধিক কেন্দ্রীয় নেতার বক্তব্য শুনেন বেগম জিয়া। দলের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, শিগগিরই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা হতে পারে। সে অনুযায়ী ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শুনছেন বেগম খালেদা জিয়া। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৈঠক চলছিল।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment