Monday, August 25, 2014

অরক্ষিত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল:নয়াদিগন্ত

অরক্ষিত হয়ে পড়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। নিরাপত্তা বাহিনীর পাহারার মধ্যেও ঘটছে একের পর এক শিশু চুরির ঘটনা। অহরহ রোগীর অভিভাবকরা হারাচ্ছেন টাকা-মোবাইলসহ মূল্যবান সামগ্রী। হাসপাতালের অভ্যন্তর থেকে ওষুধ চুরির ঘটনাও থেমে নেই। বিশেষ করে এ হাসপাতাল থেকে একের পর এক নবজাতক শিশু চুরি ঘটনায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। এ ছাড়া রোগীদের জিম্মি করে বাড়তি টাকা হাতিয়ে নেয়া, হাসপাতালের সরকারি ওষুধ ও বিভিন্ন
চিকিৎসাসামগ্রী চুরি করা, রোগীদের খাবার অন্যত্র বেচে দেয়া, রোগীদের সাথে কর্মচারীদের খারাপ আচরণ এখানকার নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।  সরেজমিন জানা গেছে, এখানকার নানা অনিয়ম আর ঘটনা। রোগীদের সাথে থাকা অভিভাবকদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের চরম অব্যবস্থাপনার কারণে হাসপাতাল থেকে একের পর এক শিশু চুরি হচ্ছে। সেই সাথে বাড়ছে হয়রানি। আর এসব ঘটনা ঘটছে হাসপাতালের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর কারণে। গত বছর থেকে এ পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে পাঁচটি নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে এর মধ্যে একটি শিশু চুরি করার সময় গেটে ধরা পড়ায় ওই শিশুটিকে নিতে পারেনি। এ ছাড়া বাকি চারটি শিশুর কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, হাসপাতালের সেবার মান ও পরিবেশ আগের তুলনায় উন্নত হয়েছে। দেশের সব থেকে বড় সরকারি এ হাসপাতালে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করেন। একটি রোগীর সাথে চার-পাঁচজন স্বজন আসেন। কখন কে কী করছেন সব সময় মনিটরিং করা যায় না। এসব ক্ষেত্রে হাসপাতালের সিকিউরিটির পাশাপাশি রোগী ও তার স্বজনদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন।  হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি : ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাত্লা থেকে এ পর্যন্ত কত শিশু চুরি হয়েছে তার সঠিক হিসাব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে নেই। যখন যে ঘটনাটি ঘটে তার কয়েক মাস পর্যন্ত ওই ঘটনা নিয়ে কিছুটা দৌড়ঝাঁপ হয়। এরপর ওই শিশু চুরির অভিযোগের ফাইল ধামাচাপা পড়ে যায়। তবে অন্য একটি সূত্র মতে, গত ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত পাঁচটি শিশু চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ২০১৩ সালে তিনটি শিশু চুরি হয়। যার মধ্যে প্রথমটি এপ্রিল মাসে, দ্বিতীয়টি জুলাই এবং তৃতীয়টি নভেম্বর মাসে। চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল একটি চুরির ঘটনা ঘটে। অন্যটি চলতি মাসের ২১ তারিখে। এর মধ্যে ১৪ এপ্রিল ভোরে নবজাতক চুরি করে পালানোর সময় গেটে খাদিজা বেগম নামে এক মহিলাকে আটক করেন আনসার সদস্যরা। যার কারণে ওই শিশুটিকে আর চুরি করে নিতে পারেনি। এর সব ঘটনা ঘটেছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২১৩ নম্বর গাইনি ওয়ার্ডে। অভিযোগ রয়েছে, আগে প্রসূতিকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হলে তার নাম ঠিকানা, ওয়ার্ড নম্বর, বেড নম্বর লেখা একটি স্টিকার বা ব্যাচ হাতে বেঁধে দেয়া হতো। এরপর ওই প্রসূতির শিশু জন্ম নেয়ার সাথে সাথে ঠিক একই লেখা অপর একটি স্টিকার শিশুটির হাতেও লাগিয়ে দেয়া হতো। কিন্তু বর্তমানে এসব কিছু করা হয় না। যার কারণে কার শিশু কাকে দেয়া হচ্ছে তার সঠিক খবর ডাক্তার, নার্স আয়া ছাড়া কেউ জানতে পারছেন না।  গত ২১ তারিখ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২১৩ নম্বর গাইনি ওয়ার্ডের ৬ নম্বর বেড থেকে একটি নবজাতক চুরি হয়। এর আগের দিন বুধবার ভোরে মা রুনা আক্তার জমজ দু’টি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। ওই দু’টি শিশুর একটি চুরি করে মধ্যবয়সী এক নারী। চুরির আগে রুনা ও তার মা নুর বেগমের সাথে সখ্য গড়ে শিশুচোর। নুর বেগম জানান, মঙ্গলবার ভোর রাতে রুনা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর নরমালে তার জমজ দু’টি ছেলে সন্তান হয়। এরপর রুনাকে ২১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৬ নম্বর বেডে দেয়া হয়। গত বুধবার সকাল ১১টায় মাঝবয়সী এক নারী নিজে থেকেই রুনার বেডের কাছে এসে শিশুটিকে দেখতে থাকে। একপর্যায়ে সে বিভিন্ন কথা বলতে শুরু করে। ওই নারী বলে, তার ভাইয়ের স্ত্রীর পর পর তিনটি সন্তান হয়েছে। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই এক সন্তান গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। যার কারণে তাকে শিশু ওয়ার্ডের এসি রুমে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এভাবেই রুনা ও নুর বেগম ওই নারীকে আপন করে নেন। একপর্যায়ে নুর বানু ও রুনা এক সন্তানকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাবেন বলে টিকিট সংগ্রহ করতে যান। তখন ওই নারী দৌড়ে এসে শিশুকে কোলে নিয়ে বলে, ‘চলেন আমিও আপনার সাথে যাই। এরপর শিশুটির জন্য একটি টিকিট নিয়ে ডাক্তার দেখানো হয়। টিকিট ওই নারী কৌশলে নিজের কাছে রেখে দেয়। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে রুনার দুই ছেলে এক সাথে কাঁদতে শুরু করে। কান্না থামাতে তিনি এক ছেলেকে কোলে নিয়ে দুধপান করান। তখন ওই নারী এসে কাঁদতে থাকা অপর ছেলেটিকে কোলে নিয়ে কান্না থামানোর চেষ্টা চালায়। সে শিশুটিকে নিয়ে ওয়ার্ডের মধ্যেই পায়চারি করছিল। কিছু সময় পর হঠাৎ রুনা দেখেন, সেই নারী নেই। আশপাশে কোথাও আছে ভেবে তাকে খোঁজা হয়। শিশু ওয়ার্ডে যেতে পারেন ভেবে সেখানেও খোঁজ করা হয়। কিন্তু পুরো হাসপাতাল তন্ন তন্ন করে খুঁজে তাকে আর পাওয়া যায়নি। পরে রুনার স্বামী হাসপাতাল কর্তৃপকে বিষয়টি জানান।  ঘটনার সময় ২১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সামনে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন আনসার সদস্য নাজির উদ্দিন। আর আয়ার দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী সমিতির সভাপতি এম এ খালেকের স্ত্রী ইয়াসমিনের। নাজির উদ্দিন দায়িত্ব পালন করলেও ইয়াসমিন কাজে যোগ দেননি। তিনি স্বাক্ষর করে বাসায় চলে যান। ঘটনার পর নাজির উদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়। তবে নাজির উদ্দিন জানান, ওই নারী শিশুটিকে কোলে নিয়ে তার নানীর সাথে কয়েকবার বাইরে যাওয়া-আসা করেছে। তখন ভেবেছেন শিশুটির স্বজন। যার কারণে ঘটনার সময় শিশুটিকে কান্না থামানোর ছলে বাইরে নিয়ে গেলেও তিনি কিছু বলেননি। গেটে দায়িত্বরত আনসাররা বলছেন, একটি শিশু কোলে নিয়ে ওই নারী যাওয়ার সময় গেটে আটকানো হয়। কিন্তু সে একটি টিকিট দেখিয়ে বলে, ‘বাচ্চা অসুস্থ হওয়ায় ডাক্তার দেখাতে আনা হয়েছিল। এখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’ শিশুটির বাবা কাওসার হোসেন বাবুল গতকাল নয়া দিগন্ত বলেন, শিশু চুরি হওয়ার পর থেকে তারাই শুধু দৌড়ঝাঁপ করছেন। হাসপাতালের কেউ তাদের কাছেও আসেননি। তবে প্রথম দিন কয়েকজন কর্মকর্তা তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন। চুরি হওয়া শিশুর মা রুনা আক্তার বলেন, ‘আমার ছেলেকে না নিয়ে আমি বাসায় ফিরব না। আপনারা আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করে দিন।’  বহিরাগত ওয়ার্ডবয় আয়া সুইপার : ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সরকারিভাবে নিয়োগ পাওয়া তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের চেয়ে বহিরাগত ওয়ার্ডবয়, আয়া ও সুইপারের সংখ্যা অনেক বেশি। অভিযোগ রয়েছে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা খুব কম সময় দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তারা হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বাসায় বা অন্য কাজে চলে যান। তাদের কাজ করে থাকেন বহিরাগত ওয়ার্ড বয়, আয়া ও সুইপাররা। আর এ বহিরাগতদের সাথে নবজাতক কেনা-বেচা করে থাকে একটি চক্র। তবে এর ভাগ সরকারি নিয়োগ প্রাপ্তরাও পেয়ে থাকেন।  সূত্র মতে, ঢামেক হাসপাতালে তিন শিফটে কাজ করে থাকেন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা। সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা, ২টা থেকে রাত ৮ টা। আবার রাত ৮টা থেকে পরদিন সকাল ৮টা।  ওয়ার্ড মাস্টার জিল্লুর রহমান জানান, শুধু ইমার্জেন্সি বিভাগে ৩৬ বহিরাগত নারী-পুরুষ কাজ করেন। প্রতি শিফটে ১২ জন করে। ইমাজেন্সিতে আটজন ওয়ার্ডবয় থাকার কথা থাকলেও সরকারিভাবে রয়েছেন মাত্র তিন-চারজন। আয়া সুইপারের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। যার কারণে বহিরাগতদের নিয়ে কাজ করতে হয়।  সূত্র জানায়, ঢামেক হাসপাতালে ৪২টির বেশি ওয়ার্ড রয়েছে। এসব ওয়ার্ডে প্রতি শিফটে চার-পাঁচজন করে বহিরাগত কর্মচারী কাজ করে থাকেন। এই হিসাবে তিন শিফটে ৬৬২ জন বহিরাগত কাজ করেন। সূত্র আরো জানায়, এসব বহিরাগতকে কোনো বেতন দেয়া হয় না বরং তাদের কাছ থেকে ওয়ার্ড মাস্টার এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর নেতারা প্রতিদিন ১০০ টাকা হারে চাঁদা নিয়ে থাকেন। এ ছাড়া হাসপাতালে কাজ করার অনুমতি পেতে বহিরাগতদের গুনতে হয় ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকা করে। বহিরাগতরা এই টাকা সুদে আসলে তুলে নেন রোগীদের কাছ থেকে। নানা অজুহাতে রোগীদের জিম্মি করে টাকা আদায় করে থাকেন। একজন বহিরাগত কর্মচারী বলেন, মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে কাজের সুযোগ পেয়েছি। তার ওপর প্রতিদিন ১০০ টাকা করে দিতে হয়। এ গুলো আমি নিজের পকেট থেকে দেবো? তাই বাধ্য হয়ে রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়। বহিরাগত এসব কর্মচারীকে টাকা না দিয়ে কোনো রোগী যেমন হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারেন না, তেমনি তাদের টাকা না দিয়ে কোনো রোগী হাসপাতাল থেকে বেরও হতে পারেন না। মূলত গাইনি ও শিশু ওয়ার্ডগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন ওয়ার্ড মাস্টার বাবুল মিয়া ও সর্দার ফরিদ। এসব ওয়ার্ডে বহিরাগত কারা কাজ করবেন আর কারা করবেন না তা তারাই ঠিক করে থাকেন। মূলত এসব বহিরাগতরাই শিশু চুরি, রোগীদের মোবাইল চুরি বা টাকা পয়সা ও মালামাল চুরির সাথে জড়িত থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে।  চুরি হওয়া শিশু কোথায় যায় : হাসপাতাল থেকে যেসব শিশু চুরি হয় তাদের কেনা-বেচার জন্য একাধিক চক্র রয়েছে। ওই চক্রগুলোর সদস্যরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বড় বড় সরকারি হাসপাতালের নার্স, ওয়ার্ড, আয়া ও সুইপারদের সাথে সখ্য গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে মোটা অঙ্কের টাকার দেন-দরবারের পর শিশু চুরির কাজে হাত দেয় তারা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হাসপাতালের কর্মচারীরা শিশু চুরি করে থাকে। আবার কখনো ওই চক্রের সদস্যদের শিশু চুরি করতে সহায়তা করে থাকে।  সূত্র জানায়, পুরান ঢাকার নবাবগঞ্জ বাজার গলির একটি বাড়িতে নবজাতক কেনা-বেচা করা হয়ে থাকে। চুরি করা এসব শিশু মনোয়ারা, ময়না ও কালির মা নামে তিন মহিলা কিনে থাকে। এ চক্রটিকে ধরার জন্য লালবাগ থানা পুলিশ ওই বাড়িতে একাধিক অভিযান চালালেও কাউকে খুঁজে পায়নি। পুলিশ যাওয়ার আগেই তারা পালিয়ে যায়। সূত্র আরো জানায়, চোরদের কাছ থেকে শিশু কিনে নিঃসন্তান দম্পতির কাছে ওইসব শিশুকে মোটা অঙ্কের টাকায় বিক্রি করা হয়। এ ছাড়া দেশের বাইরে পাচার করা হয় এমন গুঞ্জনও রয়েছে। ঢামেকের এক চিকিৎসক জানান, দেশে প্রায় ১০-১৫ ভাগ দম্পতি নিঃসন্তান। তারা মূলত এসব নবজাতক কিনে লালন পালন করে থাকেন।  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য : ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালিক ডা: মুশফিকুর রহমান নয়া দিগন্তকে বলেন. দেশের সব থেকে বড় পাবলিক হাসপাতালের মধ্যে একটি এই হাসপাতাল। বর্তমানে দুই হাজার ৯৫৮ রোগী রয়েছে। কখনো কোনো রোগীকে এখান থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয় না। প্রতিটি রোগীর সাথে চার-পাঁচজন করে স্বজন আসা-যাওয়া করছে। কাউকে বাধা দেয়া যায় না। একটু কড়াকড়ি করলেই শুরু হয় আন্দোলন-ভাঙচুর। তিনি বলেন, এত লোকের ভেতরে কখন কে কী করছে সেগুলো সব সময় মনিটরিং করা সম্ভব হয় না। যার কারণে কিছু দুর্ঘটনা ঘটে যায়।  তিনি আরো বলেন, ঢামেক হাসপাতালে প্রতিদিন ২০-৩০ জন প্রসূতি শিশু প্রসব করে থাকেন। নবজাতক নিয়ে তারা হাসিমুখে বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু মাঝে মধ্যে এ ধরনের ঘটনা আমাদের পীড়া দেয়। তবে এ ক্ষেত্রে রোগী ও তার স্বজনদেরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। কারণ বৃহস্পতিবারের ঘটনাটি শিশুর পরিবারের সাথে খাতির জমিয়ে তারপর করা হয়েছে। চোরকে সিকিউরিটির সামনে স্বজন হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তারপরও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সিসি টিভিতে পাওয়া চোরের ছবি তদন্ত কমিটি ও পুলিশকে দেয়া হয়েছে। কমিটি রিপোর্ট দিলে বিষয়টি বোঝা যাবে।  মুশফিকুর রহমান আরো বলেন, হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য ৫৩টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। রয়েছেন আনসার সদস্য। এ ছাড়া মেডিক্যাল ক্যাম্পে রয়েছে পুলিশ। এত সিকিউরিটির মধ্যেও এ ধরনের ঘটনা অনাকাক্সিত।  

No comments:

Post a Comment