কে নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে এ সময়ে নেয়া হবে বিভিন্নমুখী কৌশল। ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন ও চলমান রাজনৈতিক অবস্থা তুলে ধরে আন্দোলনের পথে ‘কার্যকর কূটনৈতিক সমর্থন’ পেতেও থাকবে দলীয় তৎপরতা। বিএনপি চেয়ারপারসনের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, দল গোছানোর পাশাপাশি এই মুহূর্তে আন্দোলন শুরু করার বিষয়ে বেগম খালেদা জিয়া বদ্ধপরিকর। ঈদের পর নতুন করে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, আগামী দিনে এই আন্দোলনের ধরন কী হবে, তা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে নানা আলোচনা চলছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি মাসের মাঝামাঝিতে বেশ কিছু কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামবে বিএনপি। এর আগে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটি ও ২০ দলীয় জোটের বৈঠক ডেকে কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে। জানা গেছে, আন্দোলন কর্মসূচির রোডম্যাপ ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি সৌদি আরবে বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করেছেন। তারেক রহমানের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, আন্দোলন কর্মসূচি কোন পথে এগিয়ে যাবে, তা নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করছেন তারেক রহমান। শিগগিরই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু করে তা পর্যায়ক্রমে লাগাতার অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার পক্ষে তিনি। আন্দোলন দমনে সরকারের নেয়া কৌশলের পাল্টা কৌশল নিয়েও ভাবছেন বিএনপির এই নেতা। জানা গেছে, নতুন করে শুরু হওয়া আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা আসবে তারেক রহমানের কাছ থেকেই। জানা গেছে, বিএনপির আন্দোলন পর্যায়ক্রমে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগের তিন মাসের মতো অবস্থায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে। ওই তিন মাস টানা হরতাল, অবরোধ পালন করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট। রাজধানীতে আন্দোলন চাঙ্গা করতে ইতোমধ্যে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসংগঠনের নতুন কমিটির ঘোষণাও আসছে শিগগিরই। বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের ভাবনা অনুযায়ী আগাম নির্বাচনের দাবিতে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারলে, পরবর্তী ফল বেশি একটা ভালো না-ও হতে পারে। দ্রুত নির্বাচন আদায়ে ব্যর্থ হলে বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি ভেঙে পড়তে পারে। নেতাকর্মীরা দীর্ঘমেয়াদে নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারেন। মামলা-হামলার ঘানি টানতে হতে পারে শীর্ষ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নেতাদের। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার নয়া দিগন্তকে বলেছেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল প্রহসনের। ছিল না কোনো প্রার্থী, ছিল না ভোটার। এরকম একটি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। এখন দেশজুড়ে যে গুম, খুন চলছে এটা ওই নির্বাচনেরই ফসল। এ অবস্থায় দ্রুত আরেকটি নির্বাচন ছাড়া দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরে আসবে না। তিনি বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনেই সে নির্বাচন হতে হবে। বিএনপির কয়েকজন শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, ৫ জানুয়ারি বিরোধীদলবিহীন নির্বাচনের পর সরকারের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ প্রভাবশালী দেশগুলোর নেতিবাচক মনোভাবের কোনো পরিবর্তন হয়নি। তারাও গণতন্ত্রের স্বার্থে আলোচনার মাধ্যমে চলমান পরিস্থিতির একটি সন্তোষজনক সমাধান আশা করছে। সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থা আবার ফিরে আসতে পারে বলেও মনে করছে প্রভাবশালী ওই দেশগুলো। জানা গেছে, কূটনৈতিক সম্পর্ক অটুট রাখতে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ে একটি টিম কাজ করছে। আন্দোলন কর্মসূচির যৌক্তিকতাও তাদের অবহিত করা হচ্ছে। বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা বলছেন, বিএনপি পুনরায় আন্দোলন শুরু করলে আন্তর্জাতিক সমর্থন তাদের পক্ষেই থাকবে। প্রতিবেশী দেশ ভারতও গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নেবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আলোচনার মাধ্যমে সরকার সমঝোতার পথে না এগুলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আবারো সাংঘর্ষিক হয়ে উঠতে পারে। আর এতে করে দীর্ঘমেয়াদে তৈরি হতে পারে অচলাবস্থা।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Monday, August 4, 2014
উত্তপ্ত হচ্ছে রাজপথ:নয়াদিগন্ত
কে নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে এ সময়ে নেয়া হবে বিভিন্নমুখী কৌশল। ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন ও চলমান রাজনৈতিক অবস্থা তুলে ধরে আন্দোলনের পথে ‘কার্যকর কূটনৈতিক সমর্থন’ পেতেও থাকবে দলীয় তৎপরতা। বিএনপি চেয়ারপারসনের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, দল গোছানোর পাশাপাশি এই মুহূর্তে আন্দোলন শুরু করার বিষয়ে বেগম খালেদা জিয়া বদ্ধপরিকর। ঈদের পর নতুন করে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, আগামী দিনে এই আন্দোলনের ধরন কী হবে, তা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে নানা আলোচনা চলছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি মাসের মাঝামাঝিতে বেশ কিছু কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামবে বিএনপি। এর আগে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটি ও ২০ দলীয় জোটের বৈঠক ডেকে কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে। জানা গেছে, আন্দোলন কর্মসূচির রোডম্যাপ ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি সৌদি আরবে বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করেছেন। তারেক রহমানের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, আন্দোলন কর্মসূচি কোন পথে এগিয়ে যাবে, তা নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করছেন তারেক রহমান। শিগগিরই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু করে তা পর্যায়ক্রমে লাগাতার অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার পক্ষে তিনি। আন্দোলন দমনে সরকারের নেয়া কৌশলের পাল্টা কৌশল নিয়েও ভাবছেন বিএনপির এই নেতা। জানা গেছে, নতুন করে শুরু হওয়া আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা আসবে তারেক রহমানের কাছ থেকেই। জানা গেছে, বিএনপির আন্দোলন পর্যায়ক্রমে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগের তিন মাসের মতো অবস্থায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে। ওই তিন মাস টানা হরতাল, অবরোধ পালন করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট। রাজধানীতে আন্দোলন চাঙ্গা করতে ইতোমধ্যে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসংগঠনের নতুন কমিটির ঘোষণাও আসছে শিগগিরই। বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের ভাবনা অনুযায়ী আগাম নির্বাচনের দাবিতে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারলে, পরবর্তী ফল বেশি একটা ভালো না-ও হতে পারে। দ্রুত নির্বাচন আদায়ে ব্যর্থ হলে বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি ভেঙে পড়তে পারে। নেতাকর্মীরা দীর্ঘমেয়াদে নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারেন। মামলা-হামলার ঘানি টানতে হতে পারে শীর্ষ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নেতাদের। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার নয়া দিগন্তকে বলেছেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল প্রহসনের। ছিল না কোনো প্রার্থী, ছিল না ভোটার। এরকম একটি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। এখন দেশজুড়ে যে গুম, খুন চলছে এটা ওই নির্বাচনেরই ফসল। এ অবস্থায় দ্রুত আরেকটি নির্বাচন ছাড়া দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরে আসবে না। তিনি বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনেই সে নির্বাচন হতে হবে। বিএনপির কয়েকজন শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, ৫ জানুয়ারি বিরোধীদলবিহীন নির্বাচনের পর সরকারের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ প্রভাবশালী দেশগুলোর নেতিবাচক মনোভাবের কোনো পরিবর্তন হয়নি। তারাও গণতন্ত্রের স্বার্থে আলোচনার মাধ্যমে চলমান পরিস্থিতির একটি সন্তোষজনক সমাধান আশা করছে। সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থা আবার ফিরে আসতে পারে বলেও মনে করছে প্রভাবশালী ওই দেশগুলো। জানা গেছে, কূটনৈতিক সম্পর্ক অটুট রাখতে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ে একটি টিম কাজ করছে। আন্দোলন কর্মসূচির যৌক্তিকতাও তাদের অবহিত করা হচ্ছে। বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা বলছেন, বিএনপি পুনরায় আন্দোলন শুরু করলে আন্তর্জাতিক সমর্থন তাদের পক্ষেই থাকবে। প্রতিবেশী দেশ ভারতও গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নেবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আলোচনার মাধ্যমে সরকার সমঝোতার পথে না এগুলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আবারো সাংঘর্ষিক হয়ে উঠতে পারে। আর এতে করে দীর্ঘমেয়াদে তৈরি হতে পারে অচলাবস্থা।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment