ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের স্টাইলে সরকারদলীয় ক্যাডাররা চাঁদাবাজি করছে। অনেক শিল্প-প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ব্যবসায়ী চাঁদাবাজির ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের বেশিরভাগ নেতাকর্মীই এ চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত। দমন-পীড়নের ভয়ে কোনো ব্যবসায়ী প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ঈদুল ফিতরের সময় সরকারদলীয় লোকজনকে চাঁদা দিতে হয়েছে রূপগঞ্জের ব্যবসায়ীদের। এরপর জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নামধারীরা ব্যাপক চাঁদাবাজি করছে। যদিও কেন্দ্র থেকে নির্দেশ রয়েছে ১৫ আগস্ট নিয়ে কোনো রকম চাঁদাবাজি না করতে। সরেজমিন দেখা গেছে, রূপগঞ্জের মহাসড়ক, রাস্তাঘাটে শোভা পাচ্ছে ১৫ আগস্টের দু’শতাধিক বড় বড় তোরণ। এসব তোরণ নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে ২০ লক্ষাধিক টাকা। এছাড়া রূপগঞ্জের অলিগলিতে লাগানো হয়েছে ২ হাজার ব্যানার-ফেস্টুন। ব্যানার-ফেস্টুন করতে ব্যয় হয়েছে কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকা। আগস্ট মাসের প্রথম দিন থেকেই শোক দিবসের কাঙালিভোজের আয়োজন করা হচ্ছে। আর এ টাকার সিংহভাগই চাঁদাবাজির টাকা। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কাপড়ের মার্কেট হল রূপগঞ্জের গাউসিয়া মার্কেট। এ এলাকায় বড় মার্কেট ১০টি। ব্যবসায়ী ৫ হাজারেরও বেশি। ১৫ আগস্ট উপলক্ষে ফুটপাত থেকে শুরু করে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে চাঁদা দিতে হয়েছে। হাটের দিন প্রায় ২ হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এখানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়িক কাজে আসেন। এসব অস্থায়ী ব্যবসায়ী জিম্মি হয়ে আছে চাঁদাবাজদের কাছে। গাউছিয়া মার্কেটের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, সোমবার ও মঙ্গলবার এখানে হাট বসে। প্রতিটি চাটাইয়ের জন্য আলাদা চাঁদা দিতে হয়। এছাড়া যারা দোকানে বসে হাটের দিন পাইকারি ব্যবসা করেন তারাও জিম্মি চাঁদাবাজদের কাছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গাউছিয়া মার্কেটে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ি থাকলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায় না। এছাড়া উপজেলার কাঞ্চন বাজার, দাউদপুর, আতলাপুর, মুড়াপাড়া, রূপসী, বরপা, তারাব, যাত্রামুড়াসহ ছোট-বড় ২০টি হাট-বাজারের ১০ হাজার ব্যবসায়ী ১৫ আগস্টের চাঁদাবাজির শিকার। ভুলতা এলাকার এক ব্যবসায়ী জানান, ১৫ আগস্ট উপলক্ষে তাকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়েছে। একই এলাকার এক চায়ের দোকানদার জানান, শোক দিবসের জন্য তাকেও চাঁদা দিতে হয়েছে। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মোঃ শাহজাহান ভূঁইয়া বলেন, তার জানা মতে এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। দলের নির্দেশনা অনুযায়ী শোক দিবসকে সামনে রেখে কোনো চাঁদাবাজি করতে দেয়া হয়নি।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Wednesday, August 20, 2014
রূপগঞ্জে চাঁদাবাজি ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ:যুগান্তর
ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের স্টাইলে সরকারদলীয় ক্যাডাররা চাঁদাবাজি করছে। অনেক শিল্প-প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ব্যবসায়ী চাঁদাবাজির ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের বেশিরভাগ নেতাকর্মীই এ চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত। দমন-পীড়নের ভয়ে কোনো ব্যবসায়ী প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ঈদুল ফিতরের সময় সরকারদলীয় লোকজনকে চাঁদা দিতে হয়েছে রূপগঞ্জের ব্যবসায়ীদের। এরপর জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নামধারীরা ব্যাপক চাঁদাবাজি করছে। যদিও কেন্দ্র থেকে নির্দেশ রয়েছে ১৫ আগস্ট নিয়ে কোনো রকম চাঁদাবাজি না করতে। সরেজমিন দেখা গেছে, রূপগঞ্জের মহাসড়ক, রাস্তাঘাটে শোভা পাচ্ছে ১৫ আগস্টের দু’শতাধিক বড় বড় তোরণ। এসব তোরণ নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে ২০ লক্ষাধিক টাকা। এছাড়া রূপগঞ্জের অলিগলিতে লাগানো হয়েছে ২ হাজার ব্যানার-ফেস্টুন। ব্যানার-ফেস্টুন করতে ব্যয় হয়েছে কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকা। আগস্ট মাসের প্রথম দিন থেকেই শোক দিবসের কাঙালিভোজের আয়োজন করা হচ্ছে। আর এ টাকার সিংহভাগই চাঁদাবাজির টাকা। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কাপড়ের মার্কেট হল রূপগঞ্জের গাউসিয়া মার্কেট। এ এলাকায় বড় মার্কেট ১০টি। ব্যবসায়ী ৫ হাজারেরও বেশি। ১৫ আগস্ট উপলক্ষে ফুটপাত থেকে শুরু করে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে চাঁদা দিতে হয়েছে। হাটের দিন প্রায় ২ হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এখানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়িক কাজে আসেন। এসব অস্থায়ী ব্যবসায়ী জিম্মি হয়ে আছে চাঁদাবাজদের কাছে। গাউছিয়া মার্কেটের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, সোমবার ও মঙ্গলবার এখানে হাট বসে। প্রতিটি চাটাইয়ের জন্য আলাদা চাঁদা দিতে হয়। এছাড়া যারা দোকানে বসে হাটের দিন পাইকারি ব্যবসা করেন তারাও জিম্মি চাঁদাবাজদের কাছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গাউছিয়া মার্কেটে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ি থাকলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায় না। এছাড়া উপজেলার কাঞ্চন বাজার, দাউদপুর, আতলাপুর, মুড়াপাড়া, রূপসী, বরপা, তারাব, যাত্রামুড়াসহ ছোট-বড় ২০টি হাট-বাজারের ১০ হাজার ব্যবসায়ী ১৫ আগস্টের চাঁদাবাজির শিকার। ভুলতা এলাকার এক ব্যবসায়ী জানান, ১৫ আগস্ট উপলক্ষে তাকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়েছে। একই এলাকার এক চায়ের দোকানদার জানান, শোক দিবসের জন্য তাকেও চাঁদা দিতে হয়েছে। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মোঃ শাহজাহান ভূঁইয়া বলেন, তার জানা মতে এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। দলের নির্দেশনা অনুযায়ী শোক দিবসকে সামনে রেখে কোনো চাঁদাবাজি করতে দেয়া হয়নি।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment