সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে বিএনপি ‘মায়াকান্না’ করছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, তাদের শাসনামলে একুশে টেলিভিশনসহ কয়েকটি পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়। ১৮ জন সাংবাদিক নিহত ও ৫০-৬০ জন গুরুতর আহত হন; কিন্তু আওয়ামী লীগই গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। এ জন্যই আমাদের শাসনামলে ২৪টি চ্যানেলের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। গতকাল রাজধানীর টিসিবি ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদি
কদের তিনি এ কথা বলেন। এই সম্প্রচার নীতিমালাকে বাঞ্ছনীয় ও যৌক্তিক দাবি করে তিনি বলেন, সব কিছুরই একটা নীতিমালা থাকা উচিত। পৃথিবীর সব সভ্য দেশেই সব খবর প্রকাশ করা হয় না। ইউরোপে দুর্ঘটনার দৃশ্য দেখানো হয় না। অথচ আমাদের দেশে এসব কিছুই মানা হয় না। তাই এই নীতিমালা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। সম্প্রচার নীতিমালার মাধ্যমে কি গণতন্ত্রের সুষম বিকাশ রুদ্ধ করে দেয়া হলো? একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে সরকারদলীয় এই সংসদ সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধে বিশ্বাস করে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানেই মিডিয়া এত বিস্তার লাভ করেছে। তিনি স্বাধীন মিডিয়ায় বিশ্বাস করেন বলেই এত টিভির লাইসেন্স দিয়েছেন, যারা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। আর রাস্তায় গাড়ি চালাতে গেলেও একটা নীতিমালার মধ্য দিয়ে চালাতে হয়। তাই এ আইন করে গণমাধ্যমের গতি রোধ করা হয়নি, বরং এটি গণমাধ্যমের জন্য সহায়ক ভূমিকা রাখবে। বিএনপি সম্প্রচার নীতিমালাকে কালো আইন বলেছে, এর মাধ্যমে কি গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, বিএনপি বরাবরই সব ভালো কাজের বিরোধিতা করে। এটি তাদের জন্য নতুন কিছু নয়। বিএনপির সম্ভাব্য আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসলে বিএনপি কোন ইস্যু নিয়ে আন্দোলন করছে তা দেশবাসী দূরের কথা, তারা নিজেরাও জানে না। তাদের লক্ষ্য একটাই তা হলো বোমাবাজির মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা। তারা একাধিকবার চেষ্টা করেছে; কিন্তু সফল হয়নি। তাই এবারো সফল হবে না। আর বিএনপি অদূর ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনাও দেশবাসী দেখছে না।
No comments:
Post a Comment